কুড়িগ্রাম সংবাদদাতা
কুড়িগ্রামের প্রত্যন্ত চরাঞ্চল বন্যা কবলিত রৌমারী উপজেলার উচু এলাকায় বন্যা সহনশীল বিনা ১১ ধান চাষ করে বাম্পার ফলন দেখে কৃষক এবং বিনা ১১ধান এর কৃষি উদ্যোক্তা এরশাদ নামের ওই যুবকের মুখে হাঁসি। রৌমারী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল্যাহ আল মামুন জানান, রৌমারী উপজেলায় বিনা ধান ১১ চাষাবাদের সুত্র পাত ঘটায় এরশাদ আলী। এবং বিভিন্ন কৃষকের মাঝে বিনা ধান ১১ বিনা মূল্যে বীজ সহায়তা দিয়েছেন, যেমন কোমরভাঙ্গী গ্রামের কৃষক আমজাত হোসেন, আর্মি ওমর আলী, শহিদুল ইসলাম। যাদুরচরের গোলাবাড়ী গ্রামের আঃ ছবুর, নুর হোসেন, রৌমারী সদর ইউনিয়নের বাওয়াই গ্রামের অনেকেই ওই ১১ধানের চাষ করে ভালো ফলনের চেহারা দেখে লাভবানের মুখ দেখতে চলছে। চাক্তা বাড়ী গ্রামের কৃষক মামুন বলেন, এবার বিনা ১১ধান এক বিঘা জমিতে চাষ করে ছিলাম, পানির তলে যাওয়ার পর ভাবলাম এধান নষ্ট হয়েছে। কিন্ত পানি নেমে যাওয়ার পর একটা দুইটা ছোপায় দেখা যায়, পড়ে আল্লাহ ভরসা করে নষ্ট না করে রেখে দিলাম এবং একটু সার প্রয়োগ করেদিলাম। দেখলাম সে ধান (৬২) শতকের বিঘায় ৩০-৩৫ মন ধান পেলাম। কৃষকগন বলেন আমাদের নিচু এলাকার জন্য এই ধানের আবাদ ছারা অন্য ধান চলবে ভালো ফলন হবে না। এবং বিনা ১১ ধান পানির তলে ২৫ দিন থাকলেও তা নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা নেই। তাছাড়া আরও অনেক কৃষককে বন্যা সহনশীল বিনা ১১ধান বিনা মূল্যে বিতরন করা হয়।
উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তাদের মাধ্যমে মজিবর রহমান রৌমারী উপজেলা চেয়ারম্যান, বলেন এরশাদ এর উদ্যেগে শত শত একর জমিতে বিনা ধান ১১ চাষাবাদ হয়েছে। যা এই নিচু এলাকার জন্য বন্যায় নষ্ট হয় না। এটাই এই এলাকার জন্য মানান সই।