মোজাহারুল ইসলাম ও আবু সুফিয়ান, নীলফমারীঃ- অন্ন-বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা, চিকিতসা ও নিরাপত্তা যদি মানুষের মৌলিক অধিকার হয়, তাহলে ভূমিহীন সাহেদার ইচ্ছা বাড়ির ভিটে কেনার অর্থাত নিজস্ব জমিতে বাড়ি করে স্বামী, চার ছেলে ও ছেলের বউ নিয়ে সংসার করা।
মোছাঃ সাহেদা বেগম, স্বামী মোঃ নুরুজ্জামান নীলফামারী জেলার কিশোরগঞ্জ উপজেলায় রণচন্ডী ইউপির বদি মাঝাপাড়ায় বসবাস। কোন জায়গা জমি নেই এমনকি বসতভিটেও নেই। অত্র এলাকার মহত, ধর্মপ্রাণ ও মমতাময়ী মানুষত্ব সম্পূর্ণ অঢেল সম্পত্তির মালিক জনাব আজিজার রহমান জীবদ্দশায় বেশ কিছু ভূমিহীন মানুষকে তাঁর নিজস্ব জমিতে বসতবাড়ি করে বসবাসের অনুমতি দেন। এক পর্যায়ে জনাব আজিজার রহমান সাহেব মৃত্যুবরন করলে তাঁর সমস্ত সম্পত্তির মালিক হন এক ছেলে ও চার মেয়ে। একমাত্র ছেলে জনাব ডাক্তার মোঃ নজরুল ইসলাম সাহেবও বাবার আশ্রিতদের অত্যান্ত চার মেয়ে সাহানা বেগম, সেপালী বেগম, পেয়ারী বেগম ও লিলি বেগম সবাই বাবা ভক্ত ছিলেন। তন্মধ্যে মোছাঃ সাহানা বেগম, স্বামী মৃত্যু মাহাতাব উদ্দিন, কেশবা, কিশোরগঞ্জ, নীলফামারী বাবার অছিয়তকে স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য নামে মাত্র মূল্যে তাঁর অংশের কিছু জমি অন্যান্যদের মতো সাহেদা বেগমকেও ১০ শতক জমি গত ১১ই মে ২০১০ খ্রিঃ রেজিষ্ট্রি করে দেন বলে সাহেদা বেগম অপরাধ বিচিত্রাকে জানায়। জমির বর্ননাঃ এস এ দাগ-৫৮০ ও ৫৫৯১, খতিয়ান বি এস-৭৩২ ও ৭৭৮২ দাগে ১ একর ৮২ শতকের মধ্যে মাত্র ১০ শতক। সাহেদা বেগমের স্বামী নুরুজ্জামান পুকুরে, নদী-নালায় মাছ ধরে বাজারে বিক্রি করে তা দিয়ে জীবিকা নির্বাহ করে কখনও অন্যের বড়িতেও কামলার কাজ করেন। জীবিকার তাগিদে বিভিন্ন রকম কাজ করে এবং বিভিন্ন সংস্থা থেকে লোন করে অনেক কষ্টে টাকা জমিয়ে উল্লেখিত ১০শতক জমি ক্রয় করে। যা সাহেদার পরিবারের জন্য অনেক বড় অর্জন। ক্রয়কৃত বসতভিটায় সাহেদারা ঘরবাড়ি ছাড়াও বাস,গাছ লাগিয়ে পশু পালন সহ সংসারের যাবতীয় কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। এমতাবস্থায় উক্ত জমির দাতা বা বিক্রেতা মোছাঃ সাহানা বেগমের বি-মাতা বোন মোছাঃ সেপালি বেগম রেজিষ্ট্রিকৃত দলিলের বিপরীতে পেনশন করে এবং আদালতের নোটিশকে ষড়যন্ত্র করে গোপন রাখায় গত ১৭ই জুন ২০১৫ একতরফা আদেশ পান। যা পেনশনকারীর স্বামী অত্র এলাকায় উপস্থিত হয়ে বাড়ি ঘর সরিয়ে নেওয়ার হুমকি দিলে বিষয়টি জানা যায় বলে সাহেদা বেগম ও এলাকাবাসী অপরাধ বিচিত্রাকে জানায়। পরবর্তীতে একতরফা আদেশের বিপরীতে একটি ছানীর দরখাস্ত করা হয় বলে জানা যায়। প্রশ্ন হচ্ছে ভূমিহীন সাহেদারা কি সারা জীবন ভূমিহীনই থাকবে? অনেক কষ্টে কেনা বসতভিটে টুকুও ষড়যন্ত্রের বেড়াজালে কি হাড়িয়ে যাবে? নাকি অন্ন-বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা, চিকিতসা ও নিরাপত্তার মতো মৌলিক অধিকার গুলো এই সোনার বাংলায় পেয়ে তারা গর্বিত হবে?