দ্বাদশ নির্বাচন ঘনিয়ে আসছে। সেই সাথে দেশের রাজনৈতিক ময়দান উত্তপ্ত হচ্ছে। বিএনপি ও তার সমমনা দলগুলো নির্বাচন বর্জন করে সরকারের পদত্যাগ দাবি করছে। তারা বলছে এই সরকারের অধীনে নির্বাচন সুষ্ঠু হবে না। তাই নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের হাতে ক্ষমতা দিয়ে সরকারকে পদত্যাগ করেত হবে। বিএনপি বলছে অতীতে এই সরকারের অধীনে কোন নির্বাচন সুষ্ঠু হয় নাই। সমমনা অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলো একই বক্তব্য দিয়ে যাচ্ছে। তারা নির্বাচন বর্জন করে শেষ সময় হরতাল অবরোধের মত কর্মসুচি দিয়ে যাচ্ছে। এ পর্যন্ত কয়েক দফা অবরোধ ও হরতাল কর্মসুচি দিলেও তাতে কোন উল্লেখযোগ্য সাড়া পায়নি। বিএনপির ডাকা হরতালের দিনে সকল প্রকার যানবাহন চলাচাল স্বাভাবিক দেখা যায়।
এমনকি শহরের বিভিন্ন জায়গায় যানবাহনের কারণে তীব্র যানজট দেখা যায়। রাজনৈতিক বিশ্লষকগণ বলছেন বিএনপি ও সমমনা দলগুলো হরতাল অবরোধ ডেকে কোন কর্মি মাঠে থাকে না। তারা পুলিশ ও মামলার ভয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে।
দলটির মাঠ পর্যায়ের নেতা থেকে বড় নেতারা সরকার পতনের আন্দোলনে দীর্ঘ পনের বছরেও একত্র হতে পারে নাই বলে মন্তব্য করছেন অনেক রাজনীতিবিদ। কাজেই শেষ মুহুর্তে তাদের এই অন্দোলন অতীতের মতই ব্যর্থ হবে বলে দলটির মধ্যে শংকা বিরাজ করছে। চলমান সরকার বিরোধী আন্দোলনে বিএনপির অনেক নেতাকে দেখা যাচ্ছে না।
একথা সত্য যে দেশের অসংখ্য মানুষ বর্তমান রাজনৈতিক অবস্থার পরিবর্তন দেখতে চায়। তারা ভোটের অধিকার ফিরে পেতে চায়। তাদের এই চাওয়ার সাথে বিএনপির আন্দোলনের একটি সম্পর্ক রয়েছে। কিন্তু থাকলে কি হবে।
গোড়ায় গলদ রয়েছে। বিএনপি থেকে দলছুট হচ্ছে কিছুদিন পর পরই। বড় মাপের নেতা কারাগার থেকে আজ জামিনে বের হয়ে কালই নৌকাতে যোগদান গোটা রাজনৈতিক ক্ষেত্রকে ঝাঁকুনি দিয়েছে।
বিএনপি ও তার সমমনা দলটির একাধিক তৃণমূল নেতাকর্মী বলছেন তাদের বড় নেতাদের মধ্যে সমঝোতার অভাব ও দলের আদর্শ ভঙ্গ করার কারণে সরকার বিরোধী আন্দেলনে বছরের পর বছর সফলতার মুখ দেখছে না।
বিরোধী দলগুলো নির্বাচনের দিনও আন্দোলন চালিয়ে যাবে বলে ঘোষণা দিয়েছে। গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদে এমনটাই জানা যায়।
তবে চলমান সরকার বিরোধী আন্দোলন যেভাবে ঝিমিয়ে পড়ছে তাতে নির্বাচন পর্যন্ত এই আন্দোলন কতটুকু সফলতা বয়ে আনবে তা সরকার-বিরোধী দল সবাই জানে ও বুঝে। জনসাধারণও কম বুঝে না।