প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে তার বক্তব্য উইথড্র করে ক্ষমা চাইতে হবে’ মির্জা ফখরুলের এমন বক্তব্যের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, প্রধানমন্ত্রী মিথ্যাচার করেছেন বলে যে অভিযোগ ফখরুল করেছে আদালতে তারা যদি তা প্রমাণ করতে না পারে,তবে তাদের শাস্তির আওতায় আনা হবে।
পদ্মা সেতু ও মেট্রোরেল প্রকল্প নিয়ে দুর্নীতির যে অভিযোগ তোলা হয়েছে সেটি প্রমাণ করতে না পারলে বিএনপির বিরুদ্ধেও মামলা করা হবে বলে হুঁশিয়ার করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর পদ্মা সেতু ও মেট্রোরেল প্রকল্পে দুর্নীতির যে অভিযোগ করেছেন তা প্রমাণ করতে হবে। প্রমাণ করতে না পারলে বিএনপির বিরুদ্ধেও মামলা করবো।
সৌদি আরবসহ ১২টি দেশে জিয়া পরিবার বিভিন্ন সময়ে পাচার করে ১২ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করেছে বলে অভিযোগ করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘তথ্য-প্রমাণ আছে বলেই প্রধানমন্ত্রী জিয়া পরিবারের দুর্নীতির বিষয়ে কথা বলেছেন। এসব দেশে আবাসন, পেট্রো কেমিকেলসহ বিভিন্ন খাতে তারেক রহমান, সাঈদ ইস্কান্দার এবং তাদের ব্যবসায়ী বন্ধুরা বিনিয়োগ করেছেন।
শনিবার (৯ ডিসেম্বর) রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনীতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।গত বৃহস্পতিবার গণভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিক নেতা মনজুরুল আহসান বুলবুল প্রধানমন্ত্রীর কাছে প্রশ্ন রাখতে গিয়ে বলেন, ‘খালেদা জিয়া আদালতে জানিয়েছেন যে তিনি শেখ হাসিনাকে ক্ষমা করেছেন। অথচ সম্প্রতি সৌদি আরবে টাকা পাচারের সঙ্গে খালেদা জিয়ার সম্পৃক্ততা বিষয়ে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে খবর এসেছে। এ ক্ষেত্রে সরকার কি তাঁকে ক্ষমা করবে?
এই প্রশ্নের উত্তরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিএনপি-জামায়াত সরকারের বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের কথা তুলে ধরেন। এ সময় দেশের গণমাধ্যমের সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘কেন এই টাকা পাচারের খবর তুলে ধরা হলো না?’ তিনি বলেন, ‘সৌদিতে যে বিশাল শপিংমল, সম্পদ পাওয়া গেছে, আপনাদের (সাংবাদিকদের) তো এ ব্যাপারে কোনো আগ্রহ দেখি না। এত দুর্বলতা কিসের জন্য? এই যে মানি লন্ডারিং, এটা যে বিএনপি এবং খালেদা জিয়ার ছেলেরা করেছে এটা তো আমরা বের করিনি। এটা বের করেছে আমেরিকা।
প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, ‘বেশির ভাগ পত্রিকা কিন্তু আমিই পারমিশন দিয়েছি। সে পত্রিকাগুলোর এতটুকু সাহস হলো না যে খবরটা প্রকাশ করি। কোনো সরকার সাহস পায় নাই, আমি প্রাইভেট চ্যানেলের অনুমোদন দিয়েছি।
মন্ত্রী বলেন, সৌদিআরব, কাতারসহ ১২টি দেশে জিয়া পরিবারের ১২ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ রয়েছে। আমেরিকা আদালতে প্রমাণ হয়েছে প্যারাডাইস পেপার কোম্পানিতে তারেকের ৮০ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ রয়েছে। দুর্নীতি দমন কমিশন এরই মধ্যে তাদের তদন্ত শুরু করেছে। তাদের দূর্নীতি নতুন করে প্রমান করার কিছু নেই। এসব দুদককে তদন্ত করে বিচারের আওতায় আনার আহবান জানাচ্ছি।
এসময় উপস্থিত ছিলেন,দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুর রহমান, মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল,দফতর সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ, উপ দফতর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া প্রমুখ।