আয়কর রিটার্ন দেয়ার সময় আছে মাত্র একদিন। শেষ সময়ে উপচে পড়া ভিড় দেখা যায় কর অঞ্চলগুলোতে। কোথাও সেবাগ্রহীতাদের লাইন মূল ভবন ছেড়ে রাস্তায় গড়িয়েছে। মানুষের গাদাগাদিতে স্বাস্থ্যবিধির প্রতিপালন ছিল না। এছাড়া জ্বর মাপার ব্যবস্থা ও হ্যান্ড স্যানিটাইজারের ব্যবহারও দেখা যায়নি।
রোববার (২৯ নভেম্বর) রাজধানীর সেগুনবাগিচা ও বিজয়নগরের বিভিন্ন কর অঞ্চল ঘুরে দেখা গেছে এমন অবস্থার। কর দাতারা ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে আয়কর রিটার্ন জমা দিচ্ছেন। মানুষের ভিড়ে বুথ খুঁজে না পেয়ে অনেকেই পথ হারাচ্ছেন।
বিজয়নগরের শাহন শাহ টাওয়ারে কর অঞ্চল-৪-এ রিটার্ন জমা দিতে আসা সরকারি চাকরিজীবী সামাদ বলেন, ‘আধ ঘণ্টার মতো বাইরের লাইনে দাঁড়িয়ে আছি। ভেতরে এত জটলা কেন জানি না। বৃহস্পতিবার তো জমা দিয়েছি এত ভিড় ছিল না।’
কর অঞ্চল-৪-এর ভবনের নিচে অস্থায়ী ৬টি বুথে ছিল মানুষের উপচেপড়া ভিড়। মানুষের দীর্ঘ লাইন মূল সড়কে চলে যাওয়ায় সড়কে যানজটের সৃষ্টি হয়।
বিজয়নগরের ২০৯ এ বি শহীদ নজরুল ইসলামে অবস্থিত কর অঞ্চল-৬-তেও একই চিত্রের দেখা মিলেছে। রিটার্ন জমা দিয়ে ব্যবসায়ী আবেদিন বলেন, দেখেন অবস্থা। কি ভিড়! কোথাও কোনো করোনা নেই, কোনো স্বাস্থ্যবিধির বালাই নেই।
করদাতা ও কর কর্মকর্তারা বলছেন, রিটার্ন জমা দেয়ার সময় না থাকায় ও জমা দেয়ার সময় না বাড়ানোর কারণে কর অঞ্চলগুলোতে সেবাগ্রহীতার সংখ্যা বেড়েছে।
এদিকে ৩০ নভেম্বরের পর আয়কর রিটার্নের সময়সীমা বাড়ছে না বলে জানিয়েছেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম।
রোববার (২৯ নভেম্বর) এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, রিটার্ন জমা দেয়ার শেষ দিন ৩০ নভেম্বরই থাকছে। নির্ধারিত সময়ে যারা আয়কর রিটার্ন জমা দিতে পারবেন না। তারা সংশ্লিষ্ট কর অফিসে আবেদন করতে পারবেন। তবে ২ শতাংশ জরিমানার বিষয়টি বাধ্যতামূলক নয়। গ্রাহক সঠিক সময়ে কেন রিটার্ন জমা দিতে পারেনি, এর যৌক্তিক কারণ দেখাতে পারলে জরিমানা মওকুফ করা হবে।