জল পড়ে পাতা নড়ে। শৈশবে রবি ঠাকুরের এই কবিতা শুনে জ্ঞানী-গুনিরা অনুমান করেছিলেন-এই শিশু অলৌকিক প্রতিভার অধিকারী। প্রতিটি শিশুর ভিতরেই রয়েছে সুপ্ত প্রতিভা। শৈশবে যদি পিতা-মাতা ঐ শিশুর প্রতিভা বিকাশের জন্য চেষ্টা করেন তাহলে আগামী প্রজন্মের প্রতিটি শিশু একজন রবীন্দ্রনাথ হতে পারে। বরিশাল জেলার বাকেরগঞ্জ থানার ১২নং রঙ্গশ্রী ইউনিয়নের কালিগঞ্জ গ্রামের স্বনামধন্য শিক্ষক তুষার দত্তের ৬ বৎসর বয়সী কন্যা তপশ্রী দত্তের অলৌকিক প্রতিভা দেখে তার দাদু সন্তোষ দত্ত রবিঠাকুরের শৈশবের কথা সবাইকে স্মরণ করিয়ে দিচ্ছেন। বরিশাল বিভাগের খ্যাতনামা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সেন্ট আলফ্রেড হাইস্কুল থেকে ফাস্টগার্ল খেতাবটি অনেক আগেই নিজের করে নিয়েছে এই প্রতিভাধর শিশুটি। এই বয়সেই তার নাচ, গান ও ছবি অংকন করা সকলের নজর কেড়েছে। বরিশাল কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে বৈশাখের অনুষ্ঠানে অনবদ্য এক নৃত্য পরিবেশন করে সে দর্শকদের নজর কেড়েছে এবং অশ্বিনীকুমার টাউন হলে নজরুল জয়ন্তী অনুষ্ঠানে নৃত্য পরিবেশন করে সে দর্শকদের দেয়া মিনি তারকা খেতাব অর্জন করেছে। তপশ্রী দত্তের এই প্রতিভা বিকাশের পেছনে তার বাবার গুরুত্ব অপরিসীম। তিনি সারাদিন স্কুল, টিউশনি করার পরও মেয়েকে নৃত্য প্রশিক্ষণ দেবার জন্য মটরসাইকেলে প্রায় ৬০ কিলোমিটার অতিক্রম করেন। পিতার তপস্যায় তপশ্রী আগামীতে পিতার কষ্টকে সার্থক করে আগামীতে একজন প্রতিভাময়ী নারী হবে।