জাতীয় নির্বাচন ঘনিয়ে আসছে। এ নির্বাচনের আগে একটি নির্ভেজাল হালনাগাদ ভোটার তালিকা তৈরি একটি জাতীয় দাবিতে পরিনত হয়েছে। গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদে দেখা যাচ্ছে ভোটারদের তথ্য সংগ্রহের জন্য যারা বাড়ি বাড়ি গিয়ে কাজ করবেন তারা অনেকেই অধিকাংশ বাড়িতে না গিয়ে শেষ করনে ভোটারের তথ্য সংগ্রহের কাজ। অভিযোগ রয়েছে তেমন কাজ না হলেও ৪১ কোটি টাকার মধ্যে ৪ কোটি টাকা বেশি ব্যয় হয়। অধিকাংশ এলাকায় ভোটারগন মাঠকর্মীদের দেখা পাননি। এ নিয়ে অনেকের মধ্যে অনেক সন্দেহ ও অবিশ্বাস দেখা দিয়েছে। অনেকের মনে প্রশ্ন সরকার নির্বাচন ব্যবস্থাকে নিজের মত পরিচালনা করার জন্যই কি এটি করেছেন ? ইসির কেন্দ্র ও মাঠ পর্যায়ের অনেক কর্মকর্তা দায়সারা মনোভাব দেখিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। তথ্য সংগ্রহকারীদের দেখা না পেয়ে অনেকেই নিজ উদ্যোগে ইসি ও এর অধীনস্ত অফিসগুলোতে ভিড় জমাচ্ছেন। যারা ভিড় জমাচ্ছেন তাদের কাছ থেকে তথ্য সংগ্রহ না করে উল্টো তথ্য সংগ্রহকারীদের সাথে যোগাযোগ করতে বলা হচ্ছে। এতে ভোগান্তি ও হয়রানির শিকার হচ্ছেন ভোটারগন। এক তথ্যে প্রকাশ নতুন ভোটারে লক্ষ্যমাত্রা ৩৫ লাখ। অথচ তথ্য এসেছে ১৪ লাখ ৫০ হাজার। এতে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন তরুন-তরুনী ও তাদের অভিভাবকরা। তাদের অভিযোগ নতুন ভোটার সংগ্রহের জন্য ব্যাপক প্রচারনা চালানোর কথা থাকলেও নির্বাচন কমিশন তা করেনি। এর নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে হালনাগাদ ভোটার কার্যক্রমে।
খোদ ইসি সূত্রে জানা গেছে ২৫ জুলাই থেকে শুরু হয়ে ৯ আগষ্ট পর্যন্ত বাড়ি বাড়ি গিয়ে তথ্য সংগ্রহের কথা থাকলেও কাজটি পুরোপুরি হয়নি। দেশের বিভিন্ন স্থানে তথ্য সংগ্রহকারীরা সংশ্লিষ্ট এলাকায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বসেই ভোটার তালিকা প্রস্তুত করেন। একটি জাতীয় নির্বাচনের আগে এত বড় অনিয়ম দেশের জন্য শুভ নয়, কাঙ্খিতও নয়।