বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, বর্তমান সরকারের আমলেই শ্রীলংকার সাথে এফটিএ স্বাক্ষর করা সম্ভব হবে। এ বিষয়ে জয়েন্ট স্টাডির টার্মস অফ রেফারেন্স ঠিক করা হয়েছে। সে মোতাবেক প্রস্তুতি চলছে। বৈদেশীক বাণিজ্যে বাংলাদেশের সক্ষমতা আগের চেয়ে অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। বাংলাদেশ এখন বিশ^মানের পণ্য উৎপাদন করতে সক্ষম। বিশ^বাজারে বাংলাদেশের তৈরী পণ্যের চাহিদা দিন দিন বাড়ছে। বাংলাদেশ মনে করে, শ্রীলংকায় বাংলাদেশের তৈরী ঔষধ, কাগজ, সিমেন্ট, টিন, এমএস রড ও কৃষি পণ্যের প্রচুর চাহিদা রয়েছে। শ্রীলংকার আরোপিত টেরিফ ও প্যারা-টেরিফের হার অন্যান্য দেশের তুলনায় বেশি হবার কারনে বাংলাদেশ থেকে এ সকল পণ্য রপ্তানি করা যাচ্ছে না। মন্ত্রী বলেন, বিপুল সম্ভাবনা থাকার পরও দু’দেশের বাণিজ্য খুবই কম। এ মহুর্তে উভয় দেশের বাণিজ্য ৮০ থেকে ৯০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের মধ্যে। এ বাণিজ্য অনেক বেশি হতে পারতো। বাংলাদেশ আশা করছে, এফটিএ স্বাক্ষর হলে উভয় দেশের বাণিজ্য উল্লেখযোগ্য হারে বাড়বে।
শ্রীলংকায় সফররত বাণিজ্যমন্ত্রী আজ (৩১ আগষ্ট) কল¤ো^াতে শ্রীলংকার ডেভেলপমেন্ট স্ট্রাটেজিস এন্ড ইন্টারন্যাশনাল ট্রেড মিনিস্টার মালিক সামারাউইকরামা,এমপি (গধষরশ ঝধসধৎধরিপশৎধসধ,গচ)-এর সাথে দ্বি-পাক্ষিক বৈঠকে সময় এসব কথা বলেন।
তোফায়েল আহমেদ বলেন, বাংলাদেশ রপ্তানি বৃদ্ধি করতে বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। এ জন্য রপ্তানি পণ্য ও বাজার সম্প্রসারণের জন্য কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে বাংলাদেশ। দেশের স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তিতে আগামী ২০২১ সালে বাংলাদেশের রপ্তানি ৬০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার নির্ধারণ করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত বাংলাদেশে ১০০টি স্পেশাল ইকোনমিক জোনে দেশী-বিদেশী বিনিয়োগ হচ্ছে। শ্রীলংকার বিনিয়োগকারীগণ সেখানে বিনিয়োগ করলে লাভবান হবেন। বাংলাদেশ বিনিয়োগকারীদের বিশেষ সুবিধা দিচ্ছে।
উল্লেখ্য, মালিক সামারাউইকরামা শ্রীলংকার ইউনাইটেড ন্যাশনাল পার্টির প্রেসিডেন্ট। তিনি বাংলাদেশের বিষয়ে খুবই আন্তরিক। বাংলাদেশের বিশ^য়কর উন্নয়নের প্রশংসা করেন তিনি। বাণিজ্যমন্ত্রী তাঁকে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানালে তিনি আগামী শীতে বাংলাদেশ সফরের আগ্রহ প্রকাশ করেন।
এ সময় শ্রীলংকায় নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত রিয়াজ হামিদুল্লাহ এবং শ্রীলংকার ডেভেলপমেন্ট স্ট্রাটেজিস এন্ড ইন্টারন্যাশনাল ট্রেড মন্ত্রণালয়ের সচিব উপস্থিত ছিলেন।