যে দেশের মানুষ বিশ্বাস করে পরী আছে

0
916

প্রায় ৬০ মিলিয়ন বছর ধরে আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যতপাতের অবশেষ থেকে আইসল্যান্ড দ্বীপটির উতপত্তি হলেও এখানে ভাইকিং অভিযানকারীরা বসতি স্থাপন করতে শুরু করে এক হাজার বছর আগে। আইসল্যান্ডের অধিবাসীরা আগের চেয়ে অনেক বেশি ইউরোপের মূলধারার সাথে মিশে যাওয়ার চেষ্টা করলেও তারা নিজেদের ঐতিহ্য, রীতিনীতি ও ভাষা এখনো ধরে রেখেছে। মজার বিষয় হলো, গ্রামীণ আইসল্যান্ডীয় অধিবাসীরা প্রাচীন নরওয়েজীয় পূরাণের নানা দৈত্য-দানব যেমন পরি, ট্রোল ইত্যাদির অস্তিত্বে বিশ্বাস করে।

Advertisement

আইসল্যান্ডের শতকরা ৫৪ ভাগ মানুষ মনে করে, সত্যিই পৃথিবীতে এলভস বা পরির অস্তিত্ব রয়েছে। কেউ কেউ নাকি দেখতেও পারে বিশেষ এই পরিদের। তাদের বর্ণনায়, এই পরিরা উচ্চতায় মোটামুটি তিন ফুটের মতো। পরের কান দুটি বেশ বড়সড়। আর তাদের পরনে থাকে বেশ প্রাচীন ফ্যাশনের কাপড়-চোপড়। তবে এই পরিরা ‘পয়েন্টি হ্যাট’ পরে না বলেও বেশ জোরালো বক্তব্য দেন তারা। এই পরির অস্তিত্বের বিষয়টি কিন্তু দেশের সব জায়গায় এক এক রকম নয়। এই পরিদের নিয়ে সব থেকে বেশি কল্পকাহিনী রচিত হয় হাফনারফজরোয়ার নগরে। রাজধানী রেইকিয়াভিক থেকে অল্প দূরের এই নগরকে পরিদের রাজধানী বলেও আখ্যায়িত করে থাকেন কেউ কেউ। দেশটির অর্ধেকেরও বেশি মানুষের বিশ্বাস তাদের আশেপাশেই রয়েছে পরি। যে পরিরা নানা সময়ে ত্রাতা হিসেবে তাদের রক্ষা করে বিপদ-আপদ থেকে। আইসল্যান্ডীয় শিশুরা বিশ্বাস করে বড়দিনের তের দিন আগে থেকে ১৩ জন ইউলে ল্যাডস বিশেষ এক ধরনের ‘দেবদূত’ আসে তাদের কাছে। ১৩ দিনে ১৩ জন ভিন্ন ভিন্ন ইউরে ল্যাড। যারা শিশুদের সারা বছরের কাজকর্মের ওপর ভিত্তি করে তাদের জন্য উপহার কিংবা শাস্তি নিয়ে আসে। মূলত বড়দিনের এক ভিন্ন সংস্করণ বলা যেতে পারে আইসল্যান্ডের এই ইউলে ল্যাডস সংস্কৃতিতে। শিশুদের বিশ্বাস, এই ‘দেবদূতরা’ নির্দিষ্ট একটা দিনে এসে আবার নির্দিষ্ট একটা দিনে ফিরে যায়। আর যারা ভালো তাদের কাছে ভালো দেবদূতরা আসে নানা উপহার নিয়ে। পরির অস্তিত্বে তারা এতোটাই বিশ্বাস করে যে, রাস্তার কোন জায়গায় পরি রয়েছে মনে হলে রাস্তার গতিপথই পাল্টে দেওয়া হয়। দেশটির একজন সংসদ সদস্য পরির অস্তিত্ব সম্পর্কে বলেন, একবার একটি পরির পরিবারই নাকি গাড়ি দুর্ঘটনা থেকে তার জীবন বাঁচিয়েছিল। ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক

Advertisement

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here