স্টাফ রিপোর্টার ঃ আগামী বছরের ৭ জানুয়ারির মধ্যে রংপুর-ঢাকা রুটে দিবাকালীন আন্তঃনগর ট্রেন দেওয়া না হলে ১৫ জানুয়ারি রংপুর রেল স্টেশন ঘেরাও, অবরোধ ও বিক্ষোভ কর্মসূচী পালন করে দাবি আদায় করা হবে। দাবি আদায়ের লক্ষ্যে আগামী ১০ ডিসেম্বর রংপুর বিভাগীয় কমিশনারের সামনে মানববন্ধন, সমাবেশ ও বিভাগীয় কমিশনারের মাধ্যমে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা, রেল মন্ত্রী মজিবুল হকসহ রেল সচিব, রেলের মহাপরিচালক ও অন্যান্য কর্মকর্তাদের ১৫ জানুয়ারির কর্মসূচির আলটিমেটাম সম্বলিত স্মারকলিপি প্রদান করা হবে। এর আগে কর্মসূচি সফল করার লক্ষ্যে গণসংযোগ, বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষের সঙ্গে ধারাবাহিক মতবিনিময় সভা, মহানগরীর বিভিন্ন ওয়ার্ডে সমাবেশসহ অন্যান্য কর্মসূচি পালন করা হবে। গত ২৪ নভেম্বর রংপুর বিভাগ উন্নয়ন আন্দোলন পরিষদের এক সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। পরিষদের আহ্বায়ক ও দৈনিক ইত্তেফাকের রংপুর অফিস প্রধান দিবাকালীন আন্তঃনগর ট্রেন আন্দোলনের সফল সংগঠক বিশিষ্ট সমাজকর্মী ওয়াদুদ আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। মতবিনিময় সভায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন, পরিষদের অন্যতম নেতা সাংবাদিক রবিউল হোসেন সরকার বাবলু, পরিষদ নেতা সাংবাদিক সাইফুল ইসলাম, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ জেলা শাখার সাবেক সভাপতি ও পরিষদ নেতা শফিকুল ইসলাম রাহেল, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ রংপুর মহানগর শাখার সাবেক সহ-সভাপতি সহ-সভাপতি ও পরিষদ নেতা শিহুরুল আলম স্মরণ, ২৩নং ওয়ার্ড জাতীয় যুব-সংহতির সভাপতি ও পরিষদ নেতা রিয়াজ মোহাম্মদ, মহানগর ছাত্রলীগ নেতা রুম্মান হোসেন, ২৬নং ওয়ার্ড যুবলীগ নেতা নুরনবী খান (পিপল), কারমাইকেল কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি ও পরিষদ নেতা রাকিবুল ইসলাম (রাকিব), বাংলার চোখের সাধারণ সম্পাদক ও পরিষদ নেতা মুশায়েখ কামরুস সূফী, রংপুর ব্যান্ড এ্যাসোসিয়েশন (রামবা)’র সদস্য ও পরিষদ নেতা প্রিন্স মাহমুদ, ডায়ার্সইভ ব্যান্ডের ব্যান্ড লিডার সামিউজ্জামান তরাফদার সামি, মোঃ সোহাগ হোসেন, সাদ্দাম, পরিষদ নেতা পলক মাহমুদ, পরিষদ নেতা সালহ্,ে পরিষদ নেতা পাপন প্রমুখ।
এর আগে চলতি বছরের ২৫ জানুয়ারি রংপুর-ঢাকা রুটে দিবাকালীন অত্যাধুনিক আন্ত:নগর ট্রেন এবং চলমান ট্রেনসমূহে নতুন আধুনিক কোচ সংযোজন ও বন্ধ থাকা সকল ট্রেন চালুর দাবিতে রংপুর রেল স্টেশন ঘেরাও, অবরোধ ও বিক্ষোভ কর্মসূচী পালন করা হয়। কর্মসূচী চলাকালে রংপুরের সাথে ঢাকাসহ সারাদেশের রেল যোগাযোগ সকাল ৬টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত ৭ ঘন্টা রেল যোগাযোগ বন্ধ থাকে। রেল প্রশাসন ও জিআরপি অবরোধ ও ঘেরাও প্রত্যাহারের জন্য চাপ প্রদান করলে আন্দোলনকারীরা দিবাকালীন আন্তঃনগর ট্রেন চালুর সুনির্দিষ্ট ঘোষনা দেওয়া না পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্তে অটল থেকে বিক্ষোভ সমাবেশ অব্যাহত রাখে। এক পর্যায়ে দুপুর ১টার দিকে তৎকালীন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সার্বিক প্রিয় সিন্ধু তালুকদার ও তৎকালীন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক একেএম মারুফ হাসান এবং সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা জিয়াউর রহমান ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে উদ্ধর্তন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে দাবি মেনে নেওয়ার আশ্বাস প্রদান করলে ঘেরাও অবরোধ কর্মসূচি প্রত্যাহার করা হয়। এ সময় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক প্রিয় সিন্ধু তালুকদার আন্দোলনকারীদের উদ্দেশ্যে বলেন ফেব্রুয়ারী মাসে রেলমন্ত্রী মজিবুল হক রংপুরে এসে রংপুর-ঢাকা চলাচলকারী আন্তঃনগর ট্রেন রংপুর এক্সপ্রেসে নতুন ৬টি কোচ সংযোজন কার্যক্রম উদ্বোধন করবেন। ওই সময় দিবাকালীন ট্রেনের বিষয়ে তিনি ঘোষণা দেবেন বলে আমরা আশা করছি। এর প্রেক্ষিতে পরিষদের আহ্বায়ক সাংবাদিক ওয়াদুদ আলী উপস্থিত বলেন, রেল মন্ত্রী রংপুরে আসার আগে দিবাকালীন আন্তঃনগর ট্রেন চালুর ঘোষণা দিতে হবে অথবা রংপুর এক্সপ্রেসে যে কোচ গুলো সংযোজন করার কথা তার সঙ্গে আরও কিছু যোগ করে ওই ট্রেনকেই দিবাকালীন আন্তঃনগর ট্রেন হিসেবে চালু করা না হলে বৃহত্তর আন্দোলনের মাধ্যমে দাবি আদায় করা হবে। এই আন্দোলনের পর শুধুমাত্র আন্তঃনগর ট্রেন রংপুর এক্সপ্রেসের কোচ (বগি) পাল্টানো হয় কিন্তু নতুন দিবাকালীন ট্রেন প্রদান না করায় বিভাগ উন্নয়ন আন্দোলন পরিষদ দাবি আদায়ের লক্ষে আবারো কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।