সকালের নাস্তাকে দিনের সবচেয়ে জরুরি খাবার বলা হয়। কিন্তু এরপরও কিছু মানুষ আছেন যারা নানা অজুহাতে সকালের নাশতায় ফাঁকি দেন।
এক গবেষণায় দেখা গেছে, সকালের নাশতা বেশি পরিমাণে ক্যালরি পোড়াতে সাহায্য করে এবং সারাদিন ধরে রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণেও
তা সাহায্য করে। তাই প্রতিদিন সকালে স্বাস্থ্যকর এবং ভারী নাস্তা খেলে মস্তিষ্ক পুরোদিনের জন্য তৈরি হয়ে যায় এবং সারাদিন শক্তি পাওয়া যায়। সেই সঙ্গে সুস্থভাবে জীবন-যাপনে সময় হয়ে উঠবে উপভোগ্যময়- এবার আসুন জেনে নিই সকালের নাস্তায় কোন খাবারগুলো খাওয়া উচিত-
ডিম
ডিমকে বলা হয় ‘সুপারফুড’, কারণ ডিমে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এবং মিনারেলস। প্রোটিনের সব চাইতে সমৃদ্ধ উৎস হচ্ছে ডিম। এবং এতে ক্যালোরিও থাকে বেশ কম। সকালের নাস্তায় অবশ্যই প্রত্যেকের ডিম খাওয়া উচিত। একজন পূর্ণবয়স্ক মানুষ হিসেবে সকালে ২ টি ডিম খেলেই যথেষ্ট।
আটার রুটি
সকালের নাস্তার জন্য বেশ ভালো একটি খাবার হচ্ছে আটার রুটি। বিশেষ করে যারা ভারী খাবার পছন্দ করেন। সকালে পাউরুটি বা ভাত খাবার চাইতে আটার রুটি সবজি ভাজি বা ডিম অথবা ঝোলের তরকারি কিংবা কলা দিয়ে খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য ভালো।
ফলমূল
সকালের নাস্তার জন্য সব চাইতে ভালো খাবার হচ্ছে ফলমূল। কলা, আপেল, কমলা, স্ট্রবেরি, আঙুর ইত্যাদি ধরণের ফলমূল অথবা মৌসুমি ফলমূল দিয়ে সকালের নাস্তা করা সব চাইতে ভালো। ২ টি কলা, ১ টি আপেল, ১ টি কমলা, ২/৩ টি স্ট্রবেরি এভাবে শুধুমাত্র ফল দিয়ে নাস্তা করা সকালের জন্য ভালো।
রাখুন শষ্যজাতীয় খাবার
শষ্যজাতীয় খাবার খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। এতে থাকা আঁশ হৃদপিণ্ড ভালো রাখে এবং ক্ষুধা কমায়। তবে এধরনের খাবারের ক্যালরির হিসেব রাখাও জরুরি। স্বাস্থ্যগুণ থাকলেও এর মধ্যে অনেকগুলোতেই প্রক্রিয়াজাত প্রতিরূপের তুলনায় চর্বি ও ক্যালরির পরিমাণ বেশি থাকে।
সিরিয়াল
সকালের নাস্তায় শর্করা ও ক্যালরির পরিমাণ কম এমন সিরিয়াল খেতে পারেন। বাড়তি পুষ্টি পেতে ননীমুক্ত দুধ মেশানো যেতে পারে।
বাদ যাবে না সকালের নাস্তা
দিনের শুরুতে শরীরে প্রয়োজনীয় শক্তির জন্য সকালের নাস্তা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাছাড়া সকালের নাস্তা ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। সকালে নাস্তা না করা হলে শারীরিক ও মানসিক দূর্বলতা অনুভূত হতে পারে। তাই দেখা যায়, সকালে না খেলে দুপুরে বেশি ক্ষুদা লাগার কারণে দুপুরে খাওয়ার পরিমাণ বেরে যেতে পারে। তাই ওজন বাড়ার সম্ভাবনাও বেশি থাকে। তাই সকালে পুষ্টিকর খাবার খেলে এই সম্ভাবনা কমে আসবে।