শরীরে বাতাস ঢুকিয়ে শ্রমিক হত্যা সহকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা : ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর

0
437
বগুড়ার কাহালুতে টাইলস কারখানায় পায়ুপথে বাতাস ঢুকিয়ে শ্রমিক রাসেল মিয়াকে হত্যার ঘটনায় সহকর্মী রুবেল হোসেনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। শনিবার দুপুরে নিহতের বাবা আবদুল হান্নান কাহালু থানায় হত্যা মামলা করেন। ঘটনার পর কারখানার লোকজন রুবেলকে আটক করে পুলিশে দেন। শনিবার বিকালে রুবেলকে আদালতে হাজির করে ৭ দিনের রিমান্ড চাওয়া হয়েছে। তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-৪-এর বিচারক আহসান হাবিব। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কাহালু থানার এসআই দুলাল।
পুলিশ ও এলাকাবাসী জানান, কাহালুর বীরকেদার ইউনিয়নের ডেপুইল এলাকায় আবুল কালাম আজাদের এবিসি টাইলস কারখানায় স্থানীয় মীরপাড়া গ্রামের আবদুল হান্নানের ছেলে রাসেল মিয়া ও নওদাপাড়া গ্রামের জাহাঙ্গীর হোসেনের ছেলে রুবেল হোসেন শ্রমিকের কাজ করতেন। শুক্রবার সকাল ৭টার দিকে রুবেল কম্প্রেসারের পাইপ রাসেলের পায়ুপথে ঢুকিয়ে বাতাস দেয়। এতে রাসেল অসুস্থ হয়ে পড়ে। তাকে দ্রুত বগুড়া শজিমেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এছাড়া রুবেলকে আটক করে কাহালু থানা পুলিশে দেয়া হয়েছে। পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে রুবেল প্রথমে স্বীকার করে যে সে রসিকতার ছলে এ কাজ করেছে। পরে অস্বীকার ও অসংলগ্ন কথা বলে।
শজিমেক হাসপাতালের উপপরিচালক নির্মলেন্দু চৌধুরী জানান, পায়ুপথে বাতাস দেয়ায় রাসেলের নাড়িভুঁড়ি ছিঁড়ে যায় এবং লিভার অকেজো হয়ে পড়ে। দ্রুত প্রেসার নেমে যায়। অনেক চেষ্টা করেও তাকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি। শুক্রবার বেলা ২টা ৫০টা মিনিটে রাসেল মারা যায়। কাহালু থানার ওসি নুর-ই-আলম সিদ্দিকী জানান, শনিবার দুপুরে নিহতের বাবা থানায় রুবেলের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেছেন। বিকালে তাকে সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় আর কেউ জড়িত আছে কিনা, সে ব্যাপারে খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
এদিকে রাসেল মিয়ার মরদেহ শুক্রবার সন্ধ্যায় গ্রামের গোরস্থানে দাফন করা হয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে লাশ বাড়িতে নিলে বাবা-মাসহ স্বজনরা আহাজারি করেন। শনিবার বিকালেও তার পরিবারের সদস্যদের মাঝে আহাজারি চলছিল। তার মা আছুমা বিবি, বাবা আবদুল হান্নান, আত্মীয়স্বজন ও টাইলস কারখানার সহকর্মীরা ঘাতক রুবেলের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন। কারখানার ম্যানেজার কামরুজ্জামান জানিয়েছেন, রাসেলের পরিবারকে সাধ্যমতো সহযোগিতা করা হবে।
Advertisement

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here