রৌমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধিঃ
ঘুষের টাকা ফিরত চেয়ে কুড়িগ্রাম ৪ আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য রুহুল আমিনকে লাঞ্ছিত করেছে এলাকাবাসী। গতকাল বিকাল ৩ টার দিকে উপজেলার বন্দবেড়, চর বন্দবেড় গ্রামে পল্লী বিদ্যুতের উদ্ধোধন অনুষ্ঠানে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান, একেএম ফজলুল হক মন্ডল চেয়ারম্যান চরশৌলমারী ইউপি, হাবিবুর রহমান হাবিল চেয়ারম্যান শৌলমারী ইউপি, কবির হোসেন চেয়ারম্যান বন্দবেড় ইউপি, জামালপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির বকসিগঞ্জ জোনাল অফিসের ডিজিএম আক্তারুজ্জামান, বকসিগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির এলাকা পরিচালক মেসবাহ উল হক তুহিন, রৌমারী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির এলাকা পরিচালক গোলাম শহিদসহ এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।
ইউপি সদস্য আব্দুল মতিন, আব্দুল হালিম, শুকুর আলী অভিযোগ করে বলেন, সাড়ে ৭ হাজার টাকা করে দেওয়ার পরেও আমরা মিটার পাইনি। চর বন্দবেড় গ্রামের এমদাদুল হক, মতিয়ার রহমান, ইসমাইল হোসেনসহ অনেকে বলেন, এমপি রুহুল আমিন তার দালালদের মাধ্যমে প্রতিটি মিটারের জন্য ৭ হাজার থেকে ৮ হাজার টকা করে উত্তোলন করেছেন। এছাড়াও টাকা দিলেও সকলের ভাগ্যে মিটার জোটেনি। অপরদিকে এলাকাবাসীরা আরো জানান, এমপি রুহুল আমিন দু’ উপজেলায় যেখানেই বিদ্যুৎ সংযোগের উদ্ধোধন করেছেন সেই এলাকার প্রতিটি মিটার মালিকের কাছ থেকে ৮ হাজার থেকে ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত দালালদের মাধ্যমে উত্তোলন করেছেন। একদিকে ২৪ ঘন্টায় ৪ ঘন্টাও বিদ্যুৎ থাকছে না। অন্যদিকে প্রতিটি গ্রামে গ্রামে নতুন বিদ্যুৎ সংযোগ দিয়ে জন গণের সাথে প্রতারনা করছে এমপি রুহুল। পাশাপাশি পল্øী বিদ্যুৎ নি¤œ মানের সামগ্রী দিয়ে কাজ করার ফলে উদ্ধোধনের সময়ই বিকট শব্দে ট্রান্সফরমার বাষ্ট হয়ে গোটা লাইনে আগুন ধরে যায়। এতে গ্রামের মানুষজন আতংক হয়ে পড়ে।
বন্দবেড় ইউপি চেয়ারম্যান কবির হোসেন জানান, এমপি রুহুল আমিন ও পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্তৃপক্ষ চর বন্দবেড় গ্রামের সবুর মাষ্টার ও সোহরাবের দ্বারা প্রতিটি মিটারে ৭ হাজার থেকে ৮ হাজার টাকা করে পর্যন্ত উত্তোলন করে। এতে ২১৮ জন গ্রাহকের নিকট থেকে মোট ১৬লাখ টাকা উত্তোলন করেন। এসবের সুষ্ঠ তদন্ত দাবী করেন এলাকার সচেতন মহলগন। জামালপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির বকসিগঞ্জ জোনাল অফিসের ডিজিএম আক্তারুজ্জামান বলেন, আমার অফিসে কোন টাকা দেওয়া হয়নি। তবে এক শ্রেণীর দালালের মাধ্যমে এ টাকা উত্তোলন করেছে। যারা টাকা নিয়েছে তদন্ত পুর্বক তাদের ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এবিষয়ে দালালদের মাধমে টাকা উত্তোলনের ঘটনাটি সত্য নয় বলে এমপি রুহুল আমিন বলেন।