হাজী আলীর পাজি ছেলে বাটপারীতে পাকা হজ্বের নামে হাতিয়েছে লাখ লাখ টাকা

0
865

স্টাফ রিপোর্টার ঃ হজ্বে পাঠানোর নাম করে কুমিল্লার দ্বেবিদ্ধার উপজেলার রসুলপুর গ্রামের হাজী সাহেব আলীর ছেলে মোল্লা আব্দুস সাত্তার ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের উন্নত সুযোগ সুবিধা ও স্বল্প ব্যয়ে হজ্বব্রত পালনের সুযোগের প্রলোভন দেখিয়ে অনেকের কাছ থেকে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঢাকার উত্তরায় ড. মাসুদুল আলম মজিবকে ২০১৬ সালে হজ্বে পাঠনোর কথা বলে ৩ লক্ষ টাকায় চুক্তিতে নগদ ২,০০, ০০০ টাকা গ্রহণ এবং ১,০০, ০০০ লক্ষ টাকা ভিসা প্রাপ্তির পর প্রদান করা হবে। কিন্তু প্রতারক ভন্ড মোল্লা আব্দুস সাত্তার দুই লক্ষ টাকা নিয়া লাপাত্তা। আল মক্কা সহ বিভিন্ন ট্রাভেলস এজেন্সীর নাম ব্যবহার করে চতুর সাত্তার নিজ বাসার ঠিকানা গোপন করে বিভিন্ন জনের কাছে বিভিন্ন ঠিকানার কথা বলে, কখনো বলে উত্তরা ১২নং সেক্টরে আবার কারো কাছে বলে দক্ষিনখান মাজার রোডে তার বাসা। আব্দুস সাত্তার মানুষের টাকা আত্মসাৎ করার জন্য বাটপারি করে নিজের ঠিকানা গোপন করে একেক সময় একেক ঠিকানা ব্যবহার করেন। বিভিন্ন সময় বিভিন্ন মোবাইল সিম ব্যবহার করেন, পরিচিত পাওনাদার ফোন করলে ফোন রিসিভ না করে কেটে দেন। ড. মাসুদুল আলম কৌশলে অন্য লোকের মাধ্যমে সাত্তারের সাথে যোগাযোগ করলে টাকা ফেরৎ দিবেন বলে বার বার তারিখ দিয়ে কালক্ষেপন করে দুই বছর অতিবাহিত করেন। প্রতিবেদক সাত্তারের মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন এবং পাওনাদার ড. মাসুদুল আলম মজিবের ব্যাংক হিসাব নাম্বার চান। প্রদত্ত ব্যাংক একাউন্টে টাকা ফেরৎ দিবেন বলে অদ্যাবধি কোন টাকা ফেরৎ দেননি। প্রতারক ঠকবাজ সবসময়ে দুর্বল থাকে বলেই সে অদ্যাবধি ড. মাসুদুল আলমের সাথে দেখা করেননি। প্রতারণার শিকার ড. মাসুদুল আলম ১২ই জুলাই ২০১৭ ইং তারিখে উত্তরা পশ্চিম থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
ইসলামের পাঁচটি স্তম্ব ঃ কালেমা, নামাজ, রোজা, হজ্ব, যাকাত। একজন ধর্মপ্রাণ মুসলমান কালেমা, নামাজ, রোজার পর আর্থিক ভাবের স্বচ্ছল ব্যক্তি যাকাত প্রদান ও হজ্বব্রত পালনের ইচ্ছা পোষন করেন। পাপ-সাফ ও আল্লাহর নৈকট্য লাভের স্বপ্ন দেখেন। ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের সরলতার সুযোগ নিয়ে কুমিল্লা দ্বেবিদ্ধারের রসুলপুর গ্রামের হাজী সাহেব আলীর ভন্ড পুত্র মোল্লা আব্দুস সাত্তার বহু লোকের হজ্বের টাকা আত্মসাৎ করে পালিয়ে বেড়াচ্ছে কিন্তু তার প্রতারণার বাণিজ্য অব্যাহত রয়েছে। অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, প্রতারক সাত্তার মানুষের টাকা আত্মসাৎই করেননি সে একজন নারী লোভী, বিয়ে করেছেন তিন চারটি। অভিযোগ সূত্রে আরো জানা যায়, পাওনাদারেরা টাকা চাইলে উল্টো হুমকি দেন সাত্তার। সে জঙ্গী সংগঠন জে.এম.বির একজন সদস্য বলে ভূক্তভোগীরা মনে করেন। প্রতারক জঙ্গী ভন্ড মোল্লা আব্দুস সাত্তারকে গ্রেফতার করে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সঠিক তথ্য বেরিয়ে আসবে এবং সাধারণ মানুষ প্রতারণার হাত থেকে রক্ষা পাবেন বলে ভূক্তভোগীরা মনে করেন।

Advertisement
Advertisement

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here