ভূমি অফিসকে দুর্নীতি মুক্ত জিরো টলারেন্স ঘোষণা দিলেন: ভূমি প্রতিমন্ত্রী

0
840

ভূমি প্রতিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী এম.পি. বলেছেন, ভূমি ব্যবস্থাপনায় স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা নিশ্চিত সহ ভূমি অফিসগুলোতে জনভোগান্তি, দালালমুক্ত ও দুর্নীতিমুক্ত করা হচ্ছে। তিনি বলেন, দুর্নীতিবাজরা দেশ ও জাতির শত্রু। তিনি ভূমি অফিসগুলোকে দুর্নীতিমুক্ত করার জিরো টলারেন্স ঘোষণা দেন।

Advertisement

আজ রাজধানীর তেজগাঁওস্থ বিএফডিসি অডিটোরিয়ামে ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির আয়োজনে ছায়া সংসদ অনুকরণে ‘ডিজিটাল ভূমি ব্যবস্থাপনায় সরকার প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে’ শীর্ষক বিতর্ক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ভূমি প্রতিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী এ কথা বলেন।

ভূমি প্রতিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশ অনুযায়ী ভূমির উন্নয়ন কাজ শুরু করেছি। দুর্নীতিমুক্ত ভূমি ব্যবস্থাপনা গড়ে তুলতে মাঠ পর্যায় থেকে উচ্চ পর্যায় পর্যন্ত স্বচ্ছতার মাধ্যমে দুর্নীতিকে জিরো টলারেন্স করা হচ্ছে। প্রতিমন্ত্রী বলেন, এখন মানুষ সবকিছু ঘওে বসেই জানতে পারছেন। তিনি বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা দিয়েছেন এদেশে কোন ভূমিহীন থাকবে না। তিনি বলেন, সারাদেশে ৫০ হাজার গৃহহীনকে গুচ্ছগ্রাম পুনর্বাসন করার কাজ চলছে। তিনি বলেন, ভূমি সংশ্লিষ্ট বিষয়ে জটিলতা সৃষ্টি করে গেছে সেই মুঘল, ইংরেজ, পাকিস্তান শাসনামল থেকেই। মন্ত্রী বলেন, আমরা স্টেপ বাই স্টেপ এগুচ্ছি। তিনি বলেন, ভূমি অফিসগুলোর আশেপাশের দুষ্টুগ্রহ দুর করতে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।

‘চোর না শোনে ধর্মের কাহিনী’ উল্লেখ করে ভূমি প্রতিমন্ত্রী বলেন, ডিজিটালাইজেশনের কোন বিকল্প নাই। সিস্টেম বাস্তবায়ন করতে হবে। খতিয়ান, পর্চা ডিজিটালাইজেশন করা হয়েছে। তিনি বলেন, বিদ্যমান ম্যাপ, খতিয়ান স্ক্যান করে ডিজিটাল পদ্ধতিতে অনলাইনে ছাড়া হচ্ছে। এখন দেশের যে কোন স্থান থেকে খতিয়ান অনলাইনের মাধ্যমে সুবিধাভোগীরা পাবেন। তিনি বলেন, ভূমি মন্ত্রণালয়ে এখন দক্ষ ও কারিগরি জনবল পদায়ন হচ্ছে। তিনি বলেন, ভূমি ব্যবস্থাপনা এখন আর আগের অবস্থানে নেই। এডিবি, ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন, ভারত ও নরওয়ের সাথে যৌথভাবে বাংলাদেশ ভূমি ব্যবস্থাপনা আধুনিকায়নের কাজ হাতে নেওয়া হয়েছে।
ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ বলেন, ভূমি জরিপ থেকে শুরু করে ভূমি রেজিস্ট্রেশন, নামজারি, খাজনা প্রদান, জলাশয়, শত্রু সম্পত্তি, দেবোত্তর সম্পত্তি ও খাসজমি নির্ধারণের ক্ষেত্রে আইন, ভূমি, বন, পানি সম্পদ একেক মন্ত্রণালয় একেক ধরনের ব্যবস্থাপনার কর্তৃত্ব রাখে। ফলে ডিজিটাল ভূমি ব্যবস্থাপনার জটিলতা নিরসনের ক্ষেত্রে বড় ধরনের বাধার সৃষ্টি হয়। ভূমিতে কর্মরতদের প্রযুক্তিগত প্রশক্ষণ ছাড়া টেকসই ভূমি ব্যবস্থাপনা গড়ে ওঠা সম্ভব না। তিনি ভূমি প্রতিমন্ত্রীকে ভূমি অফিসের দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা-কর্মচারিদের শাস্তির আওতায় আনার কাজটি অব্যাহত রাখার অনুরোধ জানান। বিতর্কে সরকারি পক্ষে বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস এন্ড টেকনোলজি এবং বিরোধী পক্ষে প্রাইম বিশ্ববিদ্যালয় অংশ নেয়। বিতর্ক প্রতিযোগিতায় তার্কিক যুক্তি দিয়ে বিরোধী পক্ষের প্রাইম বিশ্ববিদ্যালয় জয়লাভ করে।

Advertisement

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here