লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে তোরাবগঞ্জ এলাকায় এক নারীকে অপহরণ করে তুলে নিয়ে দলবেঁধে ধর্ষণ ও চুল কেটে দেয়ার ঘটনায় আবুল কালাম ও তার দুই সহযোগীসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করা হয়েছে। এ ঘটনায় বাবলুকে গ্রেফতার করা হয়েছে। রাববার ভোররাতে সদর উপজেরার ভবানীগঞ্জ এলাকায় অভিযান চালিয়ে বাবুলকে গ্রেফতার করা হয়। তিন আসামীর মধ্যে এক জনের নাম অঙ্গাত হলেও গ্রেপতারকৃত বাবুল ওই এলাকার সিরাজের ছেলে। এছাড়া মামলার আসামী আবুল কালাম একই উপজেলার তোরাবগঞ্জ এলাকার আনোয়ার আলীর ছেলে। বলে জানিয়েছেন পুলিশ। এর আগে নির্যাতিত ওই নারীর মা বাদী হয়ে কমলনগর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতিন দমন আইনে মামলা দায়ের করেন।
স্থানীয়রা জানান,ঘটনার দুই দিন চল্লে এখনো পর্যন্ত মামলার প্রধান আসামী আবুল কালাম ও অন্য অজ্ঞাত আসামীকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। এদিকে ঘটনার শিকার ওই নারীকে লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে ।
পুলিশ,নির্যাতিত নারীও তার স্বজনরা জানায়, কয়েক মাস আগে পারিবারিক কলহের জের ধরে আবুল কালামের সাথে ওই নারীর বিবাহ বিচ্ছেদ হয়। শুক্রবার সন্ধ্যায় কমলনগর উপজেলার তোরাবগঞ্জ থেকে সিএনজি যোগে লক্ষ্মীপুর আসার পথে আবুল কালামসহ আরো কয়েকজন অটোচলিত সিএনজি থেকে ওই নারীকে জোরপূর্বক অপহরণ করে চোখ বেঁধে একটি ঘরে নিয়ে যায়। পরে কালাম ও তার বন্ধুরা বাবলুসহ দলবেধে রাতভর পালাক্রমে ধর্ষনকরে। এসময় কালামের দুই বন্ধু ধর্ষণশেষে মারধর করে চুল কেটে নির্যাতন করে ওই নারীর। শনিবার রাতে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে ওই নারীকে লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
কমলনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আকুল চন্দ্র বিশ^াস জানান, গনধর্ষনের ঘটনায় তিনজনকে আসামী করে মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত বাবলুকে গ্রেফতার করা হয়েছে। প্রধান আসামী আবুল কালামসহ অন্যদের ধরতে পুলিশ অভিযান অব্যাহত রয়েছে।