কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি
কুড়িগ্রামের রৌমারীতে এক জেএসসি পরীক্ষার্থী বাড়িতে বসেই পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার (৮নভেম্বর)। এ ঘটনায় ওই ছাত্রকে বহিষ্কার করা হলেও কক্ষ পর্যবেক্ষকদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। ১১ নম্বর কক্ষের চার পর্যবেক্ষকের দায়িত্বে ছিলেন যারা, আতাউর, সাহিদুর রহমান, সাহিনুর ইসলাম, আবু সাইদ শিক্ষকরা বলেন, ‘পরীক্ষা শুরুর সময় কক্ষে অনেক পরিক্ষার্থী ছিল। কিন্তু কখন যে পরিক্ষার্থী রাশেদুল আলম উত্তরপত্র নিয়ে বেরিয়ে গেছে তা খেয়াল করা হয়নি। শেষে খাতা জমা নেওয়ার সময় দেখা যায় একটি ছাত্রের খাতা কম।’
শৌলমারী এম আর স্কুল এন্ড কলেজ কেন্দ্রে দায়িত্ব পালনকারী কর্মকর্তা উপজেলা একটি বাড়ি একটি খামার ও সম্বনয়কারী হাসমত আলী খান বলেন, ‘পরীক্ষা চলাকালে এবং শেষ পর্যন্ত এ ধরনের কোন অভিযোগ পায়নি। কোন পরিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয়নি।
শৌলমারী এম আর স্কুল এন্ড কলেজের কেন্দ্র সচিব শহিদুল ইসলাম লিচু বলেন, “ তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি পরীক্ষা চলাঅবস্থায় ১১ নম্বর কক্ষের পরীক্ষার্থী সোনাভরি নি¤œ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ছাত্র রাশেদুল আলম কক্ষ পর্যবেক্ষকদের অগোচরে উত্তরপত্র নিয়ে বাড়িতে চলে যায়। পরীক্ষা শেষ হওয়ার পর একটি উত্তরপত্র কম থাকায় ওই ছাত্রের খাতা নিয়ে যাওয়ার বিষয়টি জানা যায়। পরে পরীক্ষা কেন্দ্রে দায়িত্বরত শিক্ষকরা তাঁর (ছাত্র) বাড়ি থেকে খাতা উদ্ধার করে। পরীক্ষার্থীর খাতা উদ্ধারের পর তাকে বহিষ্কার করা হয়েছে।” তিনি আরো বলেন, ছাত্রটি ছিল মানসিক ভাবে আক্রান্ত।
এ বিষয়ে পরীক্ষার্থীর বাবা ও শৌলমারী এম আর স্কুল শাখার সহকারি শিক্ষক জয়নাল হকের সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, আমিও এই কেন্দ্রের দায়িত্বরত কক্ষ পরিদর্শক হিসেবে নিয়োজিত। কিন্তু আমার ছেলে কখন উত্তরপত্র খাতাটি নিয়ে গেছে তা আমার জানা নেই। তবে আমার ছেলে কোন মানসিক রোগি নয়। আমার ছেলে সুস্থ।
জেএসসি পরীক্ষার্থী রাশেদুল আলম বলেন, আমি পরীক্ষার হলে খাতায় লেখা শেষ হয় নির্দিষ্ট সময়ে। পরে আমি আমার বন্ধু লেবুকে খাতাটি স্যারকে দেয়ার জন্য বলি। পরে স্যারকে দিয়েছে কি না আমার জানা নেই। পরে আমার বাড়িতে কিভাবে আমার খাতাটি এসেছে তা জানি না। পরে স্যারেরা এসে খাতাটি পরীক্ষা কেন্দ্রে দিয়ে যান।
এ বিষয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শাহালম পারভেস বলেন, ‘পরীক্ষার উত্তরপত্র বাড়িতে নিয়ে যাওয়ায় ওই ছাত্রকে বহিষ্কার করেছে এ বিষয়ে শুনেছি।
এ প্রসঙ্গে রৌমারী উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা দীপঙকর রায় জানান, “বাড়িতে উত্তরপত্র নেয়া ও বহিষ্কার হয়েছে এ বিষয় শুনেছি। কিন্তু কিভাবে একজন ছাত্র বহিষ্কার হলো সে বিষয়ে তদন্ত করে জানা যাবে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, কোন শিক্ষক এবং কেন্দ্র সচিব এর সঙ্গে জরিত থাকলে তদন্ত করে কক্ষ পর্যবেক্ষক ও কেন্দ্র সচিবের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”