২০ লাখ পাউন্ড ঘুষঃ বাংলাদেশী ব্যবসায়ী ও সাবেক ডেপুটি মেয়র জড়িত

0
580

অপরাধ বিচিত্রা ডেস্কঃ সানডে টাইমসের রিপোর্ট বলেছে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত এক ব্যবসায়ী এবং টাওয়ার হ্যামলেটসের সাবেক ডেপুটি মেয়রের নাম জড়িয়ে গেছে বড় অংকের ঘুষ কেলেঙ্কারিতে। বৃটেনের সানডে টাইমসের এক প্রতিবেদনে ২০ লাখ পাউন্ড ঘুষের ওই স্ক্যান্ডাল সামনে এসেছে। বলা হচ্ছে, লন্ডনের অন্যতম বড় একটি সুউচ্চ ভবন নির্মাণ প্রকল্পকে ঘিরে ঘুষ লেনদেনের দেন-দরবার হয়েছিল।

Advertisement

বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ব্যবসায়ী আবদুল শুকুর খালিসদার ৫০০ মিলিয়ন পাউন্ডের ওই প্রকল্পের অনুমোদন নিশ্চিত করার জন্য ডেভেলপারের কাছে ঘুষ চেয়েছিলেন। লেবার দলের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগসূত্র থাকা শুকুরের ভাষ্য লেবার দলের আইনপ্রণেতাদের হয়ে ঘুষ চাইতে বলা হয়েছিল তাকে। রেকর্ড করা এক ফোনালাপে শুকুরকে বলতে শোনা গেছে কিভাবে ফার ইস্ট কনসোর্টিয়ামের ইউকে ডেভেলপমেন্ট হেড জন কনোলির কাছে তিনি ঘুষ চেয়েছিলেন। ঘুষের এই কেলেঙ্কারিতে উঠে এসেছে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত অপর এক বৃটিশের নাম। তিনি টাওয়ার হ্যামলেটসের সাবেক ডেপুটি মেয়র শিরিয়া খাতুন। শুকুরের দাবি, শিরিয়া তাকে ২০১৫ সালের অক্টোবরে কনোলির সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিয়েছিলেন।

ফোনালাপে শুকুরকে বলতে শোনা যায়, ঘুষের ওই অর্থ চার রাজনীতিকের মধ্যে ভাগবাটোয়ারা হবে। প্রত্যেকে পাবেন ৫ লাখ পাউন্ড। খবরে বলা হয়, হংকক ভিত্তিক ওই রিয়েল এস্টেট প্রতিষ্ঠানের নির্দেশনায় শুকুরের সঙ্গে আলাপচারিতা রেকর্ড করেছিলেন তাদের একজন পরামর্শক। মি. শুকুর মাসে ১৫হাজার পাউন্ড করে কনসালটেন্সি ফিও চেয়েছিলেন।

ফাঁস হওয়া প্রতিষ্ঠানের অভ্যন্তরীণ এক মেমোতে মি. কনোলি বলেছেন, সাবেক ডেপুটি মেয়র শিরিয়া তাকে বলেছিলেন নির্মাণ কাজের প্ল্যানিং অনুমোদন নিয়ে দিতে সহায়তা করতে পারেন শুকুর। চলতি বছরের শুরুর দিকে পদত্যাগ করা শিরিয়া কোনপ্রকার অন্যায় কাজ করার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।

শুকুর সানডে টাইমসের কাছে ২০ মিলিয়ন পাউন্ড চাওয়ার কথা স্বীকার করলেও দাবি করেছেন এটা কোন দুর্নীতির প্রস্তাব ছিল না। ডেইলি মেইলের সঙ্গে কথোপকথনে তিনি দাবি করেন, কোন প্রকার অন্যায়ের সঙ্গে তিনি জড়িত ছিলেন না। আর ফাঁস হওয়া ফোনালাপের রেকর্ডিংকে ‘আংশিক ও বিভ্রান্তিমূলক’ বলে আখ্যায়িত করেছেন। শুকুর আরো বলেন, তিনি কাউকে ঘুষ দেননি। আর এফইসির সঙ্গে কোন প্রকার চুক্তিও স্বাক্ষর হয় নি। তিনি আরো দাবি করেন, দু’বছর আগের ওই ঘটনার পর পুলিশ বা কাউন্সিল কেউই তার সঙ্গে কোন প্রকার যোগাযোগ করেনি।

Advertisement

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here