ভোলার এসপি’র বিরুদ্ধে নারী পুলিশদের যৌন হয়রানীর অভিযোগ প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে সাংবাদিককে মিথ্যা মামলা দিয়ে ফাঁসানোর হুমকি

0
3431

নিজস্ব প্রতিবেদক‍ঃ ভোলার পুলিশ সুপার মোকতার হোসেনের বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও নারী পুলিশদের যৌন হয়রানীর অভিযোগে বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ হলে ভোলা জেলায় স্থানীয় এক সাংবাদিককে ও তার পরিবারের লোকজনকে বিভিন্ন মামলা দিয়ে হয়রানী করবে এমন হুমকিতে প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্র সচিব ও পুলিশের মহা পরিদর্শক বরাবর অভিযোগ করেছেন সাংবাদিক জিয়াউর রহমান। গত ০১.১১.১৭ ইং তারিখ প্রধান মন্ত্রীর ডিজি এডমিনের কাছে অভিযোগটি জমা দেন। প্রধানমন্ত্রীর ডাইরী নং ৬৬১৮। এছাড়াও গত ০২.১১.১৭ ইং তারিখ স্বরাষ্ট্র সচিব, জন-নিরাপত্তা বিভাগ ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর কাছেও অভিযোগ দেন এবং গত ০৫.১১.১৭ ইং তারিখ মহা পুলিশ পরিদর্শক (আইজিপি) কাছেও অভিযোগ দেওয়া হয়। যার আইজিপি’স কমপ্লেইন্টস সেল নং- এস-৮৪৬।উক্ত অভিযোগে বলা হয়েছে, ভোলার পুলিশ সুপার মোকতার হোসেন নারী কনস্টেবলদের যৌন হয়রানিসহ অনৈতিক প্রস্তাব দেয়া, পুলিশের চাকুরী প্রদানে ঘুষ বানিজ্য, মাদক ব্যবসায় শেল্টারসহ নিজে টেকনাফের এক মাদক ব্যবসায়ীকে দিয়ে ভোলা জেলায় মাদক এনে বিক্রি করছে এবং দুর্নীতির সাথে তার সম্পৃক্ততা তুলে ধরেন ওই অভিযোগকারী। অনেক নারী পুলিশ কনস্টেবলদের শারিরীক সম্পর্ক করতে বাধ্য করেছেন এসপি মোকতার এমনই একটি ঘটনায় সহযোগিতা করায় চাকরি হারিয়েছেন এক কনস্টেবল।
এসপির হাত থেকে বাঁচার জন্য ভিকটিম ওইসব নারী কনস্টেবল ফোনের কথোপকথন রেকর্ড করে উইমেন্স পুলিশ নেটওয়ার্কের প্রধান ডিআইজি মিলি বিশ্বাসের হস্তক্ষেপে পুলিশ সদর দপ্তরে অভিযোগ করে। পুলিশ সদর দপ্তরের স্মারক নং (৪৪.০১.৪৪৪.০৩০.০৪.০৪৫.১৬/১৯৯৫ তাং-১৭ আগষ্ট ২০১৬ ইং। পরে বরিশালের তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত ডিআইজি আকরাম হোসেন কে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হলে তিনি ভোলায় যান এবং ভিকটিম তানিয়া, মেহেনুমা, হেলেনুরের জবানবন্দী নেন। তাদের কাছে থাকা ফোন রেকর্ড ও প্রমানাদি সহ তদন্ত শেষে এসপি মোকতার ও কনস্টেবল মনিরকে দোষী সাব্যস্ত করে পুলিশ সদর দপ্তরে প্রতিবেদন পাঠান তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিআইজি আকরাম হোসেন। উক্ত প্রতিবেদনের ভিত্তিতে কনস্টেবল মনিরকে বরখাস্ত/অপসারন করা হয়। কিন্তু প্রধান আসামী এসপি মোকতার অজ্ঞাত কারনে আছেন বহাল তবিয়তে। বিচার না পেয়ে হতাশ ভিকটিম মহিলা পুলিশ সদস্যরা।

Advertisement

বছর খানেক আগে ভোলায় কর্মরত নারী কনস্টেবল (বর্তমানে বিভিন্ন জেলায় বদলি) ভোলার এসপি মোকতার হোসেন ও তার অর্ডালি কনস্টেবল মনিরের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন। ওই এসপি ও তার অর্ডালি তাদেরকে (নারী কনস্টেবল) ফোন করে উত্ত্যক্ত করছেন। ভুক্তভোগী নারী কনস্টেবলদের অভিযোগ ছিল, এসপি মোকতার হোসেন নিজে এবং তার বাসার অর্ডালি কনেস্টবল মনিরের মাধ্যমে তাদেরকে অনৈতিক প্রস্তাব এবং যৌন হয়রানি করেছেন। এসপির বাংলোয় গিয়ে সময় দেয়ার প্রস্তাব দেয়া হয়েছে। এতে তাদের ভবিষ্যৎ ভালো হবে।

এ ঘটনায় এসপি মোকতার হোসেনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া না হলেও এসপির পক্ষ হয়ে নারী কনস্টেবলদের অনৈতিক প্রস্তাবের ঘটনায় এসপির তৎকালীন অর্ডালি কনস্টেবল মনিরের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা হয়। দীর্ঘ তদন্ত সাক্ষ্যপ্রমাণ শেষে কনস্টেবল মনিরকে গত ১০ জুলাই চূড়ান্ত আদেশে (বরগুনা জেলার স্বারক নং-বরঃজেলা/আর,ও/০৫-২০১৭/১২২১ তারিখ ০৬/০৭/১৭ খ্রি. এবং বরগুনা জেলার আদেশ নং ৯৯০ তারিখ ০৫/০৭/২০১৭ খ্রি. মোতাবেক বরগুনা জেলার সাবেক বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের কনস্টেবল /৬১৬(বরগুনা,১৬২৭ বিএমপি) মো. মনির হোসেন(বিপি ৯২১১১৪৩৭১১)-এর বিরুদ্ধে রুজুকৃত বরগুনা জেলার বিভাগীয় মামলা নং ০৪/১৬ তারিখ ১৯/১০/১৬ খ্রি.-এর অভিযোগসমূহ প্রমাণিত হওয়ায় বিভাগীয় মামলার শাস্তি হিসেবে গুরুদন্ড স্বরূপ তাকে ১০/০৭/১৭ খ্রি. পূর্বাহ্নে পিআরপি প্রবিধান ৮৫৭ মোতাবেক চাকরি হতে অপসরাণ করা হয়) চাকরিচ্যুত করা হয়।

তবে ওই কনস্টেবল এসপির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিয়ে তাকে চাকরিচ্যুত করার ঘটনায় নিজেকে নির্দোষ দাবি করে এসপি মোকতার হোসেনকে দোষারোপ করে গত ১৫ জুলাই বরিশাল রেঞ্জের ডিআইজির কাছে আপিল করেছে (স্মারক নং বিএমপি (সিআরও/ ০৭-১৭/২৭১১)। এ ঘটনা নিয়ে পুলিশ প্রশাসনে ব্যাপক তোলপাড় শুরু হয়েছে। নারী কনস্টেবলদের সাথে এসপি ও তার অর্ডালি মনিরের ফোনে কথোপকথনের অডিও রেকর্ড এবং চাকরিচ্যুতির আদেশের বিরুদ্ধে কনস্টেবল মনিরের আপিলের নথিপত্র এ প্রতিবেদকের হাতে রয়েছে। এদিকে নিজেকে নির্দোষ দাবি করে বিভাগীয় মামলার চূড়ান্ত আদেশের বিরুদ্ধে গত ১৯ জুলাই বরিশাল রেঞ্জের ডিআইজি বরাবরে আপিল করেছেন কনস্টেবল মনির (স্মারক নং বিএমপি (সিআরও)/ ০৭-১৭/২৭১১)। এ আপিলও খারিচ করে দিয়েছে ডিআইজি বরিশাল এমনটাই জানা গেছে। চাকরীচ্যুত মনির অপিলে বলেছেন, ভোলায় কর্মরত থাকা অবস্থায় এসপির বাসভবনের গার্ড রুমে অর্ডালি হিসেবে দায়িত্ব পালন করতেন। এসপি সরকারি বাসায় একাই থাকতেন। এসপির স্ত্রী ঢাকায় থাকতেন। ২০১৬ সালের জুলাই মাসের শেষ সপ্তাহে পুলিশ সুপারের (এসপি মোকতার) অফিসের রিভিশন শাখায় কর্মরত নারী কনস্টেবলকে বিভিন্ন প্রলোভনে এসপির বাসায় আনার ব্যবস্থা করার জন্য তাকে বলা হলে তিনি ওই নারী কনস্টেবলের সঙ্গে কথা বলেন। ওই নারী কনস্টেবল এসপির কথায় তার বাসায় না আসায় আরেক নারী কনস্টেবলকে তার বাসায় আনার ব্যবস্থা করার নির্দেশ দিয়ে বলেন, একজন নারী কনস্টেবল পুলিশ লাইনসে বদলি হইয়াছে তাকে ভালোভাবে বুঝিয়ে সরকারি বাসভবনে আনার ব্যবস্থা করতে হবে। নারী কনস্টেবলদের জবানবন্দিতে আসল দোষীর কথা (এসপির বিরুদ্বে) উল্লেখ থাকলেও তার বিরুদ্ধে (এসপির বিরুদ্ধে) ব্যবস্থা না নিয়ে তার বিরুদ্ধে একতরফা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।

উক্ত অভিযোগে জানা গেছে, মনির নামের এক কনস্টেবল এসপির অর্ডালি নিযুক্ত হওয়ার পর এসপি তাকে দিয়ে নারী কনস্টেবলদের কাছে নানাভাবে আকারে ইঙ্গিতে অনৈতিক প্রস্তাব দেয়া শুরু করেন। এসপির কথায় কনস্টেবল মনির একাধিক নারী কনস্টেবলকে এসপির বাংলোতে আসার প্রস্তাব দেন। ফোন করে কনস্টেবল মনির এসপির বাংলোতে এক নারী কনস্টেবলকে একাধিকবার ডাকেন। ওই কনস্টেবল বিষয়টি বুঝতে পেরে অন্য নারী কনস্টেবলদের সাথে শেয়ার করেন। এভাবে একে অপরের সাথে ফোন করে জানতে পারেন এসপির নির্দেশে কনস্টেবল মনির শুধু একজনকে নয়, অন্যদেরও একই ভাষায় এসপির বাংলোতে আসার আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। এক কল রেকর্ডে একজন নারী কনস্টেবলের সাথে এসপির কথা বলার তথ্য ও পাওয়া গেছে। এসব অপরাধে এসপি মোকতারের কিছুই হয়নি বরং ভিকটিমদের শাস্তি মুলক বদলী করা হয়েছে।

অভিযোগ আছে এসপি মোকতার নিজেকে আওয়ামীলীগের নেতা হিসেবেও পরিচয় দেয়। এসপি মোকতার নাকি আওয়ামী লীগের সবচেয়ে বড় নেতা। তবে অভিযোগ রয়েছে এসপি মোকতার হোসেন বিএনপি জামায়েত পন্থি। শুধু ভূলক্রমে বিএনপির আমলে চাকুরী হারানোর কারণে এখন আওয়ামী লীগ পন্থি হয়েছেন। তার এক ভাই বিএনপি থেকে ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন করেছেন বলেও গুঞ্জন রয়েছে। বিএনপির আমলে চাকরী ফিরে পেতে তিনি গিয়াসউদ্দিন মামুনের কাছেও গিয়েছেন। ওই সময় গিয়াসউদ্দিন মামুন তাকে আপিল করতে বলেছে। বর্তমানে এসপি মোকতার হোসেন ভোলা জেলার ডিবি ওসি (জামায়েত পেনেল) কে দায়িত্ব দিয়ে রাখছেন। এই ওসি ডিবি মিলেই এসপি ভোলা জেলাকে মাদকের স্বর্গরাজ্ব্যে পরিনত করছেন বলে ভোলার সচেতন মহল মনে করছে।

জানা গেছে, এসপি‘র বাসায় এসে তাকে সেবা যত্নের মাধ্যমে এসপিকে খুশি করলে (শারীরিক সম্পর্ক) নারী কনস্টেবলদের ভবিষ্যৎ ভালো হবে-এমন প্রস্তাব দিয়ে অর্ডালি মনির এসপির নির্দেশে নারী কনস্টেবলদের ফোন করা শুরু করে। কয়েকদিন এভাবে যাওয়ার পর এসপি মোকতার নিজের মোবাইল দিয়েও সরাসরি নারী কনস্টেবলদের অনৈতিক প্রস্তাব দেয়া শুরু করেন। ভুক্তভোগী নারী কনস্টেবলরা কাউকে কিছু বুঝতে না দিয়ে ২০১৬ সালের ১৫ আগস্ট রের্কডসহ তারা মৌখিকভাবে এসপির বিরুদ্ধে উইমেন পুলিশ নেটওয়ার্কের প্রধান ডিআইজি মিলি বিশ্বাসের কাছে অভিযোগ করেন। নারী কনস্টেবলদের অভিযোগ শোনার পর ডিআইজি মিলি বিশ্বাস হতভম্ব হয়ে পড়েন। তিনি দ্রুত বিষয়টি পুলিশ সদর দফতরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের অবগত করেন।

সূত্র জানায়, এ ঘটনায় কনস্টেবল মনিরের বিরুদ্ধে বরগুনায় বিভাগীয় মামলা হয় (নং ০৪/১৬ তারিখ ১৯/১০/১৬)। কিন্তু এসপি মোকতার হোসেনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিয়ে তাকে ভোলায় বহাল তবিয়তে রাখা হয়েছে।
সূত্র জানায়, ভোলায় নানা ধরনের অপকর্মে জড়িয়ে পড়েছেন এসপি মোকতার। তিনি চট্টগ্রামে ডিসি ডিবি থাকাকালীন একটি প্রভাবশালী মাদক চক্রের সাথে পরিচয় হয়। সেই চক্রটির মাধ্যমে টেকনাফ থেকে ভোলায় মাদকের সম্রাজ্ঞ্য গড়ে তুলেছেন এসপি মোকতার হোসেন। মাঝে মাঝে আইওয়াশ করতে গাজা এবং বিয়ার ধরে মিডিয়ার সামনে হাজির হন। এমনকি মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে জিহাদ ঘোষনা করেন শুধু তার ফেসবুকে। প্রকৃত পক্ষে ভোলায় তিনি নিজেই টেকনাফ থেকে চট্টগ্রাম হয়ে বিভিন্ন রুটে মাদক আনছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। এগুলো ভোলায় তার দুইজন ডিবি পুলিশের সদস্য ও সোর্স দিয়ে বিক্রি করেন। সম্প্রতি ‌এক ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদকের ছেলেকে দেড় লক্ষ পিচ ইয়াবা সহকারে গ্রেফতার করে ৫ লক্ষ টাকা ঘুষ নিয়ে ছেড়ে দেন এসপি মোকতার হোসেন। জানা গেছে, ওই মাদকের চালানটির সাথে এসপি মোকতারের শেয়ার ছিল। চট্টগ্রাম থেকে ভোলায় ইয়াবা আসার পর ইয়াবা সম্রাট জোটন তা রিসিভ করে এবং অন্যান্য মাদক বিক্রেতাদেরকে দিয়ে তা বিক্রি করায়। কিন্তু এই মাদকের চালানের সাথে যে এসপি মোকতারের সম্পর্ক রয়েছে তা জানতো না গ্রেফতারকৃত পুলিশ সদস্যরা। পরে মাদক আসক্ত বলে পাঁচ লক্ষ টাকা নিয়ে জোটনকে ছেড়ে দেয় পুলিশ। তবে প্রশ্ন হল ওই দেড় লক্ষ পিচ ইয়াবা গেল কোথায়??? জানা গেছে, এগুলো পাইকারী বাজার দরে এসপি কিছু বিক্রি করে দিয়েছেন ভোলায় এবং বাকি গুলো রেখেছেন তার কথার বাহিরে যে আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীরা কথা বলবে তাদেরকে সাহেস্তা করতে।

এছাড়াও তিনি পূর্বে যেসব জায়গায় কাজ করছেন সেখানেও নানা ধরনের কুকীর্তির অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। শুধু ভোলায় নয় সিরাজগঞ্জে এডিশনাল এসপি থাকা অবস্থায়ও নারী কনস্টেবলকে অনৈতিক প্রস্তাব দিতেন এসপি মোকতার। এক নারী কনস্টেবলকে ফোন করে অফিসে ডেকে তার সাথে শারীরিক সম্পর্ক করার প্রমাণও মিলেছে একটি অডিও রেকর্ডে। যা কিছুদিন আগে সাপ্তাহিক অপরাধ বিচিত্রায় প্রকাশিত হয়। এই অডিও রেকর্ড আমাদের কাছে এসেছে। ওই অডিও রেকর্ড হুবাহুব নিজে তুলে ধরা হলঃ বগুড়ার মেয়ে ও এসপি মোকতার হোসেন বরিশালের ভাষায় কথা বলে।
মেয়েঃ এই তো কোথায় আপনে??
মোকতার হোসেনঃ ঘুমাইতে ছো নাকি??
মেয়েঃ হে…..
মোকতার হোসেনঃ ঘুমাইতে ছো????
মেয়েঃ হা ঘুমাচ্ছি. কই আপনে??
মোকতার হোসেনঃ বাসায়??
মেয়েঃ হা রুমে
মোকতার হোসেনঃ হা আমি অফিসে, কি কর???
মেয়েঃ এই তো অফিস থেকে আসি খুব মাথা ব্যাথা করতে ছিল তাই শুইছি।
মোকতার হোসেনঃ তোত দেখা করলা না.. একটা সুযোগ ছিল।
মেয়েঃ যাইতে চাইছিলাম, মুন্সি বেটা ভাল না, বললাম আমারে আজ ডিউটি দিয়েন না কালকে দিয়েন, তাও কচ্ছে পোর্স নাই আজকের দিনটা কর।
মোকতার হোসেনঃ না সার নাই.. আজকে আমি একবারে ফ্রি ছিল।
মেয়েঃ হিম…
মোকতার হোসেনঃ একবারে ফ্রি ছিল।
মেয়েঃ ফ্রি ছিলেন……..???
মোকতার হোসেনঃ হে হে …..
মেয়েঃ আজকে????
মোকতার হোসেনঃ আজকে তো শুভাষ (বর্তমানে পুলিশ সদর দপ্তর দুর্নীতির দায়ে সংযুক্ত এবং সাবেক ঝালকাটি ও ফরিদপুরের এসপি, তৎকালীন সিরাজগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার) নাই এসপি সার নাই কেই নাই।
মেয়েঃ নুসরাত??
মোকতার হোসেনঃ হে??
মেয়েঃ নুসরাত কই গেছে??
মোকতার হোসেনঃ ও তো চলে গেছে আড়াইটার দিকে।
মেয়েঃ আড়াইটার দিকে চলে যায়??
মোকতার হোসেনঃ হি……
মেয়েঃ হি হি তারপর পোস্টিং হয়নি এখনো??
মোকতার হোসেনঃ হো হো…

এসব অভিযোগের বিষয়ে এসপি মোকতার হোসেনের বক্তব্য জানতে ফোন করা হলে তিনি ফোন ধরেন নি। জানা গেছে, এসপিকে তার সরকারী ফোন নাম্বারে ফোন করলে অপরিচিত কারো ফোন তিনি ধরেন না। এছাড়াও তিনি তার ব্যক্তিগত ফোনে সব সময় বিভিন্ন মেয়েদের সাথে অশ্লীল কথায় মগ্ন থাকেন তাই সরকারীর ফোন রিসিভ করেন না।

 

Advertisement

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here