ইরতিয়া রুহুল আমীন ঃ
ভূমি অফিসের দুর্নীতি কারো অজানানয়। কম বেশী প্রায়ই অফিসে নাম জারী জমাভাগ খারিজা বা মিস কেস করতে কেহ খালি হাতে অফিস থেকে বের হতে পারেনা। আর যদি ওই অফিসের এ্যাসিল্যান্ড বা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মহিলা হয়। তাহলে ঘুষের পরিমাণ অতিমাত্রায় বৃদ্ধি পায়।
খোদ রাজধানীর প্রাণ কেন্দ্র মতিঝিল সার্কেলের সাবেক এ্যাসিল্যান্ড বা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মমতাজ বেগমের বিরুদ্ধে একটি মিস কেসে সীমাহীন দূর্নীতির অভিযোগ পাওয়া গেছে।
জানা গেছে, একটি মিস কেস নং-২০৩/১৬ বাদী আঃ হালিম সহ ৯ জন। এরা সবাই ভূমি দস্যু। দনিয়া মৌজার একশ শতাংশের উপরে হিন্দু সম্প্রদায়ের জমি জাল/ভূয়া দাতা দাড় করে রেজিষ্ট্রি করে নেয়। এর মধ্যে ১/১, খতিয়ান, ক, খ খতিয়ান, অর্পিত খতিয়ান, খাস খতিয়ান সম্পত্তি রয়েছে। যার দলিল বলে ঢাকা জজ কোর্ট হতে একতরফা ডিগ্রী জারী করে পক্ষে রায় নেয়।
এদিকে উক্ত রায়ের পরিপ্রেক্ষিতে মতিঝিল সার্কেলের সাবেক নামজারী সহায়ক মোঃ সোলেমান এর সাথে আঃ হালিম যোগাযোগ করে ২০ লক্ষ টাকার বিনিময় গোপন চুক্তি হয়। উক্ত অফিসের সাবেক এ্যাসিল্যান্ড মমতাজ বেগম নথি জমা দিবার জন্য বলেন। নাম্বার পরে মিস কেস নং-২০৩/১৬, এভাবে মামলা চলতে থাকে একতরফা ভাবে। প্রায় বছরের কাছাকাছি চলে আসে মামলায় রায় দিবার জন্য ৩/৪ টা তারিখ পরে। পরিশেষে উক্ত অফিসের সোলেমান আঃ হালিমকে জানান। সব জমি মিস কেসের মধ্যে নামজারী হবেনা। তবে ম্যাডাম ৬১ শতাংশ জমি নামজারী করতে রাজী হয়েছেন। সেক্ষেত্রে টাকার পরিমাণ ৩৩ লাখ লাগবে। নাহলে ম্যাডাম মমতাজ বেগম কেস খারিজ করে দিবেন। পরিশেষে ৩৩ লাখ টাকার বিনিময়ে ৬১ শতাংশ জমির নামজারী দেয়।
উক্ত ৬১ শতাংশ জমির পক্ষে রায় পান এবং খাজনা পরিশোধ করেন। প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত সব ধাপগুলো সোলেমান করে দেন। এই দনিয়া মৌজার ৬১ শতাংশ জমির মূল্য কয়েক কোটি টাকা।
এদিকে আর একটি ভূমি জালিয়াতি চক্র উক্ত জমি মিস কেসের সংবাদ পেয়ে ঢাকা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে এডিসি রাজস্ব বরাবর আপীল দায়ের করেছে। এভাবে মতিঝিল সার্কেলের নামজারী সহায়ক সোলেমান এর মাধ্যমে সাবেক এ্যাসিল্যান্ড মমতাজ বেগম কয়েক লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে বলে বেশ কিছু অভিযোগ পাওয়া গেছে। যার পরিপ্রেক্ষিতে বর্তমানে সোলেমানকে ক্যান্টনমেন্ট সার্কেলে মমতাজ বেগম বদলী করে নেয়। বর্তমানে ক্যান্টনমেন্ট সার্কেলের এ্যাসিল্যান্ড মমতাজ বেগম দুর্নীতির দূর্গে পরিণত করেছেন।