রসে ডোবানো মিষ্টির পাত্রে ভাসছে মরা মাছি আর তেলাপোকা। কিছু মিষ্টির গায়ে ফাঙ্গাসও রয়েছে। মিষ্টির কারখানার চারপাশে ময়লা আর দুর্গন্ধ।
চট্রগ্রাম বিভাগের নগরের প্রসিদ্ধ দুটি মিষ্টির দোকানে অভিযান চালিয়ে এমন চিত্র পেয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ ছাড়া অপর একটি মিষ্টির দোকানে পণ্যের মোড়কে উৎপাদনের তারিখ ও মেয়াদ কোনোটিই নেই। এই তিন দোকানকে মোট তিন লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
আজ সোমবার নগরের নন্দনকানন, সিরাজুদ্দৌলা রোড ও এনায়েতবাজারে অভিযান চালান জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মাদ রুহুল আমীন। এ ছাড়া বাকলিয়া ডিসি রোড এলাকায় অভিযান চালিয়ে তিনি একটি ওষুধের ফার্মেসিকে জরিমানা করেছেন।
জেলা প্রশাসন সূত্র জানিয়েছে, অপরিচ্ছন্ন পরিবেশ ও মিষ্টিতে তেলাপোকা, মাছি পাওয়ায় নন্দন কানন এলাকার বোস ব্রাদার্সকে দুই লাখ টাকা, সিরাজুদ্দৌলা রোডের ইকবাল সুইটমিটকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। উৎপাদিত কোনো পণ্যের মোড়কের উৎপাদন ও মেয়াদের তারিখ উল্লেখ না করায় ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে এনায়েতবাজার এলাকার রয়েল বাংলা সুইট হাউসকে।
চট্টগ্রাম নগরের নন্দনকানন এলাকায় মিষ্টির দোকানে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান। ছবি: প্রথম আলোচট্টগ্রাম নগরের নন্দনকানন এলাকায় মিষ্টির দোকানে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান। ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মাদ রুহুল আমীন বলেন, ‘বোস ব্রাদার্স মিষ্টির কারখানার পরিবেশ খুবই নোংরা আর দুর্গন্ধময়। ইকবাল সুইটমিটের কারখানার অবস্থাও অপরিচ্ছন্ন। এই দুই কারখানায় কোনো কোনো মিষ্টি কবে উৎপাদন করা হয়েছে, তা কারখানার লোকজনই বলতে পারছিলেন না। আবার রয়েল বাংলা সুইট হাউস তাদের কোনো পণ্যের মোড়কে উৎপাদন ও মেয়াদ শেষ হওয়ার তারিখ উল্লেখ করেনি। সে কারণে তিন দোকানকে মোট তিন লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, মেয়াদোত্তীর্ণ, আমদানি নিষিদ্ধ ওষুধ, সরকারি ওষুধ, ফিজিশিয়ান স্যাম্পল বিক্রির দায়ে বাকলিয়া ডিসি রোড এলাকার মেসার্স এপেক্স ফার্মেসিকে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।