হবিগঞ্জ সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ ইয়াসিনুল হক দীর্ঘদিন যাবৎ ক্ষমতার অপব্যবহার করে আসিতেছেন

0
1051

মোঃ জমির আলী, হবিগঞ্জ জেলা:  ০১ আমি আর্ন্তজাতিক মানবাধিকার সংস্থা আইন সহায়তা (আসক) ফাউন্ডেশনে দীর্ঘদিন হবিগঞ্জ জোনাল কার্য নিবাহী কমিটির সভাপতি হিসাবে দায়িত্ব পালন করা আসিতেছি। (০২) সাংবাদিক জাতীয় সাপ্তাহিক পত্রিকা অপরাধ বিচিত্রা হবিগঞ্জ জেলা (০৩) জাতীয় সাপ্তাহিক অপরাধ তথ্যচিত্র পত্রিকার হবিগঞ্জ জেলার বুরো চীফ ও জাতীয় সাপ্তাহিক গণধ্বনি পত্রিকার হবিগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি থাকাবস্থায় গত ১৮-১০-২০১৬ইং তারিখে আমার ভাতিজি মোছাঃ হাজেরা খাতুন বাদী হইয়া বিবাদী জাকির হোসেন গংদের বিরুদ্ধে একটি যৌতুকের অভিযোগ আনিয়া অফিসার ইনচার্জ ইয়াসিনুল হকের নিকট জমা দেওয়া হয়েছিল। জনাব ইয়াসিনুল হক সাহেব আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য কথা দিয়েছিলেন। পরবর্তীতে ২৫-১০-২০১৬ইং তারিখে অফিসার ইনচার্জের সঙ্গে আমার ভাতিজির অভিযোগের সম্পর্কে জানতে চাইলে উনি আমার সঙ্গে অশুভ আচরণ করেন। পরবর্তীতে ০৮-১০-২০১৬ইং রোজ বৃহস্পতিবার ২.৩০ ঘটিকায় হবিগঞ্জ সদর মডেল থানা আবারোও অভিযোগ সম্পর্কে জানতে চাইলে উনি উনার অধীনস্থ দুইজন এস.আই.কে দিয়ে আমাকে বিভিন্ন ধরনের অপদস্থ ও অপমান করেন। কিন্তু আমি এর পরিপ্রেক্ষিতে ১০-১২-২০১৬ইং তারিখে মাননীয় পুলিশ সুপার হবিগঞ্জ বরাবরে একখানা অভিযোগ করিলে উনি আমার প্রতি ভীষন ভাবে ক্ষেপে যান। কিন্তু উনি একজন পুলিশ অফিসার হওয়াতে আমি কোন সুবিচার পাই নাই। জনাব উক্ত বিষয়ে পরবর্তীতে ২৮-০২-২০১৭ইং তারিখে রাত্র ৯.০০ ঘটিকার সময় হবিগঞ্জ সদর মডেল থানায় দুইজন গণ্যমান্য ব্যক্তি সহ অফিসার ইনচার্জের রুমে বসিয়া উক্ত বিষয় আলাপ-আলোচনা সাপেক্ষে সমাধান হয় জনাব গত ১৯-০৩-২০১৭ইং তারিখে আমার ব্যক্তিগত কাজে ঢাকায় অবস্থান করার পর ৩০-০৩-২০১৭ইং তারিখে রোজ বৃহস্পতিবার রাত্র ২.০০ ঘটিকার সময় আমার নিজ বাসায় আসিয়া পরের দিন ৩১-০৩-২০১৭ইং রোজ শুক্রবার হবিগঞ্জ কোর্ট মসজিদে জুম্মার নামায আদায় করিয়া মার্কেটের ভিতরে বসিয়া  আমি সহ আমার চারজন বন্ধুকে নিয়ে  চা খাওয়া অবস্থায় বিপুল পরিমাণ পুলিশ দিয়ে আমাকে মার্কেটের ভিতর হইতে গ্রেফতার করিয়া থানায় নিয়ে আসেন। পরবর্তীতে ওসি সাহেবের সঙ্গে যোগাযোগ করিলে ওসি সাহেব বলেন যে, আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ আছে তাই আমাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। কিন্তু আমি জানি যে, আমার নামে কোন ধরনের অভিযোগ নাই। ওসি সাহেব লোকড়া গ্রামের জনৈক আঃ আউয়ালকে বাদী বানিয়ে আমার বিরুদ্ধে একটি মিথ্যা মামলা দায়ের করান যাহার মামলা নং- জি.আর ১১৫/১৭ইং আমাকে গ্রেফতার করেন। ঐদিন  আমাকে কোর্ট পুলিশের মাধ্যমে জেলা কারাগারে প্রেরন করেন। জনাব আমি কারাগারে থাকাবস্থায় ০৪-০৪-২০১৭ইং তারিখে লোকড়া গ্রামের জনৈক ইউনুছ আলীকে বাদী বানিয়ে আরেকটি মামলা দায়ের করান যাহার মামলা নং- সি.আর ১৯৯/১৭ইং। মামলাটি মাননীয় আদালত ১৫-০৫-২০১৭ইং তারিখে ওসি সদরকে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য নির্দেশ প্রদান করেন। কিন্তু আমাকে জেল কারাগারে থাকাবস্থায় উক্ত মামলাটি অতি তড়িগড়ি করে ওসি সাহেব ১৫-০৪-২০১৭ইং তারিখে আমাকে কোন কিছু জিজ্ঞেসাবাদ না করিয়েই আমার বিরুদ্ধে একটি মিথ্যা কাল্পনিক প্রতিবেদন দাখিল করেন এবং ১০-০৪-২০১৭ইং তারিখে আমি কারাগারে থাকা স্বত্বেও আরেকটি মামলা দায়ের করান রিচি গ্রামের আলমগীর মিয়াকে বাদী বানিয়ে উক্ত মামলাটি নং- সি.আর ২২২/১৭ইং মাননীয় আদালত প্রতিবেদনের জন্য ওসিকে নির্দেশ দেন। জনাব আমি ০৮-০৫-২০১৭ইং তারিখে মাননীয় জেলা জজ মহোদয় আদালতে জামিন দিয়ে বাহিরে আসিয়া ১০-০৫-২০১৭ইং তারিখে আমি হবিগঞ্জ সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জের সঙ্গে যোগাযোগ করে উক্ত মামলাগুলি সম্পর্কে জানতে চাইলে ওনি আমাকে কোন সুউত্তর না দিয়ে আবারোও হুমকি দেন যে, আরো বিভিন্ন মামলা মোকদ্দমায় আমাকে জড়াবেন। কিন্তু আমি পরবর্তীতে ক্ষমতার অপব্যবহারকারী ওসি সহ  আরো ৮জনের বিরুদ্ধে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বরাবরে একখানা অভিযোগ দায়ের করি। যাহার অনুলিপি স্বরূপ ০১। মাননীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণায়ল, বাংলাদেশ সচিবালয়, ঢাকা ০২। মাননীয় আইন মন্ত্রী, বাংলাদেশ সচিবালয়, ঢাকা   ০৩। মাননীয় ইন্সপেক্টর জেনারেল, বাংলাদেশ পুলিশ, পুলিশ হেডকোয়ার্ট, ০৬ ফিনিক্স রোড, ফুলবাড়িয়া, ঢাকা  ০৪। মাননীয় এ্যাডিশনাল ডিআইজি, ডি এন্ড পি এস শাখা, বাংলাদেশ পুলিশ, পুলিশ হেডকোয়ার্ট, ০৬ ফিনিক্স রোড, ফুলবাড়িয়া, ঢাকা।  ০৫। মাননীয় ডি.আই.জি. সিলেট রেঞ্জ, সিলেট ০৬। মাননীয় পুলিশ সুপার, হবিগঞ্জ জেলা ০৭। মাননীয় জেলা প্রশাসক, হবিগঞ্জ জেলা ০৮। দুর্নীতি দম কমিশন, হবিগঞ্জ জেলা। ০৯। জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা, হবিগঞ্জ জেলা ১০। নির্বাহী পরিচালক, আইন সহায়তা কেন্দ্র (আসক) ফাউন্ডেশন, ঢাকা, প্রধান কার্যালয়, গুলিস্তান শপিং কমপ্লেক্স,  ২নং বঙ্গবন্ধু এভিনিউ (৭ম তলা) রুম নং- ৭৬/৭৭, ঢাকা-১০০০০ ১১। জাতীয় অপরাধ তথ্যচিত্র হেড অফিস, ঢাকা, প্রধান কার্যালয়, গুলিস্তান শপিং কমপ্লেক্স, ২নং বঙ্গবন্ধু এভিনিউ (৭ম তলা) রুম নং- ০১, ঢাকা-১০০০০ ১২। মাননীয় চেয়ারম্যান, জাতীয় মানবাধিকার কমিশন, ঢাকা। “উক্ত অভিযোগ গুলি দেওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে অফিসার ইনচার্জ ইয়াসিনুল হক আমার বিরুদ্ধে বিভিন্ন ভাবে ষড়যন্ত্র ও বে-আইনী ও অনৈতিক ভাবে ক্ষমতার অপব্যবহার করা সহ আমাকে বিভিন্ন মামলা মোকদ্দমা ও খুন-খারাপি করার মত পায়তারা করিতেছেন বলে আমি বিভিন্ন ভাবে অনুমান করিতেছি। যাহা বর্তমানে আমার জীবনের নিরাপত্তাহীনতায় আমি ভুগিতেছি। আমি বিভিন্ন সংগঠনের সাথে জড়িত এবং বিভিন্ন জাতীয় সাপ্তাহিক পত্রিকার সাংবাদিক হিসেবে হবিগঞ্জ জেলা কাজ করিয়া আসিতেছি। আমি অফিসার ইনর্চাজের বিরুদ্ধে বিভিন্ন জায়গায় অভিযোগ দেওয়ার পরেও আমি কোন ধরনের বিচার পাচ্ছি না।
অতএব ওসি ইয়াসিনুল হকের দুর্নীতি ও অনিয়ম  এবং অবৈধ প্রভাবে অতিষ্টিত আমার মত একজন নিরীহ লোক। তাহা উক্ত বিষয়টি দেশবাসীর কাছে আমি বিচার প্রার্থী।

Advertisement
Advertisement

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here