জাকির সিকদার,রাজাপুর(ঝালকাঠি)প্রতিনিধিঃ ঝালকাঠি জেলার রাজাপুরের বড়ইয়া ইউনিয়নের আরুয়া গ্রামের ওয়াকফাহ্ ষ্টেট ধ্বংসের অভিযোগ উঠেছে। রবিবার সকাল ১১টায় রাজাপুর রিপোর্টার্স ইউনিটিতে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ভুক্তভোগী উক্ত ষ্টেটের ওয়ারিশ মো.মারুফ সিকদার।তার অভিযোগে বলেন জে এল ৪১ নং উত্তর আরুয়া মৌজার আমাদের পূর্ব পুরুষ হাজী নাদের আলী সিকদার বিগত ইংরেজী ১৯/০৫/১৯২০ সালে ৩৬৫৩নং ওয়াক্ফ দলিল সম্পাদন করে ইন্তেকাল করেন । যাহার ইসি নং-৮৮১১।এস এ খতিয়ান নং-১০৪ এ ৯টি দাগে মোট জমির পরিমান ৭একর ৯ শতাংশ। ওয়াক্ফ ষ্টেটের মূল মালিক হাজী নাদের আলী সিকদার মোতাওয়াল্লী থাকা কালীন দলিলের শর্ত অনুযায়ী সমস্ত ওয়াক্ফা সম্পত্তি তার ওয়ারিশের মধ্যে বন্টন করেন এবং মসজিদের জন্য ৭৮ শতাংশ জমি রেখে যান।ওয়াক্ফ ষ্টেটের জমি সে অনুযায়ী তার ওয়ারিশগন ভোগ দখল করে আসছে। মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানী কারী মো.শহিদুল ইসলাম সিকদার এর পিতা মৃত নুর মোহাম্মদ সিকদার ওয়াক্ফ ষ্টেটের মোতাওয়াল্লী থাকা কালীন ওয়াক্ফ ষ্টেটের জমি বেদখল ও নিজের নামে জাল জালিয়াতী করার অভিযোগ পত্রে উল্লেখ করেন। এছারাও নুর মোহাম্মদ মোতাওয়াল্লী থাকা অবস্থায় ওয়াক্ফ ষ্টেটের জমির খাজনা ,ট্যাক্স , টাকা-পয়সা,ও আয়-ব্যায়ের হিসাব না দিয়ে নিজের করে আত্মসাৎ করেন। নুর মোহাম্মদ এর মৃত্যুর পর দলিল মোতাবেগ মোতাওয়াল্লী হওয়ার জন্য ৪জন ওয়ারিশ আবেদন করেন। মোতাওয়াল্লী নিয়োগের ব্যাপারে দলিলে সু-স্পষ্ট উল্লেখিত যে মোতাওয়াল্লী হবে ১.স্থায়ী বাসিন্দা২.এলাকার ভোটার হওয়া,৩.আল্লাহর পথে চলার উপযোগী। চারজন মোতাওয়াল্লী নিয়োগের দৌরে আবেদন কারীদের মধ্যে ৩নং আবেদন কারী মো.শহিদুল ইসলাম সিকদার অবৈধ পন্থায় মোতাওয়াল্লী হিসাবে দাবী করেন। যাহার বিরুদ্ধে ২নং মোতাওয়াল্লী আবেদন কারী মো.হামেদ সিকদার মীস আপীল দাখিল করেন যাহার নং-২০/১৬।জোর খাটিয়ে বিন্ন পন্থায় মোতাওয়াল্লী দাবী কারী ক্ষিপ্ত হয়ে ওয়াক্ফ ষ্টেটের অন্য ওয়ারিশ গনের উপর মিথ্যা ও হয়রানী মূলক উচ্ছেদ মামলা দিয়ে সকল সম্পত্তি দখল করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।এছারাও ওয়াক্ফ ষ্টেটের অন্য ওয়ারিশদের বিরুদ্ধে ১৭/০৮/২০১৭ ইং তারিখে এমপি ৮৭/১৭ (রাজা) মিথ্যা মামলা দিয়ে ১৪৪/৪৫ ধারা জারী করে করে টাকা পয়সার দাবী করে আসছে যা সম্পূর্ন অবৈধ।বিবাদীরা অসহায় গরীব বলে মিথ্যা মামলা করে জমিজমায় চাষাবাদ করিতে পারছে না।ওয়াক্ফ ষ্টেটের সম্পত্তি খাজনাঁ পরিশোধ না করে জাল জালিয়াতীর মাধ্যমে কাগজ পাতি দেখিয়ে নিলাম করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে মো.শহিদুল ইসলাম সিকদার। নুর মোহাম্মদ সিকদার গংদের নামে বিএস ১০০নং নতুন খতিয়ান দেখিয়ে এক একর বিশ শতাংশ জমির মালিক হিসাবে দাবী করেন।টাকা ও পেশী শক্তির জোর দেখিয়ে অবৈধ ভাবে ওয়াক্ফ সম্পত্তি আত্মসাৎ থেকে রক্ষার জন্য মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও ওয়াক্ফ ষ্টেটের দলিলের ১৩নং পরিচ্ছেদের শর্ত অনুযায়ী অসৎ,জুলুমকারী,মোতাওয়াল্লী পদ থেকে মো.শহিদুল ইসলাম সিকদরকে বরখাস্ত করার জন্য উপজেলা প্রশাসন জেলা প্রশাসক,মাননীয় প্রধান মন্ত্রীর কাছে জোর দাবী জানান। এ ব্যাপারে শহিদুল ইসলাম সিকদারের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও খুঝে পাওয়া যায় নি।