রাজনীতি, গনতন্ত্র ও নির্বাচন প্রসংগে

0
2202

লেখক : এস ই ইসলাম
রাজনীতি, গনতন্ত্র,নির্বাচন এ তিনটি বিষয়ের গুরুত্ব ব্যপক। এখানে এ সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত কিছু অলোচনা করা হলো।
রাজনীতি (চড়ষরঃরপং): রাজনীতি হলো এমন একটি প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে কিছু ব্যক্তির সমন্বয়ে গঠিত কোন গোষ্ঠী সিদ্ধান্ত গ্রহন করে। মুলত নাগরিক সরকার বোঝানো হয়। এছাড়াও অনেক সামাজিক, ব্যবসায়িক, শিক্ষা ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান যেখানে মানুষের মধ্যে পারস্পারিক সম্পর্ক বিদ্যমান। সেখানে রাজনীতি চর্চা করা হয়। রাষ্ট্র বিজ্ঞান হচ্ছে শিক্ষার এমন একটি শাখা যা রাজনৈতিক আচরন শেখায় এবং ক্ষমতা গ্রহন ও ব্যবহারের উপায় সম্পর্কে আলোচনা করে। ইতিহাসে খ্্্্ুজে পাওয়া যায় রাজনৈতিক চিন্তার প্লেটোর রিপাবলিক, এরিস্টটলের রাজনীতি এবং কনফু সিয়াসের কিছু লেখনিতে।
একটি রাজনৈতিক দল হচ্ছে লোকদের এমন একটি দল যারা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দিতা করা এবং ক্ষমতায় গিয়ে সরকার গঠন করার উদ্দেশ্যে একত্রিত হয়।দলটি সমষ্ঠিগত কল্যান কিংবা তাদের সমর্থকদের চাহিদা অনুযায়ী কিছু প্রস্তাবিত নীতি মালা ও কর্মসূচির ভিত্তিতে ঐক্যমত পোষন করে। আর্ন্তজাতিক ভাবে রাজনৈতিক দলের পরিচয়ও পরিচালনা পদ্ধতিতে কিছু মিল থাকলেও অনেক ভিন্নতাও দেখা যায়। গনতান্ত্রিক দেশ গুলিতে নির্বাচক মন্ডলী সরকার পরিচালনার জন্য রাজনৈতিক দলসমুহ নির্বাচন করে। অনেক দেশেই বহুসংখক শক্তিশালী রাজনৈতিক দল থাকে, যেমন জার্মান ও ভারত। আবার কিছু দেশে এক দলীয় রাষ্ট্র ব্যবস্থা প্রচলিত আছে, যেমন চীন ও কিউবা। যুক্তরাষ্ট্রে অনেক গুলো ছোট রাজনৈতিক দলের অংশ গ্রহনের সঙ্গেঁ দ্বিদলীয় রাষ্ট্র ব্যবস্থা প্রচলিত আছে।এদেশের সব চেয়ে শাক্তশালী দুটি দল আছে ডেমোক্র্যাটিক পার্টি ও রিপাবলিকান পার্টি।
গনতন্ত্রের ধারনা : সাধারন অর্থে গনতন্ত্র হচ্ছে মুলত সংখ্যাগরিষ্ঠদের স¦ার্থে গঠিত ও পরিচালিত সরকার। এর অর্থ এই নয় যে গনতন্ত্র সংখ্যালঘুর মতামত ও স্বার্থকে উপেক্ষা করবে। বরং গনতন্ত্রে আইনের দৃষ্টিতে সকলেই সমান। সুতরাং গনতন্ত্র বিশ শতকে একটি জনপ্রিয় ধারনা, যা বতর্মানে সরকার পরিচালনার সর্বশ্রেষ্ট ব্যবস্থা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। আধুনিক শাসন ব্যবস্থায় রাজনৈতিক দল একটি গুরুত্বপূর্ন প্রতিষ্ঠান। প্রতিনিধিত্ব মূলক সরকার বলতে দলীয় সরকারই বোঝায়। রাজনৈতিক দল ব্যতীত গনতান্ত্রিক রাষ্ট্রের কথা কল্পনাই করা যায়না। রাজনৈতিক দলকে কেন্দ্র করেই জনমত গঠন,দলীয় আদর্শের প্রচার সমর্থক গোষ্ঠী এবং রাজনৈতিক সচেতন নাগরিক সমাজ গড়ে উঠে।
নির্বাচন: গনতন্ত্রেক একটি মৌলিক বিষয় হলো নির্বাচন। নির্বাচন ছাড়া গনতন্ত্র চিন্তা করা যায়না। গনতন্ত্রিক শাসন ব্যবস্থায় জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যদে শাসন পরিচালনার জন্য নিবার্চনের বিকল্প নেই। রাষ্ট্র ও সরকারের বিভিন্ন স্তরে জনপ্রতিনিধি বাছাইয়ের জন্য নিবার্চন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে অংশ গ্রহন করে ভোট দানের মাধ্যমে জনগন তার এই গনতন্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করে। এজন্যই আমরা ও আশা করি বাংলাদেশের মত একটি গনতন্ত্রিক দেশেও একটি সুষ্ঠ ও সার্বজনিন গ্রহন যোগ্য নির্বাচন প্রয়োজন। তাই দৃষ্টি আকর্ষন করছি ঐ সকল দ্বায়িত্বে রত থাকা প্রতিষ্ঠান গুলোর প্রতি যারা তাদের উপর অর্পিত দ্বায়িত্ব যেন যথাযথ ভাবে পালন করেন। নাগরিক তাদের প্রতিনিধি নিবার্চনে সুষ্ঠ ভাবে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারে। প্রশাসন, নির্বাচন কমিশন, সাংবাদিক ও অন্যান্য নিয়োজিত প্রতিষ্ঠানের ব্যক্তিরা যেন তাদের প্রতি অর্পিত দ¦ায়িত্ব নিষ্ঠার সাথে পালন করেন। ভোটকেন্দ্র যেন ভোটাদের জন্য নিরাপদ থাকে। এ বিষয়ে সরকার সহ সকল রাজনৈতিক দলের প্রতি তারা তাদের দৃষ্টি ভঙ্গি যে কোন আবেগের বর্শিভুত হয়ে কোন সিদ্ধান্ত গ্রহন না করেন যাতে দেশ ও দেশের জনগনের ভাবর্মুতি উন্নত বিশ্বের কাছে ক্ষুন্ন না হয়। তাই আমাদের দেশের সরকার ও রাজনৈতিক দলের প্রতি আমার আবেদন, আপনারা অবশ্যই একত্রিত হয়ে আমাদেরকে একটি সুষ্ঠ নিবার্চনের পরিবেশ উপহার দিবেন।
পরিশেষে বলবো, ইতিহাসের পাতায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান,হোসেন শহিদ সরওয়ার্দী, শের-ই বাংলা একে ফজলুর হক, মাওলানা অবদুল হামদি খান ভাষানী, রুশবেল্ট, চার্চিল, এদের কথা উল্লেখযোগ্য। তাদের কথা আজও স্মরণীয়। মরিয়াও তারা অমর হয়ে আছেন তাদের কর্মের মাঝে।

Advertisement
Advertisement

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here