মেম্বার সালাউদ্দিনের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন অপচেষ্টা চালানো হচ্ছে আসল অপরাধী ট্রাক ড্রাইভার

0
531

হাবিব সরকার স্বাধীন : জনপ্রতিনিধি মেম্বার সালাউদ্দিন এর ভাইরাল ভিডিও রহস্য উন্মোচন জনসম্মুখে উপস্থাপন করা হলো।গতকাল থেকে অনেকেই ফেজবুকে একটি ভিডিও ভাইরাল হওয়ার ঘটনা দেখেছেন যা আসল রহস্য সম্পূর্ণ বিষয়টা ধামাচাপা দিয়ে ভিডিওটি প্রকাশ করা হয়।  আপনাদের সামনে তুলে ধরবো সত্য বাস্তবতা। ডায়মন্ডের ব্যাপারে কোনো কর্মকাণ্ড ইতিপূর্বে যোগাযোগ মাধ্যমে কারো অজানা নয় প্রকৃতির নাম্বার সালাউদ্দিনকে চাপা দিয়ে উপর থেকে ফেলে দেয় দুইবার ড্রাইভার যাদের কোনো লাইসেন্স নেই। আসুন আসল ঘটনা। কি ঘটেছে মেম্বার সালাউদ্দিন ও দুই ড্রাইভারের সাথে।বিষয়টি গতকাল থেকে সবার মত আমিও ফেসবুকে দেখেছি, ভিডিওটি দেখে আমিও মর্মাহত হয়েছি, একজন জনপ্রতিনিধির আচরণ এমন হতে পারে না।যাই হোক বিস্তারিত জানার জন্য অনুসন্ধান করি।অনুসন্ধানে প্রকাশ পায় বেপরোয়া ড্রাইভারের অশ্লীল আচরণ, স্থানীয় প্রতিনিধিদের সাথে কথা হয়।  সেখানে পত্যক্ষদর্শীদের সাথে কথা বলি এবং মেম্বার সালাউদ্দিন ও হাসপাতালে থাকা দুই ড্রাইভারের সাথেও কথা বলে জানা যায়।

Advertisement

আসলে ভিডিওতে আমরা যা দেখেছি সেটা দেখে বিচার করেছি আর ভিডিও এর আগে যা ঘটেছে সেটা আমরা দেখিনি তাই সেই বিচার বিবেচনা আমরা করতে পারিনি। মুল ঘটনাটি ঘটেছে বাপ্তা পরিষদ সংলগ্ম ভোটেরঘর এলাকায়, সেখানে সালাউদ্দিন ও সচিব নোমান কে গাড়ীটি ধাক্কা দিয়ে চলে গেছে, সালাউদ্দিন হোন্ডাসহ পড়ে গিয়ে স্থানীয়দের সহযোগীতায় উঠে দেখেন গাড়ীটি চলে গেছে কোন প্রকার সহনশীল না হয়ে।এর পর সালাউদ্দিন ঘাটে গিয়ে ওই ড্রাইভারের কাছে জানতে চান কেনো তাকে পেলে দিয়ে ড্রাইভার গাড়ী চালিয়ে চলে আসলো?  তখন ড্রাইভার নমনীয় না হয়ে উল্টা আরো কয়েকজন ড্রাইভার মিলে সালাউদ্দিনের উপর চড়াও হয়।ড্রাইভাররা জানতো না যে সালাউদ্দিন স্থানীয় মেম্বার, এক পর্যায়ে নিজের রাগ নিয়ন্ত্রণ করতে না পেরে সালাউদ্দিন আঘাত করেছে ড্রাইভার কে, আর ড্রাইভার কে আঘাত করার ভিডিওটা-ই ভাইরাল হয়েছে। এই ঘটনা কেন্দ্র করে কিছু লোক স্বার্থ হাসিল করার চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

রাস্তায় ট্রাক ড্রাইভাররা কতটা বেপরোয়া এটা আমাদের সবার জানা, বিশেষ করে ইলিশা সড়কে  যারা নিয়মিত পথচারী আমরা তার ভুক্তভোগী।

যাই হোক সালাউদ্দিন মেম্বার যেটা করেছে এটা তার অন্যায় হয়েছে, একজন জনপ্রতিনিধি এতটা নিয়ন্ত্রনহীন হলে চলবে না, তিনি বয়সে তরুণ হলেও দায়িত্বশীল স্থানে তিনি প্রবীণ এটা তার বুঝতে হবে।

তবে ঘটনার পর তিনি ফেসবুক লাইভে এসে ক্ষমা চেয়েছে এজন্য তাকে ধন্যবাদ, আশা করি ভবিষ্যতে এই ধরনের কাজ থেকে তিনিসহ সকল দায়িত্বশীলরা আরো সচেতন হবে এবং সালাউদ্দিন মেম্বার যেহেতু ক্ষমা চেয়েছে এবং দুই ড্রাইভারের সাথে হাসপাতালে তার পক্ষ থেকে দেখা করে দুঃখপ্রকাশ করা হয়েছে। তার পরেও যদি তারা আইনগত ব্যবস্থা নেয় তদন্তসাপেক্ষে পুলিশ ব্যবস্থা নিবে এবং সুষ্ঠু সমাধানের আশ্বাস ও দিয়েছেন পূর্ব ইলিশার ইউপি চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন ছোটন।

তাই আমরা প্রথম বারের মত সালাউদ্দিন মেম্বার কে সুযোগ দেয়, যাতে ভবিষ্যতে তিনি এই ধরনের কর্মকাণ্ডের সাথে জড়িত না হয়, দায়িত্বশীল ব্যক্তি দায়িত্বশীল আচরণ করেন।

উল্লেখ : কাছে সবাই জানতে চেয়েছেন এবং বাস্তবতা জেনে তুলে প্রকাশ করা হল। কোন পক্ষপাতিত্ব নিয়ে কথা নয়।

Advertisement

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here