শাকিব-অপুর সংসার ভাঙার বিষয়টি ছিল সময়ের ব্যাপার মাত্র। এ নিয়ে বিনোদন প্রতিদিনে একাধিকবার প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। শেষ পর্যন্ত তাই হয়। তবে যে কারণে শাকিব অপুকে ডিভোর্স দেন, তা অনেকটা ওপেন সিক্রেট। শাকিব-অপুর বিয়ের বিষয়টি এ বছরের ১০ এপ্রিল অপু নিজে প্রকাশ করেন। একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলে ছয় মাস বয়সের ছেলে আব্রামকে সঙ্গে নিয়ে উপস্থিত হন অপু। বিয়ের খবর গণমাধ্যমকে বলে দেয়ায় শাকিব খুব চটে যান। প্রথমে অপুকে স্ত্রীর স্বীকৃতি দেবেন না বলেও ঘোষণা দেন। পরে মত পাল্টে স্ত্রী হিসেবে মেনে নেয়ার কথা বলেন। তবে দুজনই আলাদা বসবাস করতে থাকেন।
তখন থেকেই তাদের ডিভোর্স হবে এমন আভাস পাওয়া যাচ্ছিল। যদিও অপু বেশ জোর গলায় বলেছিলেন, তারা সংসার করছেন এবং সুখে আছেন। এদিকে অপু বিশ্বাসের ওপর বেশ বিরক্ত হয়েছিলেন শাকিব। কারণ শাকিবের ক্যারিয়ারে জন্য যা কিছু ক্ষতিকর কিংবা যারা এ নায়কের ক্ষতি চান তাদের সঙ্গেই অপুর মেলামেশা ও আড্ডা দিতেন বলে শাকিবের অভিযোগ ছিল। গত ২৭ সেপ্টেম্বর তাদের ছেলের জন্মদিনে অপু এমন অনেককেই আমন্ত্রণ করেছিলেন যা শাকিবের পছন্দ হয়নি। এছাড়া ঘর-সংসার ছেড়ে অপুর সিনেমায় ব্যস্ত হতে চাওয়া, জুনিয়র শিল্পীদের সঙ্গে ফটোশুট এবং সিনেমায় চুক্তি হওয়া নিয়েও শাকিব চটে ছিলেন। শাকিব চাইছিলেন সিনেমা ছেড়ে দিক অপু। সন্তান-সংসার নিয়ে ব্যস্ত থাকুক। কিন্তু এসব কোনোটাই পালন করেননি অপু। নিজের মতো করেই চলছেন বলে শাকিবের অভিযোগ ছিল। সর্বশেষ অপু অসুস্থ হয়ে ছেলেকে বাসার গৃহকর্মীর কাছে তালাবন্দি করে রেখে কলকাতায় যাওয়ায় তুমুল চটে যান শাকিব। শাকিব সে সময় বলেছিলেন, একজন মা কী করে পারেন এইটুকু একটা বাচ্চাকে বাসায় বন্দি করে রেখে বিদেশ যেতে। অপুও এর জবাবে বলেছিলেন, ছেলেকে রেখে যাওয়ার মতো কেউ ছিল না বলেই বাধ্য হয়ে তা করেছেন। অন্যদিকে শাকিবের সঙ্গে নায়িকা বুবলীর জুটি হয়ে অভিনয় মানতে নারাজ ছিলেন অপু। এ নিয়ে মুঠোফোনে বুবলীকে গালাগালিও করেছিলেন তিনি। তবুও শাকিবের সঙ্গে বুবলী একের পর সিনেমায় জুটি হয়ে অভিনয় করছেন। যা অপুর জন্য অপমানের শামিল।