মাজহারুল ইসলাম, রৌমারী ঃ
কুড়িগ্রাম এর রৌমারী উপজেলার দুই মাদক ব্যবসায়ী নারীকে ১৯২ পিস ইয়াবাসহ আটক করেছে রৌমারী থানার ফাটাকৃশ্ন ইনর্চাজ মোঃ জাহাঙ্গীর আলম, ওসি। গত ৩০ অকেক্টাবর গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সকাল ১১টার দিকে অভিযান চালিয়ে ওই দুই নারীকে ১৯২ পিস ইয়াবাসহ হাতেনাতে আটক করে থানায় নিয়ে আসেন। পুলিশ ও নারীদের এলাকা সুত্রে জানা যায় এই দুই নারী শুধ মাদক ব্যবসায়ী নয় তাদের অন্যান কাজেও লিপ্ত। স্থায়ী বসবাস উপজেলার যাদুর চর ইউনিয়নের চর লালকুড়া গ্রামের আঃ সবুর আলীর কন্যা খাদিজা খাতুন (৪২) অপরজনের ঠিকানা বাউশমারী মাটের ভিটা গ্রামের হাসান আলীর স্ত্রী মঞ্জয়ারা খাতুন (৪৩) গতকাল সকাল ১১টার দিকে রৌমারী ক্লিনিকের সামনে থেকে তাদেরকে আটক করা হয়েছে। খাদিজার ব্যাগে থাকা ১৯২ পিস ইয়াবাসহ পাওয়া যায় যার ফলে তাকে মাদকদ্রব্য আইনে মামলা দেওয়া হয়। সাথে থাকা অপর নারী মঞ্জয়ারার কাছে কনো কিছু না পাওয়ার কারনে তাকে ৫৭ ধারার আইনে ফেলা হয়েছে।
তবে গ্রেফতারকৃত মাদক ব্যবসায়ী দুই নারীর বিষয়ে রৌমারী থানার ইনর্চাজ জাহাঙ্গীর আলম তার কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান দুই নারীর মধ্যে খাদিজার ব্যাগে ১৯২ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট পেয়েছি। অপরজন মঞ্জয়ারা তার কছে কিছুই পায়নি তবে সেও তার সাথে থাকার অপরাধে (৫৭ ) মামলা দেওয়া হয়েছে। আর খাদিজার বিরুদ্ধে ১৯৯০ সালের মাদকদ্রব্য য়িন্ত্রণ আইনে ১৯ (১) টেবিল এর ৯ (খ) ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে।
তবে পুলিশের জন্য একটি সুখবর রৌমারী থানায় অনেক ওসি হিসাবে দায়ীত্ব নিয়ে রৌমারীতে এসেছেন। কিন্ত জাহাঙ্গীর আলম ভিন্ন হিসাবে রৌমারী উপজেলায় পরিচিতি লাভ করেছেন। এরকারন সে রৌমারী থানায় জয়েন করার সাথে সাথেই এই উপজেলার আনাচে কানাচে মাদুকের হাটছিলো। সেই মাদকের হাটে নিজেও ক্রেতা সেজেও ঔসব মাদক সেবী ও মাদক বিক্রেতাদের চিহ্নিত করেই। ধিরে ধিরে তাদের সুকৌশলে সারা রাত আরামের ঘুম হারাম করে জীবনকে বির্ষজন দিয়ে ঠান্ডা মাথায় অভিযান চালিয়ে রৌমারীর মাদক ব্যবসায়ী সোনার ছেলে ও মেয়েদের চোদ্ধ সিকের ভেতরে প্রবেশ করাচ্ছেন। আর কুড়িগ্রাম জেলখানাটা ভরিয়ে ফেলছেন রৌমারীর মাদক বিক্রেতাদের দিয়ে।