অপরাধ বিচিত্রা ডেস্ক : রোজলিন করিগান নামে এক নারী অভিযোগ করেছেন, যখন তার বয়স ১৬ বছর, তখন প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জর্জ এইচ ডব্লিউ বুশ তার নিতম্ব স্পর্শ করেছিলেন।
করিগান টাইম ম্যাগাজিনকে জানান, ২০০৩ সালের নভেম্বরে টেক্সাসের উডল্যান্ডে তার বাবার কর্মস্থলে গিয়েছিলেন। সেখানে সিআইএ কর্মকর্তাদের সঙ্গে সিনিয়র বুশের বৈঠক ছিল। বৈঠক শেষে করিগান ও তার মা বুশের সঙ্গে ছবি তোলেন। সে সময় বুশ তার নিতম্ব স্পর্শ করেছিলেন।
অভিযোগে করিগান বলেন, ‘ছবি তোলার সময় এক-দুই-তিন বলার সঙ্গে সঙ্গে তিনি আমার কোমরের নিচে নিতম্বে হাত দেন এবং চাপ দেন। এ কারণেই ছবিতে আমার মুখ হা হয়ে আছে। আমি শুধু ভাবছিলাম এটা কী হলো? কিন্তু তখন আমি কিছুই বলিনি। মার্কিন মুলুকের প্রেসিডেন্টকে একজন কিশোরী কি আর বলতে পারে যে, আপনার এটা করা উচিত হয়নি?’
তিনি বলেন, ‘আমার প্রাথমিক অনুভূতি খুবই ভয়ংকর ছিল। আমি সত্যি সত্যি বিভ্রান্ত হয়েছিলাম। সে সময় আমি ছিলাম শিশু।’
এর আগে বুশের একজন মুখপাত্র স্বীকার করেছিলেন যে, বুশ কয়েকজন নারীকে অনাকাঙ্ক্ষিতভাবে স্পর্শ করেছিলেন।
তবে সোমবার বুশের মুখপাত্র জিম ম্যাকগ্রেথ বিবিসিকে বলেন, ‘তিনি ইচ্ছাকৃত কাউকে হয়রানি বা কারো ক্ষতি করার জন্য এসব করতেন বলে মনে হয় না। তবুও সে সময় যারা ক্ষুদ্ধ হয়েছিলেন তাদের কাছে আবারো ক্ষমা চাচ্ছি।’
অক্টোবরের শেষের দিকে আরো কয়েক নারী এ ধরনের অভিযোগ করেন। তবে জিম ম্যাকগ্রেথ বলেন, সিনিয়র বুশ নারীদের পিঠ চাপড়ে দিতেন ‘সহজাত ভালো ব্যবহার’ হিসেবে। প্রাক্তন এ প্রেসিডেন্ট হুইল চেয়ার ব্যবহারের কারণে তার সঙ্গে কেউ ছবি তুলতে দাঁড়ালে তার (বুশ) হাত ওই ব্যক্তির নিতম্বের কাছে থাকত।
ম্যাকগ্রেথ এ কথা বললেও করিগানের সঙ্গে ছবিতে বুশকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে। তাই করিগান বলেন, ‘ভীমরতিগ্রস্ত এ বুড়োর হুইল চেয়ারে বসে থাকার অজুহাত সত্যি নয়।’ তিনি আরো বলেন, যখন বুশের পক্ষে ‘তিনি বৃদ্ধ, নির্দোষ ও প্রফুল্ল মনের মানুষ’- এসব কারণগুলো শুনলাম, তখন আমি ক্ষোভে ফেটে পড়ি। এগুলো কোনো অজুহাত হতেই পারে না।
উল্লেখ্য, ১৯৮৯-১৯৯৩ সাল পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের ৪১তম প্রেসিডেন্ট ছিলেন সিরিয়র বুশ। এখন তার বয়স ৯৩ বছর।