জাতীয় সংসদের ২০ নম্বর নির্বাচনী এলাকা রংপুরের বদরগঞ্জ ও তারাগঞ্জ উপজেলা। এটি রংপুর-২ আসন।
আগামী নির্বাচনে এ আসনে মনোনয়ন পাওয়া নিয়ে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও বিরোধী দল জাতীয় পার্টিতেই বেশি মাতামাতি। এরই মধ্যে শুরু হয়েছে দুই দলের সম্ভাব্য প্রার্থীদের দৌড়ঝাঁপ। অন্যদিকে সংসদের বাইরে থাকা বিএনপি এবং নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধন হারানো জামায়াতের তত্পরতা চোখে পড়ার মতো নয়।ভোটারদের দৃষ্টি কাড়তে রংপুর-২ আসনের অনেক প্রার্থী নিজেদের বড় বড় ছবি প্রদর্শন করে পোস্টার, বিলবোর্ড লাগিয়েছেন রাস্তার মোড়ে মোড়ে। আবার কেউ কেউ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকেও রয়েছেন সরব। বিভিন্ন দলের সম্ভাব্য প্রার্থীর নামে ইতিমধ্যে খোলা হয়েছে ফেসবুক আইডি। মনোনয়নপ্রত্যাশীদের ছবি দিয়ে ফেসবুকে ভোটারদের কাছে জানতে চাওয়া হচ্ছে কার কেমন জনপ্রিয়তা।
জানা যায়, স্বাধীনতা-পরবর্তীকালে রংপুর-২ (বদরগঞ্জ-তারাগঞ্জ) আসনটি দখলে ছিল আওয়ামী লীগের। এ আসন থেকে আওয়ামী লীগের বর্ষীয়ান নেতা আনিছুল হক চৌধুরী পাঁচবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
১৯৯৬ সালে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর তিনি যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। অবশ্য এর আগে ১৯৯১ সালে এ আসনে নির্বাচিত হন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। পরে এরশাদ আসনটি ছেড়ে দিলে উপনির্বাচনে জয়লাভ করেন দলের নেতা পরিতোষ চক্রবর্তী। এর পরের সংসদেও নির্বাচিত হন জাতীয় পার্টির প্রার্থী। সর্বশেষ ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে এ আসন থেকে নির্বাচিত হন বদরগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল কালাম মো. আহসানুল হক চৌধুরী ডিউক ওরফে ডিউক চৌধুরী। ওই নির্বাচনে জাতীয় পার্টির প্রার্থী ছিলেন তাঁরই চাচা আসাদুজ্জামান চৌধুরী সাবলু। যদিও রাজনৈতিক টানাপড়েনের কারণে দলীয় চেয়ারম্যানের নির্দেশে তিনি মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নেন। ফলে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন আওয়ামী লীগের প্রার্থী ডিউক চৌধুরী।