দক্ষিণ বনশ্রী মডেল হাই স্কুল অ্যান্ড কলেজের “ সহকারি প্রধান শিক্ষক মোঃ আলম সরদার ” এর বিরুদ্ধে শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের তদনÍ প্রতিবেদনে অভিযোগ প্রমাণের পরও বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটি (অতীত ও বর্তমান ) কর্তৃক ব্যবস্থা গ্রহন না করে, দুইজন সহকারী শিক্ষকসহ তিন শিক্ষককে চাকুরী প্রদান করে যথাক্রমে ১/ ফিরোজা আক্তার পান্না ২/ সানু আক্তার ৩/ সায়লা হক ৪/ ফিরোজা বেগম লাভলী ৫/ মাহবুব আলম । প্রতিষ্ঠানের সহকারী শিক্ষক মো: আলম সরদার এর বিরুদ্ধে অভিযোগের প্রেক্ষিতে গত ১৫-১২-২০১৫ তারিখ তদন্ত অনুষ্ঠিত হয় এবং ০৩-০২-২০১৬ তারিখের তদন্ত প্রতিবেদনে , সহকারি শিক্ষক মোঃ আলম সরদার এর বিরুদ্ধে ০৪ টি অভিযোগ এবং দুইজন সহকারি শিক্ষক ফিরোজা আক্তার ও সানু আক্তারসহ আরো তিনজন সহকারি শিক্ষক সায়লা হক , মাহবুব আলম , ও ফিরোজা বেগম লাভলী ” এর ভূয়া সনদপত্রের মাধ্যমে চাকুরি গ্রহন করে এমপিওভূক্ত শিক্ষক হিসেবে কর্মরত আছেন । এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা গ্রহন করে সরকারি অর্থ আতœসাৎ বন্ধ করাসহ উল্লেখিত শিক্ষকদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার অনুরোধ জানিয়ে নি¤েœ তাদের আর্থিক ও অন্যান্য অনিয়ম এবং অবৈধ নিয়োগ সহকারি প্রধান শিক্ষক আলম সরদার এর বিরুদ্ধে অভিযোগ সমূহ : ০৪/০২/২০১০ তারিখের নীতিমালার ১৩ নং অনুচ্ছেদ এবং পরিশিষ্ট ঘ এর ক (৬) মোতাবেক নিয়োগকালে কাম্য অভিজ্ঞতার ১০ বছর ছিল না বিদায় সহকারি প্রধান শিক্ষক পদে তার নিয়োগ বিধি সম্মত হয়নি । সহকারি প্রধান শিক্ষক পদে আবেদনকালে যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে আবেদন না করার অভিযোগ প্রমাণিত । সহকারি প্রধান শিক্ষক পদে যোগদানের পূর্বে পূর্ব প্রতিষ্ঠানের ছাড়পত্র দাখিল না করার অভিযোগ প্রমাণিত । একই সময়ে দুই প্রতিষ্ঠান হতে সরকরি বেতন ভাতা উত্তোলন করার অভিযোগ প্রমাণিত । দীর্ঘদিন অতিবাহিত হলেও অদ্যপর্যন্ত সরকারি প্রধান শিক্ষক এর ব্যাপারে বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটি ও প্রধান শিক্ষক হিসাবে এমপিও বাবদ ৫,৬৪,২৪০ ( পাচঁলক্ষ চৌষট্রি হাজার চারশত বিশ ) টাকা গ্রহন করেছেন , যাহা অবৈধ ও বেআইনি । মোঃ আলম সরদার (শাহাবুদ্দিন মজুমদার, রাণী মামুন , নিবলু , খোরশেদ আলম মৃধা , সনত চন্দ্র দাশ , ওমর হোসেন , এস এম সাদিকুর রহমান , কাউসারের ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে ম্যানেজিং কমিটির সদস্যদের ম্যানেজ করে সহকারি প্রধান শিক্ষক পদে বহাল রয়েছেন । তিনি শিক্ষক – কর্মচারীদের মধ্যে দলা-দলি সৃষ্টিসহ আলাদা বাসা ভাড়া নিয়ে সি-৩৬ , দক্ষিণ বনশ্রী , গোড়ান , খিলগাঁও , ঢাকা-১২১৯ কোচিং বাণিজ্য চালিয়ে যাচ্ছিলেন বিষয়টি জানাজানি হলে তরিঘরি করে কোচিং বন্ধ করে দেওয়া হয় তার কাছে ছাত্র-ছাত্রীরা জিম্মি। ফিরোজা আক্তার ও সানু আক্তার ২০১০ সালে আগস্টমাসে অত্র প্রতিষ্ঠানে যোগদান করেন । সহকারি শিক্ষক ফিরোজা আক্তার এর বিরুদ্ধে অভিযোগ সমূহ হল : ফিরোজা আক্তার , পিতা মরহুম শফিকুর রহমান খন্দকার , মাতা: ফয়জুন্নেসা এর ইনডেক্স নং -১০৫৪৫৩৪, তার শিক্ষক নিবন্ধন নাই ও বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন সনদপত্রটি ভূয়া । (২) এমপিও কালে তার বিএড ডিগ্রি ছিল না। (৩) একাডেমিক সনদে এইচ.এস.সি এ তৃতীয় বিভাগ এবং বি.এস.এস তৃতীয় বিভাগ প্রাপ্ত । জালিয়াতী করে বি.এস.এস এ দ্বিতীয় বিভাগে উত্তীর্র্ন সনদপত্র দাখিল করে চাকুরী নিয়েছেন । সরকারি বিধি মোতাবেক শিক্ষকতা ক্ষেত্রে একাধিক তৃতীয় বিভাগ গ্রহন যোগ্য নয় ( সনদপত্র ও বি.এস.এস.এর নম্বরপত্র সংযুক্ত) । জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের নম্বর পত্রের রোল নং -৭৯০২৮ , রেজি নংঃ -৮০৪৬ , পাশের সন -১৯৯৪ , শিক্ষাবর্ষ : ১৯৯১-১৯৯২ দ্বিতীয় বিভাগ প্রাপ্ত বিভাগে উত্তীর্ণ । প্রভিশনাল সার্টিফিকেট রোল নং -৭৯০২৮, রেজি নং: ৮০৪৬ , পাশের সন-১৯৯৪ শিক্ষাবর্ষ : ১৯৯১-১৯৯২ দ্বিতীয় বিভাগ প্রাপ্ত বিভাগে উত্তীর্ণ ।(৪) একটি বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন নম্বর ৭০০৮৩২৭/২০০৭.রোল নং -২১০২০৩১২ এবং অপর বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন নম্বর ৮০০০৫৩৬৩/২০০৮ , রোল নং -১০২১২৩৭৭ । সহকারি শিক্ষক জনাব সানু আক্তার এর বিরুদ্ধে অভিযোগ সমূহ :জনাব সানু আক্তার , পিতা : ওহিদুজ্জামান , মাতা : শিপু বেগম এর ইনডেক্স নং ১০৫৪৫৩৮ , বেসকারি শিক্ষক নিধন্ধন নাই , তিনি একাধিক বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন সনদপত্র দাখিল করেছেন (কপি সংযুক্ত ) একটি বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন নম্বর -৭০০৮৩২৫/২০০৭ ,রোল নং-২১১৮০১৮৫ এবং অপুর বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন নম্বর – ৮০৪০৫৩৬৩/২০০৮ , রোল নং-৩১৪১২৮৭১ । (২) এমপিওপ্রাপ্তকালে তার বিএড ডিগ্রি ছিল না । (৩) তার কম্পিউটার শিক্ষা বিষয়ে সনদপত্রটি ভূয়া । (৪) এছাড়া সহকারী শিক্ষক সায়লা হক এর নিয়োগ কালীন সময় তার বিএড ডিগ্রি ছিল না । এবং তার নিবন্ধন পএটি ভূয়া । (৫) সহকারী শিক্ষক মাহাবুব আলম ও ফিরোজ বেগম লাভলী এর শিক্ষক নিবন্ধন ভূয়া বলে জানা যায় । শিক্ষামন্ত্রনালয় সঠিকভাবে সরেজমিনে তদন্ত করিলে এসকল বিষয় জানা যাবে, দুর্নীতিবাজ আরও শিক্ষক শিক্ষিকাদের আসল মুখোশ উন্মোচন হবে । সঠিক ভাবে উক্ত বিষয়গুলো তদন্ত করার স্বার্থে সচিব , মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক বিভাগ শিক্ষামন্ত্রনালয় ও মহাপরিচালকা , মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তর , শিক্ষা ভবন ঢাকা এবং চেয়ারম্যান দূর্নীতি দমন কমিশন , সেগুন বাগিচা ঢাকাকে অবগতির জন্য যারা অনুরোধ করেছেন তারা হলেন ১/ মোঃ ওমর হোসেন সভাপতি , তেজখাি ল ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ , বাঞ্চারামপুর এবং অভিভাবক সদস্য , বিদ্যালয় পরিচালনা পরিষদ দক্ষিণ বনশ্রী প্রজেক্ট ,গোড়ান , খিলগাঁও ,ঢাকা -১২১৯ ২/ আলহাজ্ব খোরশেদ আলম মৃধা – বীর মক্তিযোদ্ধা উপদেষ্টা কসবা থানা আওয়ামীলীগ এবং কো-অপ্ট সদস্য , বিদ্যালয় পরিচালনা পরিষদ । দক্ষিণ বনশ্রী প্রজেক্ট , গোড়ান , খিলগাও , ঢাকা-১২১৯ ৩/ এস এম সাদিকুর রহমান অভিভাবক সদস্য , বিদ্যালয় পরিচালনা পরিষদ দক্ষিণ বনশ্রী প্রজেক্ট , গোড়ান , খিলগাও , ঢাকা-১২১৯। দুদকে প্রেরিত তদন্ত প্রতিবেদন অনুসারে সংবাদটি পরিবেশন করা হলো যা আগামীতে আরও অজানা সংবাদ উপস্থাপন করা হবে ।