আজ ৮ মে ২০১৭ইং সোমবার বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক এসোসিয়েশনের সভাপতি মহিউদ্দীন আহমেদ এক বিবৃতি বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে দেশ থেকে অবৈধভাবে অর্থ পাচার হওয়া নিয়ে বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। অন্যদিকে বিদেশ থেকে অবৈধ উপায়ে অর্থ আনার ফলে দেশের রেমিটেন্স সংগ্রহ কমে যাচ্ছে। এতে করে রাষ্ট্র উভয় সংকটে পড়েছে। এর অন্যতম মাধ্যমই হচ্ছে প্রযুক্তি। একসময় অবৈধ ভাবে ভিওআইপি’র ব্যবসা করত কতিপয় মাফিয়া ও কুচক্রকারীরা। বর্তমানে ব্যবসা করে বিভিন্ন অপারেটর এমনকি সরকার নিয়ন্ত্রিত টেলিটক।
গত ২২ নভেম্বর ২০১৬ইং তারিখে যুক্তরাষ্ট্রের মালিকানাধীন অ্যাপ ভিত্তিক পরিবহন প্রতিষ্ঠান উবার চলাচল শুরু করে। কিন্তু ২ দিন বাদেই বিআরটিএ এ পরিবহন ব্যবস্থা নিষিদ্ধ ঘোষণা করে প্রজ্ঞাপন জারি করে। কারণ মোটরযান আইন ১৯৮৩ তে ধরনের প্রযুক্তি ব্যবহার সম্বলিত পরিবহন ব্যবস্থার বিধান নেই। এরপর সড়ক পরিবহন আইন ২০১৭ মন্ত্রী সভায় পাস হয়। কিন্তু এতেও প্রযুক্তি ব্যবহারের কোন বিধিবিধান রাখা হয়নি। অথচ সড়কে উবারের ১০ হাজার গাড়ি চলছে। যদিও এ পরিবহন ব্যবস্থা আমাদের জন্য সুখবর এবং যাত্রী সহায়ক হলেও কিন্তু আইনগতভাবে এ পরিবহন ব্যবস্থা নিষিদ্ধ। যা ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে সহায়ক নয়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে উবার থেকে সরকার ব্যাপক রাজস্ব আয় করে থাকে। যেমনÑ গাড়ীর মালিক এবং চালক পায় ৬৫% এ থেকেও সরকার রাজস্ব পায় আবার উবার ৩৫% থেকেও সরকার রাজস্ব পেয়ে থাকে। আমাদের প্রশ্ন উবার যদি নিষিদ্ধ হয় তাহালে উবারের আয়ের অর্থ কি কালো টাকা হবে না? এভাবে উবার এবং ভিওআইপি সহ বিভিন্ন প্রযুক্তি যা আইনগতভাবে অবৈধ তাদের উপার্জিত অর্থ অবৈধ হওয়ার ফলে তা বিদেশে পাচার হওয়ার সম্ভবনাই বেশি।
আমরা সরকারের কাছে দাবি করবো এ সকল প্রযুক্তিকে বৈধতা দান করে সরকারের রাজস্ব বৃদ্ধি ও জনগণকে আধুনিক প্রযুক্তি সম্পন্ন পরিবহন ব্যবস্থা চালু করার দাবি রাখছি।