নায়িকা অপু বিশ্বাসকে ডিভোর্স লেটার পাঠানোর কারণ প্রসঙ্গে চিত্র নায়ক শাকিব খানের আইনজীবী শেখ সিরাজুল ইসলাম সিরাজ বলেছেন, বিয়ের সময় ধর্মান্তরিত হয়ে অপু বিশ্বাস শাকিব খানকে বিয়ে করেছিলেন। কথা ছিল তিনি মুসলিম রীতিনীতি মেনে চলবেন এবং গৃহিনী হয়ে থাকবেন। কিন্তু অপু বিশ্বাস সে কথা রাখেননি।
সোমবার সন্ধ্যায় সুপ্রিম কোটের্র বার ভবনের নিজস্ব চেম্বারে সাংবাদিকদের কাছে তিনি এসব কথা বলেন।আইনজীবী শেখ সিরাজুল ইসলাম বলেন, তাছাড়া সমপ্রতি এক বছরের সন্তান জয়কে কাজের মেয়ের কাছে রেখে ঘর বাইরে থেকে তালাবদ্ধ করে ছেলেবন্ধুকে নিয়ে বিদেশ চলে যান অপু বিশ্বাস। এ খবর জানা মাত্রই শাকিব খান অপু বিশ্বাসের বাসায় ছুটে যান। কিন্তু সন্তানকে উদ্ধার করতে পারেননি। পরে সংশ্লিষ্ট থানায় এ ঘটনায় সাধারণ ডয়রি করেন শাকিব খান।আইনজীবী বলেন, এসব ঘটনায় শাকিব খান অপুকে তালাক দেয়ার সিদ্ধান্ত নেন এবং গত ২২ নভেম্বর অপু বিশ্বাসের ঢাকার বাসা, বগুড়া ও ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনে রেজিস্ট্রি করে হলফনামা আকারে তালাকনামা পাঠানো হয় পরবর্তী প্রক্রিয়া কি জানতে চাইলে এ আইনজীবী বলেন, নিয়ম হলো ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের সালিশি পরিষদ দুজনকে ডেকে নিয়ে বসবে যেন, সংসারটি ভেঙে না যায়। যদি শাকিব খান তারপরও মনে করেন এটাই তার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত, তবে ৯০ দিন পর তালাকনামা স্বয়ংক্রিয়ভাবেই কারযকর হয়ে যাবে। সন্তানের ভরণ-পোষণের দায়িত্ব সম্পর্কে তিনি বলেন, ছেলের জন্মদিনে পাঁচলাখ টাকা দিয়েছিলেন শাকিব খান জন্মদিন পালন করার জন্য। এছাড়া প্রতিমাসে ছেলের ভরণ-পোষণ বাবদ কমপক্ষে তিনলাখ টাকা দেন। দেন মোহরের সাতলাখ টাকা অপু বিশ্বাস চাইলে যেকোনো সময় দিয়ে দেয়া হবে বলেও জানান তিনি।