শাজনীন হত্যায় আসামীর ফাসি কার্যকর

0
1245

অপরাধ বিচিত্ট্রারা ‍ঃ ন্সকম গ্রুপের চেয়ারম্যান লতিফুর রহমানের মেয়ে শাজনীন তাসনিম হত্যা মামলায় গৃহকর্মী শহীদুল ইসলামের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে। বুধবার রাত ৯টা ৪৫ মিনিটে গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগারে তার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়।

Advertisement

কারা মহাপরিদর্শক (আইজি প্রিজন্স) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সৈয়দ ইফতেখার উদ্দিন সাংবাদিকদের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে মঙ্গলবার শহীদের মা এবং বুধবার দুপুরে ছোট ভাই মহিদুল ও তার স্ত্রী এবং খালাতো বোন কারাগারে এসে দেখা করে গেছেন।

চলতি বছরের ৫ মার্চ তৎকালীন প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বাধীন ৩ বিচারপতির আপিল বেঞ্চ আসামী শহীদুল ইসলামের মৃত্যুদণ্ড রায় পুনর্বিবেচনার (রিভিউ) আবেদন খারিজ করে দিয়েছিলেন আপিল বিভাগ। এই রায়ের ফলে শহীদের মৃত্যুদণ্ড বহাল ছিলো।

২০১৬ সালের ২ আগস্ট শাজনীন হত্যা মামলায় শহীদুলের মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখেন আপিল বিভাগ। তবে আপিল বিভাগে খালাস পান চারজন। তারা হলেন, শাজনীনদের বাড়ির সংস্কারকাজের দায়িত্ব পালনকারী ঠিকাদার সৈয়দ সাজ্জাদ মইনুদ্দিন হাসান ও তার সহকারী বাদল, বাড়ির গৃহপরিচারিকা দুই বোন এস্তেমা খাতুন (মিনু) ও পারভীন।

১৯৯৮ সালের ২৩ এপ্রিল রাতে গুলশানে নিজ বাড়িতে খুন হন শাজনীন তাসনিম রহমান। ঘটনায় পরদিন শাজনীনের বাবা লতিফুর রহমান গুলশান থানায় মামলা করেন।

একই বছর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি ধর্ষণ ও হত্যা মামলা করে সিআইডি। ২০০৩ সালের ২ সেপ্টেম্বর ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালত শাজনীনকে ধর্ষণ ও খুনের পরিকল্পনা এবং সহযোগিতার দায়ে ছয় আসামিকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দিয়ে রায় ঘোষণা করেন। পরে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আসামিরা আপিল করে।

তাদের আপিলের পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৬ সালের ২ আগস্ট শহীদুলের মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখেন আপিল বিভাগ। তবে খালাস পান অন্য চারজন। এরপর মৃত্যুদণ্ডের রায় পুনর্বিবেচনার (রিভিউ) আবেদন করেন শহীদুল। সেখানেও আপিল খারিজ হওয়ায় তার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়।

Advertisement

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here