মো সোহাগ -চট্রগ্রাম নগরীর সিইপিজেড থানার কর্তব্যরত দারোগা এসআইদের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন ধরে গ্রেফতার অভিযোগ থাকলেও সম্প্রতি বেশ কিছু ঘটনা জনমনে ব্যাপক প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। প্রবাসীর লাকেস ভেঙ্গে মালামাল তল্লাশী, প্রবাসীকে আটকিয়ে রেখে বিদেশী মুদ্রা হাতিয়ে নেওয়ার পরও এখানকার অভিযুক্ত কর্মকর্তারা থেমে থাকেনি।
গতকাল বুধবার রাত ১১টায় ইপিজেড এলাকার বন্দর থানাধীন কলসী দিঘীর পাড়ে এক জোড়া দম্পতিকে আটক করে ইপিজেড থানার এএসআই মোঃ মোস্তফা সঙ্গে থাকা ব্যাগে তল্লাশী চালিয়ে কিছু না পেয়ে অবশেষে রহিমার স্বামী মদ্যপান করেছে অভিযোগে রহিমা ও তার স্বামী দেলোয়ারকে আটক করে বিশ হাজার চাঁদা দাবী করে। অবশেষে পুলিশের মিথ্যা অভিযোগ ও গ্রেফতার এড়াতে তার সঙ্গে থাকা স্বর্ণের নাক ফুল বিক্রয় করে দারোগা মোস্তফাকে বিশ হাজার টাকা দিয়ে রেহাই পেল দম্পতি জোড়া। এ ছাড়া একই ধরণের অভিযোগ পাওয়া গিয়েছে কর্তব্যরত দারোগা কপিলের বিরুদ্ধে। তিনি সিইপিজেড থানার আলী শাহ্ মাজার গেইট সংলগ্ন বাসায় স্বামী স্ত্রী দুজনকে আটক করে বিয়ের কাবিননামা দেখাতে বাধ্য করে। এ সময় তারা কাবিননামা দেখাতে অপারগতা প্রকাশ করলে তাদের বিরুদ্ধে অনৈতিক অভিযোগ এনে একই কায়দায় বিশ হাজার টাকা আদায় করে। এ ধরণের ঘটনা ইপিজেড থানায় অহরহ ঘটে আসলেও থানা প্রশাসনের টনক নড়েনি। শুধু তাই না আইনের সহায়তা প্রদানের আশ্বাস দিয়ে অনেক নিরীহ মহিলাদের স্বতিত্ব হননের মতো অভিযোগও পাওয়া গিয়াছে। এলাকার অভিজ্ঞ মহল বলেন এ বিষয়ে প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের হস্তক্ষেপ অতি জরুরী হয়ে উঠেছে। এ বিষয়ে অভিযুক্ত দারোগার সাথে কথা বলতে থানায় কর্তব্যরত ডিউটি অফিসারকে বার বার ফোন দিয়েও তিনি ফোন রিসিভ করেন নি।