এম.ডি জাহিদঃ মাদকের ছোবলে ধ্বংস হচ্ছে দেশ ও জাতি। পরিবারের একজন সদস্য মাদক সেবন করলে তার পুরো পরিবারটি ধ্বংস হয়ে যায়। তার বাস্তব প্রমাণ ঢাকার পুলিশ দম্পত্তির ইউনিভারসিটিতে পুড়–য়া ঐশি মাদকের টাকার জন্য পিতা-মাতাকে হত্যা করতে দ্বিধাবোধ করেনি। বর্তমান সমাজে উরতি বয়সের ছেলে মেয়েরা নেশায় জড়িয়ে পড়ছে। যার ফলে ধ্বংস হচ্ছে পরিবার সমাজ তথা আগামী প্রজন্ম। কারণ আজকের শিশুরা আগামি দিনের ভবিষ্যত।
এসকল নেশার হাত থেকে বাঁচতে হলে অভিভাগ, তথা সমাজের বিভেকবান লোকদের এগিয়ে আসতে হবে। পুলিশের উপর নির্ভর করলেই চলবে না। বরং পুলিশকে সঠিক তথ্য দিয়ে সহযোগিতার হাত ভারাতে হবে। কিন্তু বর্তমান সমাজে দেখা যায় অলিগলিতে মাদক বিক্রি হচ্ছে পুলিশও সোর্স নিয়োগ করে মাদক ব্যবসায়ী কে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। কিন্তু বাস্তবে দেখা যায় সাধারণ মানুষ মুখ খুলতে চান না। যার ফলে মাদকের সমাহার দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। এজন্য সমাজের লোকজন ও দায় এড়াতে পারেন না। এখানে উল্লেখ্য বিভিন্ন দেশ থেকে বর্ডার বেদ করে বাংলাদেশে ডুকছে হিরোইন, ফেন্সিডিল, ইয়াবা সহ বিভিন্ন মাদক দ্রব্য। কিন্তু প্রশ্ন থেকেই যায়। বর্ডার গার্ড কি করছে তারাতো দায় এড়াতে পানেনা না। বর্ডার গার্ডদের নাকের ডগা দিয়ে মাদক আসছে, তারা কি দায়িত্ব পালন করছেন? এক দিকে বর্ডারগার্ড অপর দিকে কোষ্ট গার্ড কে বা কহারা মাদক আনা নেওয় কারচ্ছে এদের সবারই নাম জানা শুনা আছে। কিন্ত সবার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হয় না, যে সকল মাদক ব্যবসায়ী নাজরানা দেয় না তারাই কেবল বর্ডারে গ্রেপ্তার হয়। অনুসন্দানে বেরিয়ে আসছে স্থলপথ, নৌপথ এই দুই পথ দিয়ে বাংলাদেশ মাদক ডুকছে, যার ফলে বাস, ট্রেন ও নৌপথে দেশের রাজধানী সহ জেলা পর্যায় অলিগলিতে চলে মাদকের সমাহার। ধ্বংস হচ্ছে আমাদের যুব সমাজ, যার ফলে বদনামের ভাগিদার হচ্ছে জেল পর্যায় পুলিশের। তবে বাস্তব চিত্রে দেখা যায়, নারায়ণগঞ্জ জেলায় যে ভাবে মাদক কিক্রি হতো এবং পত্র পত্রিকায় দেখা যেত মাদকে ভাসছে নারায়ণগঞ্জ জেলা। বর্তমান প্রেক্ষাপটে মাদকের সমাহার চোখে পরেনা। কারণ হিসাবে জানা যায় সব কিছুরই অবদান নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার মঈনুল হক। অনুসন্ধানে জানা যায় নারায়ণগঞ্জ পুলিশ সুপার হিসাবে যোগদানের শুরুতে প্রাধানমন্ত্রী এবং আইজিপির নির্দেশে পুলিশ সুপার মাদকের বিরুদ্ধে কোন রকম আপোষ বা ছাড় দিচ্ছেন না, পালন করে যাচ্ছেন মাদকের বিরুদ্ধে জিরো ট্রলারেন্স মাদকের বিরুদ্ধে কোন রকম আপোষ নেই। এ সকল বিষয়ে দেখা যায় প্রতি সপ্তাহে জেলা পুলিশের সদস্যদের নিয়ে মাদক তথা অপরাধীর বিরুদ্ধে বারবার ব্রিফিং দিয়ে যাচ্ছেন। এ ছাড়া কোন পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে কোন রকম অনিয়ম, অভিযোগ পেলে সাথে সাথে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছেন। তার বাস্তব একটি উদাহরন তুলে ধরছি ফতুল্লা থানার দাপা এলাকারএকজন রাজমিস্ত্রী তার নাম নুর হোসেন একটি মামলা নিয়ে ফতুল্লা থানায় গেলে, দারোগা মাসুদ খান মামলা রুজু না করে দুই দিন নুর হোসেনকে ঘুরানো হয়। উক্ত বিষয়টি এস পি জানালে সাথে সাথে মামলা রুজু করে। দুই দিন ঘুরনোর অপরাধে দারোগা মাসুদ খানকে আড়াই হাজার থানা এলাকার কালাপাহাড় নামক স্থানে বদলি করেন। এখানেই শেষ নয় পরিশেষে গোপালগঞ্জ জেলায় বদলি করেন। এ সকল বিষয় নুর হোসেন রাজমিস্ত্ররি আমাদের প্রতিবেদকের নিকট জানান যে এখনও দেশে ভাল পুলিশ অফিসার আছে, যার ফলে মানুষ সঠিক বিচার পাচ্ছে। আমি নুর হোসেন এস পি সার্বিক সহযোগিতা পেয়ে নিজেকে ধন্য বলে মন্তব্য করেন। এবং মামলা রুজু হওয়ার সাথে সাথে আসামিও গ্রেপ্তার হয়। পুলিশ জনগনের বন্ধু পুলিশ জনগনের সেবক তার বাস্তব প্রমাণ দেখিয়ে দিলেন পুলিশ সুপার মঈনুল হক। এখানেই শেষ নয় গত ২১শে অক্টোবর নারায়ণগঞ্জ পুলিশ লাইনের মাল্টিপারপাস হলে পরিবহন সেক্টরে শৃঙ্খলা রক্ষার সাথে সড়ক দূঘটনা প্রতিরোধ যাত্রী সেবার মান উন্নয়ন ও চালক হেলপারদে প্রশিক্ষণ কর্মশালাপর উদ্ধাধন কালে পুলিশ সুপার মঈনুল হক বলেন দেশের সব চেয়ে বড় সমস্যা মাদক। মাদকের টাকা যে সকল পুলিশ সদস্য খায় তিনি নিজেও যেন মাদক সেবন করল আর পরিবারের সদস্যদের সেবন করাল। তাছাড়া ড্রাইভার চালকদের উদ্দেশ্য পুলিশ সুপার মঈনুল হক বলেন, অসংখ্যা মানুষের প্রাণ ড্রাইভাদের হাতে থাকে। ড্রাইভারদের অবহেলার কারনে জড়ে যেতে পারে শত শত পরিাবার। একটি দুর্ঘটনা সাড়া জীবনের কান্না। যা কিনা কোন দিন পূরণ হবার নয়। এজন্য প্রতিটি ড্রাইভারদের সচেতন হতে হবে।এ ছাড়া দেখা যায় অনেক ড্রাইভার নেশাগ্রস্থ হয়ে গাড়ি চালিয়ে থাকেন। চোখে ঘুম নিয়েও গাড়ি চালান, যার ফলে প্রায়ই দুর্ঘটানা ঘটে, কিন্তু বাস্তবে দেখা যায় আইন জানেন, অথচ আইন মানেন না, আইন মেনে গাড়ি পরিচালনা করুন। নিজে বাঁচুন অপরকে বাঁচান। প্রভাত রয়েছে সাবধানে চালালে গাড়ি নিরাপদে ফিরবে বাড়ি। এছারা গাড়িতে মাদক বহন বা জঙ্গী থাকলে পুলিশকে সহযোগিতা করুন। দেশ সেবায় এগিয়ে আসুন, মনে রাখতে হবে, পুলিশ আপনার বিপদের বন্ধ, সন্ত্রাসী ও মকদক ব্যবসায়ী শত্রু। এভাবে গত ২১ অক্টোবর পুলিশ লাইন্স এর মান্টিপারপাস হলে বক্তব্য রাখেন পুলিশ সুপার মঈনুল হক (পিপিএম)।