সখিপুরের আতঙ্ক চাঁদাবাজ শাকিল

0
1189

স্টাফ রিপোর্টারঃ
টাঙ্গাইল জেলার সখিপুর উপজেলা/সখিপুর পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ডের গড়গোবিন্দপুর গ্রামে মৃত সিরাজুল ইসলাম ফকির এর ছেলে শাকিল আনোয়ার দৈনিক যুগান্তর/ সমকাল/ কালের কন্ঠ পত্রিকার স্থানীয় প্রতিনিধি হয়েছিল। উক্ত পত্রিকা তিনটির স্থানীয় প্রতিনিধি হওয়ার পরও নিয়মিত সংবাদ না লিখে চাঁদাবাজিতে লিপ্ত থাকার অভিযোগের কারনে তাকে উক্ত পত্রিকা সমূহের স্থানীয় প্রতিনিধি থেকে বহিঃস্কার করার পর সাংবাদিক নামধারী শাকিল আনোয়ার তার চাঁদাবাজি অব্যাহত রাখার হীনস্বার্থে সুকৌশলে সখীপুর বার্তা নামে একটি এক পাতা বিশিষ্ট সাপ্তাহিক পত্রিকা প্রকাশ করে আসতেছে। এই সখীপুর বার্তা নামক সাপ্তাহিক পত্রিকাটির আদৌ ডিক্লারেশন আছে কিনা তা সকল মহলের প্রশ্নাতীত। যার গভঃ রেজিঃ ডি-এ নম্বর পত্রিকাটিতে উল্লেখ নাই। উক্ত পত্রিকাটি দুই আড়াই বৎসর যাবৎ অনিয়মিতভাবে মাঝে মধ্যে প্রকাশিত হয়ে আসছে। আপনার দপ্তর সহ সংশ্লিষ্ট শাখায়/ দাপ্তরিক অফিসে পত্রিকা জমা দেয় না। আপনার কার্যালয়ে পত্রিকা জমা রেজিষ্টার শাখায়ও শাকিল আনোয়ার পত্রিকা জমা দেয় না। সে সখিপুর উপজেলা প্রশাসনের সকল দাপ্তরিক অফিস আদালতের দুর্নীতিমূলক কাজের প্রতিবাদ না করে, মাসিক মাসোয়ারা আদায় করে থাকে। সাপ্তাহিক সখীপুর বার্তা নামক পত্রিকার সম্পাদক পরিচয়ে প্রভাব খাটিয়ে সর্বস্তরের জনপ্রতিনিধি, সরকারি, বেসরকারি,আধা সরকারি ও স্বায়িত্ব শাসিত প্রতিষ্ঠান হতে মাসিক ভিত্তিতে মাসোয়ার আদায় করে থাকে। কারন ঘুষ. দুর্র্নীতি, অনিয়ম, ভিধিবিধান বহির্ভূত কাজ করা হলেও তার সাপ্তাহিক সখীপুর বার্তা পত্রিকায় সংবাদ ছাপা হয় না। অন্যান্য জাতীয় দৈনিক পত্রিকায়ও যাতে সংবাদ ছাপা না হয় সে ব্যবস্থাও সে করে থাকে। শাকিল আনোয়ারের পিতা মৃত সিরাজুল ইসলাম ফকির পুলিশ ক্যাম্পে/ থানায় বাবুর্চির কাজ করতো। এরই ফাঁকে দালালীর মাধ্যমে শত্রুতা সাধন ও অর্থ কড়ি উপার্জন করতো পৈত্রিক সূত্রে শাকিল আনোয়ার থানার দালালী সহ বিভিন্ন কলাকৌশলে অপকর্ম করেই চলতেছে। শাকিল আনোয়ার সখিপুর থানার একজন পারমানেন্ট দালাল। সে অবৈধ/বৈধ ঊভয় করাতকল মালিক সমিতি থেকে মাসিক মাসোয়ার আদায় করে। সে অবৈধ ফরমালিন সমৃদ্ধ সয়াবিন তেল কারখানা,লবনের কারখানা,তামা/ সীসা গলানোর কারখানা ও ৩০/৩২ টি বৈদেশিক মুদ্রা সংগ্রহের দোকান থেকে মাসোয়ারা আদায় করে। ভালুকা সিড ষ্টোরের রাজু ও কালিহাতির আ.রহিম সখিপুরের অবৈধ বৈদেশিক মুদ্রার ব্যবসায়ীদের নিকট থেকে বিভিন্ন দেশের বৈদেশিক মুদ্রা ক্রয় করে থাকে। শাকিল আনোয়ার তাদের উভয়ের নিকট থেকে মাসিক ৫হাজার টাকা মাসোয়ারা নিয়ে থাকে। সে প্রভাব খাটিয়ে নামে বেনামে ১০/১২টি খাস পুকুর কম মূল্যে হাতিয়ে নিয়ে ৭০/৮০ গুন বেশী টাকার বিনিময়ে হস্তান্তর করেছে। সখিপুর প্রকল্প বাস্তবায়নে প্রত্যেক অর্থবছরের প্রত্যেক দফায় ভূয়া প্রকল্প দেখিয়ে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। তার আব্বাজান/ বাজান স্থানীয় এমপি তাই প্রশাসনের সকল কর্মকর্তা ভয়ে তটস্থ থাকে। সে নিজে একটি সোলার নিজের বাড়িতে লাগিয়েছে ও নামে বেনামে কয়েকটি সোলার বিক্রি করেছে। গত ২০১৬-১৭ ইং অর্থবছরের সর্বশেষ দফায় ভূয়া প্রকল্প দেখিয়ে দুই লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। শাকিল আনোয়ারের নামে বেনামে অবৈধ দুইটি করাতকল আছে। তা সহোদর ভাই,দুই বোন ও ভাতিজা পারমানেন্টভাবে মাদক ব্যবসা করে। তার শ্যালক রবিউলের নামে দু’টি ডিলারশীপ লাইসেন্স আছে। সে চাউল/গম কার্ড হোল্ডারদের না দিয়ে কালোবাজারে বেশী দামে বিক্রি করে থাকে। এ ছাড়াও শাকিল বনবিভাগের ফরেষ্টার,রেঞ্জ অফিসারদের নিকট থেকে মাসিক মাসোয়ারা আদায় করে থাকে। শুধু তাহাই নহে সে একজন লম্পট, দুশ্চরিত্রহীন এবং চ্যাম্পিয়ন চাদাঁবাজ বটে। শাকিল আনোয়ার হলুদ সাংবাদিকতা করে। তার নিজ বাড়িতে বহুতল বিশিষ্ট বিল্ডিং করতেছে। সে চাকরি/ব্যবসা করে না,আবাদী কোন জমিজমা নাই-তবুও সে কোটি টাকার মালিক হয়েছে। এর উৎস কি? ভূয়া সাংবাদিক শাকিল আনোয়ার মানুষের কাছে বলে বেড়ায় সে অনার্স-মাস্টার্স পাশ, আসলে সে অনার্স-মাস্টার্স পাশ করেছে কিনা তাহা প্রশ্নবিদ্ধ বিষয়। তার এসব বিষয়ে সরেজমিনে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা অতীব জরুরী। কাজেই আমরা সখীপুরের সচেতন জনগন তার নেশা-পেশা চাল চলনসহ সবকিছু সরেজমিন তদন্ত করে আইনানুগ শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহন করার জন্য আপনার স্বহৃদয় সু-দৃষ্টি বিবেচনা আকর্ষন করতেছি। সেই সাথে তার প্রকাশিত সাপ্তাহিক সখীপুর বার্তা পত্রিকাটির ডিক্লারেশন বাতিল করার জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন এলাকাবাসী।

Advertisement
Advertisement

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here