নিজস্ব প্রতিবেদক ঃ রংপুর জেলা মোটর শ্রমিক ইউনিয়নে বিএনপি, জামায়াত, শিবিরের অনুপ্রবেশে সাধারন শ্রমিকদের মধ্যে হতাশার সৃষ্টি হয়েছে। শ্রমিক সেজে অনুপ্রবেশকারীরা দলীয় স্বার্থ রক্ষার তৎপর রয়েছে।
বিএনপি অঙ্গ সংগঠন কোথায়ও দাড়াতে পারছেনা তখন এই পথ বেছে নিয়েছে। কারন দলের পক্ষে আন্দোলন করতে গিয়ে প্রশাসনের হাতে ধরা পড়লে মোটর শ্রমিক পরিচয় পত্র দেখাবে তাতেও কাজ না হলে মোটর শ্রমিক ইউনিয়ন বাস ধর্মঘট হতে শুরু করে শ্রমিক আন্দোলন তাদের পক্ষে থাকবে। সেই সুবাধে দলকে মজবুত করার জন্য এই সুযোগ ব্যবহার করে যাচ্ছে রংপুর জেলা বিএনপির সভাপতি মোজাম্মেল হোসেন, সাধারন সম্পাদক মিজানুর রহমান মিজু। অপরাধ বিচিত্রার সংবাদ দাতা রংপুর জেলা মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের কিছু তথ্য সংগ্রহ করেছে তা হলো, রংপুর জেলা মোটর শ্রমিক ইউনিয়ন রেজিঃ নং-১১৬৩ ত্রি-বার্ষিক সাধারন সভা ২০১৭ইং অনুষ্ঠিত হয়। কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল রংপুর তাং-১০/৬/১৭ইং সকাল ১০ ঘটিকায় শুরু হয়। সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন এইচ. এন আশিকুর রহমান এমপি, সভাপতি জন প্রশাসন মন্ত্রনালয়ের সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি। সন্মানিত অতিথি ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা টিপু মুন্সি এমপি। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটি সন্মানিত চেয়ারম্যান। বিশেষ অতিথি ছিলেন আবুল কালাম মোঃ আহছানুল হক চৌধুরী (ডিউক) এমপি রংপুর-২। এডভোকেট হোসনে-আরা লুৎফা ডালিয়া এমপি মহিলা আসন-৩। ডাক টেলি যোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রনালয়ের সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটি সহ-সভাপতি। আরো বক্তব্য রাখেন, তুষার কান্তি মন্ডল, সাধারন সম্পাদক আওয়ামীলীগ মহানগর রংপুর। এডঃ আনোয়ারুল ইসলাম সাংগঠনিক সম্পাদক আওয়ামীলীগ মহানগর রংপুর। প্রধান বক্তা ওসমান আলী, সাধারন সম্পাদক বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন, কেন্দ্রীয় কমিটি ঢাকা। বক্তারা সকলে সবার বক্তব্যের মাঝে বার বার বক্তব্য রেখে গেছেন রংপুর জেলায় বিএনপি, জামায়াত, শিবিরের কোন অস্তিত্ব নেই আমরা অস্তিত্ব থাকতে দিবো না। কারন তারা সন্ত্রাসী। অপরাধ বিচিত্রার সংবাদ দাতাকে প্রবীন বেশকিছু মোটর শ্রমিক নাম না প্রকাশে অনিচ্ছুক তারা বলেন, বর্তমান রংপুর জেলার মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মুকুলের পরিচয় দেন। শ্রমিক গন বলেন, ২৪ শে অক্টোম্বর ২০০৪ ইং প্রায় বিকাল ৪ ঘটিকার সময় মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের আমাদের প্রান প্রিয় নেতা মরহুম আবুল কালাম আজাদকে বিএনপির সাধারন সম্পাদক মিজানুর রহমান মিজুর নেত্রিত্বে এই মুকুল র্যাব দিয়ে ধরিয়ে দেয়। আবুল কালাম আজাদকে র্যাব ক্যাম্পে নিয়ে শারিরীক নির্যাতন করে। ২৬ শে অক্টোবর আবুল কালাম আজাদের বাড়ীর পাশে তাকে গুলি করে হত্যা করে ক্রসফায়ার দেখানো হয়। আবুল কালাম আজাদের অপরাধ ছিলো বিএনপি ক্ষমতা থাকাকালীন আওয়ামীলীগ থেকে সংসদ সদস্য নিবার্চন করবে প্রকাশ করা। ২৪ শে অক্টোবর হতে ২৬ শে অক্টোবর ২০০৪ ইং এই দুদিন মুকুল বিএনপি সাধারন সম্পাদক মিজানুর রহমান মিজুর বাড়িতে অবস্থান করে। শ্রমিক গন আরো বলেন, ২০০৪ ইং মুকুল দলের ক্ষমতা বলে রংপুর জেলা মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারন সম্পাদক পদটি জোর করে দখল করে। যে পদটি আবুল কালাম আজাদের ছিলো। ২০০৬ ইং দিকে দেশের পরিস্থিতি বুঝতে পেরে নিজেকে সাধু বা সৎ দেখানোর জন্য আবুল কালাম আজাদের স্ত্রীর সহযোগিতায় আবুল কালাম আজাদের ছোট ভাই আব্দুল মজিদকে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের তৎকালীন সহ-সম্পাদক ওসমান আলী সহযোগিতায় মজিদকে সদস্য বানিয়ে সাধারন সম্পাদক মজিদকে, মুকুলকে সভাপতি পদে নিয়োজিত করে। বর্তমান সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারন সম্পাদক। শ্রমিক গন আরো তথ্য প্রকাশ করেন, শ্রমিকদের ২০১৭ ইং নির্বাচনে ৫ জন নির্বাচন কমিশন গঠন করা হয়। যারা মুকুল এবং মজিদের বানানো নির্বাচন কমিশনার। ১০ই আগষ্ট ২০১৭ইং নির্বাচনের তপশিল ঘোষণার কথা থাকলেও মুকুল ও মজিদের কথা মতো ১৪ই সেপ্টেম্বর ২০১৭ইং তফশিল ঘোষণা দেওয়া হয়। নির্বাচন কমিশনকে জিজ্ঞাসা করতে গেলে জবাবে বলে, শ্রমিকদের পরিচয় পত্র এখনো সম্পূর্ন হয়নি। শ্রমিকগন আরো বলেন, এই এক মাসের ভিতরে মুকুল ও মজিদ পুরোনো প্রায় ২৬শো শ্রমিকের পরিচয় পত্র বিভিন্ন অপরাধ দেখিয়ে নবায়ন না করে প্রায় ২ হাজারের উর্ধ্বে বিএনপি জামায়াত শিবিরের কর্মীদের এবং মজিদের ব্যক্তি গত ক্যাডারদের ৩বছর পূর্বের তারিখ দেখিয়ে পরিচয় পত্র বানানো শেষ হলে তফশিল ঘোষণা করা হয়। তাজুল ইসলাম হারুন চৌধুরী নির্বাচনের সাধারন সম্পাদক পদপ্রার্থী সাধারন সভায় ১০ইং জুন ২০১৭ইং বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারন সম্পাদক ওসমান আলীকে করোজোরে অনুরোধ করেছিলো ৫জন নির্বাচন কমিশনের ভিতর অন্তত্ব ২জন শ্রমিককে নিয়োগ দেওয়া হউক এবং আহবাহক কমিটি বানানো হউক যাতে আসল নকল শ্রমিক বাছাইয়ে করা যেতে পারে। এবং লিখিত ভাবে তাজুল ইসলাম হারুন চৌধুরী সহ বেশ কিছু প্রবীন শ্রমিকগন জেলা প্রশাসক থেকে শুরু করে শ্রম-মন্ত্রনালয়ের সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনে লিখিত ভাবে অভিযোগ করার পরেও কোন ফল পাওয়া যায়নি। প্রবীন শ্রমিকদের মধ্যে একজন কান্না ভরা কন্ঠে বলে ফেললেন, যে মুকুল দলের ক্ষমতায় ২০০৪ ইং সালে আবুল কালাম আজাদকে ক্রসফায়ার করিয়ে হত্যা করলো তার সঙ্গে আবুল কালাম আজাদরে ছোট ভাই আব্দুল মজিদ কিভাবে সংগঠন করে। এমনকি মরহুম আবুল কালাম আজাদের স্ত্রীরকে স্বামীর লাশটাও দেখতে দেওয়া হয়নি। তাজুল ইসলাম হারুন চৌধুরী আরো বলেন, প্রায় ২৬শ শ্রমিকের পরিচয় পত্র নবায়ন করে দেওয়া হয়নি কারন চালকলীগ নামে একটি নতুন সংগঠন আওমীলীগের অঙ্গ-সংগঠন সদস্য কেন হলো মিথ্যে বলে পরিচয় পত্র নবায়ন করে দেয়নি। কেননা ২৬শ ভোটার মুকুল ও মজিদের পক্ষে ছিলোনা। এবং ২২জন শ্রমিক সদস্যদের পরিচয় পত্র বাতিল ঘোষণা করে যারা প্রতিবার নির্বাচন প্রার্থী হয়ে আসছিলো। যদি এভাবে হতে থাকে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন নেতা ওসমান আলীর সহযোগিতা থাকে তাহলে রংপুর জেলায় বিএনপি জামায়াত শিবিরের প্রভাব বিস্তার হতে বেশি সময় লাগবে না। কারন অর্থই সব। এবারও বিএনপির মুকুল ফেডারেশনের নেতা ওসমান আলীকে সন্তোষ্ট করায় সভাপতি পদে নির্বাচিত হয়েছে। ধারাবাহিক ভাবে চলবে।