ইরাকের রাজধানীর বাগদাদে ইরানের জেনারেল কাসেম সোলাইমানিকে হত্যার পর থেকে মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা বিরজা করছে। সোলাইমানি হত্যার প্রতিশোধের অংশ হিসেবে এক ডজনেরও বেশি ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়ে ইরাকে অবস্থিত একটি মার্কিন ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দিয়েছে ইরানের ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনী।
বুধবার ভোরে ইরাকের ঘাঁটিতে হামলায় যুক্তরাষ্ট্রের ৮০ জন সেনা নিহতের পাশাপাশি ২০০ মার্কিন সেনা আহত হয়েছেন বলে দাবি করেছে ইরান। ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ব্যাপকভাবে মার্কিন হেলিকপ্টার ও সামরিক সরঞ্জাম ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
ইরানের দাবি, আত্মরক্ষার স্বার্থে আমেরিকার বিরুদ্ধে সমানুপাতিক পদক্ষেপ নিয়েছে এবং মার্কিন ঘাঁটিতে হামলা চালিয়েছে।
ইরাকের মার্কিন ঘাঁটিতে ইরানের হামলায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশ প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে রাশিয়া, যুক্তরাজ্য, ভারত, পাকিস্তান, ফিলিপাইন, ডেনমার্ক, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, জাপান ও আরব আমিরাতসহ অনেক দেশ।
এদিকে, মধ্যপ্রাচ্যের চলমান উত্তেজনা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রকে কড়া হুঁশিয়ারি দিয়েছে রাশিয়া। দেশটির সংসদ সদস্য ভ্লাদিমির দিজাবারভো বলেছে, যুক্তরাষ্ট্র যদি আরও অগ্রসর হয় তাহলে পরমাণু যুদ্ধের মতো বিপজ্জনক পরিস্থিতি সৃষ্টি হবে।
রাশিয়ার ওই সংসদ সদস্য আরও বলেন, ইরান ও যুক্তরাষ্ট্রের হামলা-পাল্টা হামলার ফলে মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে যুদ্ধ ছড়িয়ে পড়তে পারে। যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানকে থামাতে তিনি জাতিসংঘের প্রতিও আহবান জানিয়েছেন।
এদিকে, আজ মন্ত্রিসভার বৈঠকে ইরানের প্রেসিডেন্ট ড. হাসান রুহানি বলেন, ইরাকে জেনারেল সোলাইমানিকে তার সহযোদ্ধাসহ হত্যার ঘটনা আন্তর্জাতিক সকল রীতিনীতির লঙ্ঘন। ন্যাক্কারজনক এই হত্যাকাণ্ডকে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদ ও সুস্পষ্ট যুদ্ধাপরাধ বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
ইরানের প্রেসিডেন্ট হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, আমেরিকা যদি এরপরও কোনোরকম অপরাধী কর্মকাণ্ড করে তাহলে এর চেয়েও কঠোর জবাব পাবে।