আইপিএইচ’য়ে বেপরোয়া এডি-পিও কেনাকাটায় পুকুর চুরি ভুয়া বিলের ছড়াছড়ি

0
1324

জনস্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটে (আইপিএইচ) সংঘবদ্ধচক্র লুটের মচ্ছোবে মেতে উঠেছে। ভুয়া বিল-ভাউচারে হাতিয়ে নিচ্ছে কোটি কোটি টাকা। কেনাকাটায় চলছে পুকুর চুরি।অসৎ কর্মকর্তা-কর্মচারী সিন্ডিকেটের অপতৎপরতায় স্বাস্থ্যমন্ত্রণালয়াধীন সর্ববৃহৎ এই প্রতিষ্ঠানটি এখন ধ্বংসের মুখোমুখি।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, চলতিদায়িত্বে নিয়োজিত ক্ষমতাধর সহকারী পরিচালক ডাঃ আলাউদ্দিন আল আজাদ এবং ক্রয় কর্মকর্তা (পিও) মনিরুজ্জামান চৌধুরী লুটের রাজত্ব কায়েম করতে একটি বিশেষ সিন্ডিকেট গড়ে তুলেছেন ।এই প্রতিষ্ঠানকে  দুর্নীতিবাজদের পুনর্বাসন কেন্দ্রে   পরিণত করার অন্যতম কুশীলব ক্রয় কর্মকর্তা (পিও) মনির চৌধুরী। তিনি প্রকল্পে নিয়োগপ্রাপ্ত একজন কর্মচারি। বিধিবহির্ভুতভাবে ক্রয় কর্মকর্তা হয়েছেন।অবৈধ কাজে সহায়তার সুবিধার্থে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এবং স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে  তদবির করে পরিচালক নিয়োগ করতে তিনি পারঙ্গম। তার পছন্দের বাইরে জনস্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানে পরিচালক  নিয়োগ পেতে পারেন না  কোন কর্মকর্তা ।
সূত্র জানায়, ডাঃ আলাউদ্দিন আল আজাদ কুলাউড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্মরত থাকাবস্থায় সরকারী অর্থ অপচয়, সরকারী বাসায় বসবাস করে নির্ধারিত ভাড়া কর্তন না করাসহ বিভিন্ন অভিযোগে অভিযুক্ত এবং বিভাগীয় মামলায় জড়িয়ে পড়েন। এনিয়ে নিজেকে রক্ষায় ব্যস্ত ছিলেন তিনি। ক্রয় কর্মকর্তা মনির চৌধুরীর সঙ্গে পরিচয় সূত্রে তার ভাগ্য বদলে গেছে। পিও’র সহায়তা এবং বিশেষ তদ্বিরের জোরে গুরুত্বপূর্ণ এ প্রতিষ্ঠানে সহকারী পরিচালক (এডি) হিসেবে বদলী হন তিনি।
এদিকে পরিচালক ডা. কাত্তিক চন্দ্র’র বেশিরভাগ সিদ্ধান্ত সহকারী পরিচালক ডাঃ আলাউদ্দিন আল আজাদ বাতিল করে দিচ্ছেন। বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজের নামে প্রতিটি ভাউচার ১ লাখ ৮০ হাজার টাকা থেকে ১ লাখ ৯৯ হাজার  টাকার মধ্যে ভুয়া বিল তৈরী করে সহকারী পরিচালক এবং পিওা আত্বসাৎ করছেন। গত অর্থবছরে সমাপ্ত উন্নয়ন কাজেরও নতুন বিল তৈরী করে টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন।
গত অর্থবছরে পরিশোধিত মূল ফটকে স্থাপিত মেটাল ডিকেটর এবং আংঙুলে ছাপ দিয়ে প্রবেশের মেশিনের নামে দ্বিতীয়বার বিল পরিশোধ করা হয়েছে। সব বিল পাস করেছেন মনির চৌধুরী এবং সহকারী পরিচালক। বিলে সই করার জন্য ডিডিওশীপ এর প্রয়োজন হয়। সে জন্য  মনির  চৌধুরী এবং সহকারী পরিচালক (চঃদাঃ) সে ক্ষমতা বাগিয়ে নিয়েছেন।এছাড়া গত ২২ নভেম্বর বিভিন্ন আজব ফার্মের নামে চুড়ান্ত বিল পাস  দেখিয়ে ৯ লক্ষাধিক টাকা হাতিয়ে নিয়েছে চক্রটি। সংশ্লিষ্ট বিলের কপি  এবং ফাইল যাচাইয়ের অপরিহার্যতা দেখা দিয়েছে। বিভিন্ন কোম্পানীর নাম যেমন অদ্ভুত তেমনি ঠিকানাও আশ্চর্যকর। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে: ইয়াহু সাপ্লাই, টেক-কেয়ার,ইলেকট্রোভেলি, স্মৃতি ট্রেডিং, হেভেন এন্টারপ্রাইজ,আদমান ইত্যাদি। বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের ঠিকানা মহাখালী স্কুল রোড। অথচ মহাখালীতে স্কুল রোড নামে কোন সড়ক নেই।এ নিয়ে আইপিএইচে মুখরোচক আলোচনা অব্যাহত রয়েছে বলে জানা গেছে।

সূত্র মতে, মনিরুজ্জামান গংয়ের কাছে প্রতিষ্ঠানটি দীর্ঘদিন ধরে জিম্মি। তার পদবী পারচেজ অফিসার হলেও তিনি প্রতিষ্ঠানের সর্বেসর্বা। তার নেতৃত্বেই বছরের পর বছর  চলছে দুর্নীতি আর অনিয়ম। পরীক্ষা এবং গবেষণার জন্য ব্যবহৃত বিভিন্ন কেমিকেল,যস্ত্রপাতি রিয়েজেন্ট কেনার ঠিকাদার স্বয়ং পারচেজ অফিসার মনিরুজ্জামান চৌধুরী। পরীক্ষার জন্য ব্যবহৃত বিভিন্ন কেমিকেল, রিয়েজেন্ট কেনার  নেপথ্য ঠিকাদার স্বয়ং  মনিরুজ্জামান। সকল প্রকার ক্রয়, বিল ভাউচার বানানো এবং পাস করা তার কাজ। তার নেতৃত্বেই বছরের পর বছর চলছে গোপন কেনাকাটা। এ নিয়ে ব্যাপক  অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। বিভিন্ন সময় গণমাধ্যমে অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশিত হলেও তিনি ড্যামকেয়ার। অন্যত্র বদলি করা হলেও তিনি স্বস্থানেই বহাল আছেন। উল্টো তার কথামতো কাজ না করায় অনেক উর্দ্ধতন কর্মকর্তাকে হেনস্থা হয়ে বিদায় নিতে হয়েছে। এমনকি সদ্য বিদায়ী পরিচালককে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগে সরকারি প্রক্রিয়া প্রায় চুড়ান্ত হওয়া সত্বেও মুনির চৌধুরী ও তার দোসরদের বিশেষ তদিবরে তা বাতিল হয়ে গেেেছ। এ পদে বসানো হয়েছে জেষ্ঠ তালিকায় ৪ নম্বরে থাকা তারই পছন্দের উপপরিচালক কাত্তিক চন্দ্রকে।
যখন যে দল ক্ষমতায়  তখন সে  দলের কর্মী পরিচয়ে দাপিয়ে বেড়ান  মনির চৌধুরী ।তৃতীয় শ্রেণি থেকে দ্বিতীয় শ্রেণির পদোন্নতিপ্রাপ্ত চৌধুরীর  বিশাল কাপড়ের দোকান আছে ঢাকার ইব্রাহিমপুর বাজারে। সেখানে তিনি ফø্যাট কিনেছেন। বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগে তাকে অন্যত্র বদলি করলেও বিশেষ তদ্বিরের জোরে স্বস্থানেই বহাল থাকছেন। উল্টো তার পছন্দের প্রতিষ্ঠানকে ঠিকাকাজকাজ না  দেয়ায় এবং ভুয়া বিল-ভাউচার অনুমোদন না করায় অনেক উর্দ্ধতন কর্মকর্তাকে হেনস্থা হয়ে বিদায় নিতে হয়েছে এ প্রতিষ্ঠান থেকে।
এদিকে অসৎ কর্মকর্তা-কর্মচারী সিন্ডিকেটের অপতৎপরতায় এ প্রতিষ্ঠানটি এখন ধ্বংসের মুখোমুখি। বন্ধ হয়ে গেছে এআরভি ভ্যাকসিন তৈরীর ল্যাব, সাপের বিষের প্রতিরোধক এন্টিসিরা ল্যাব এবং টিটেনাস ভ্যাকসিন। ফলে সরকারকে কোটি কোটি ডলার ব্যয়ে বিদেশ থেকে ভ্যাকসিন আমদানী করতে হচ্ছে। এছাড়া যে কোন সময় বন্ধ হয়ে যেতে পারে সারা দেশের হাসপাতালে সরবরাহকারী স্যালাইন উৎপাদনকারী আইভিফ্লুইড উৎপাদন শাখা। কোটি কোটি টাকায় কেনা আধুনিক যন্ত্রপাতি একদিনের জন্যও চালু হয়নি। প্রতিবছরের মত এবারও  টাকা ভাগ-বাটোয়ারার লক্ষ্যে স্যালাইন তৈরীর মেশিন কেনার নামে কথিত টেন্ডার আহ্বান করা হয়েছে। কিডনী ডায়ালাইসিস মেশিন (সিএপিডি),স্যালাইন ব্যাগ এবং  ব্লাড ব্যাংকের কাঁচামাল কেনায় ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে। প্রতিষ।ঠানটির গবেষণা কাজে প্রয়োজনে খরগোশ পোষা হতো। গত চার বছর কোন খরগোশ না থাকা সত্বেও লালন-পালন এবং খাদ্য সরবরাহের নামে নিয়মিত ভুয়া ভাউচারে টাকা নেয়া হচ্ছে। সাধারণ মানের কেমিকেল ভিডিআরএল, ব্লাড গ্রুপ, ব্লাড সুগার, প্রেগনেন্সি টেস্ট স্ট্রিপ এবং ভিডাল জাতীয় শতাধিক আইটেম বাজার মূল্যের  চেয়ে  কয়েকমত শত গুন বেশি দামে কিনতে মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে। প্রায় ১৭ কোটি টাকা ব্যয়ে সিএপিডি মেশিন কেনার আড়ালে সরকারের অর্থ লোপাটের কৌশল চূড়ান্ত করেছে সিন্ডিকেট সদস্যরা।
অপর দিকে টেন্ডার নাটকের আড়ালে সরকারি সংস্থা মেশিন টুলস ফ্যাক্টরীকে সিএপিডি মেশিন এবং স্যালাইন ব্যাগ উৎপাদনের প্রয়োজনীয় কাঁচামাল সরবরাহের জন্য মনোনিত করা হয়েছে। আইপিএইট এর টিন শেডের স্বল্প পরিসরের অস্বাস্থ্যকর দুটি কক্ষ সিএপিডি মেশিন স্থাপনের জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে। এ ধরনের কক্ষ ও স্বল্পপরিসরে যন্ত্র স্থাপন অবাস্তব বলে সংশ্লিষ্টরা মন্তব্য করেছেন। দুর্নীতিবাজদের যোগসাজশেই এ টেন্ডার জালিয়াতি হয়েছে। মেশিন টুলস ফ্যাক্টরী এ জাতীয় মেশিন এবং কাঁচামাল উৎপাদন ও সরবরাহ করে না। প্রশ্ন উঠেছে প্রতিষ্ঠানটি আদৌ দরপত্র প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছে কী? দরপত্র নাটকের আড়ালে তাদের অপরাগতায় কৌশলপত্র যোগাড় করে পছন্দের প্রতিষ্ঠানকে কাজ পাইয়ে দিয়ে মনিরচক্র আর্থিক লাভবান হচ্ছে কীনা তা নিয়ে সন্ধেহ রয়েছে।
মদিনা ট্রেডাস নামের একটি প্রতিষ্ঠান একচেটিয়া ভাবে আইপিএইচের মালামাল সরবরাহসহ বিভিন্ন ঠিকা কাজ পাওয়া নিয়ে মুখরোচক আলোচনা চলছে। ক্রয় কর্মকর্তা (পিও) মনির চৌধুরীর সঙ্গে মদিনা ট্রেডার্সের সখ্যতা থাকার কথা ওপেনসিক্রেট। মদিনা ট্রেডার্সের বিভিন্ন কর্মকান্ড নিয়ে বিতর্ক রয়েছে। এর আগে গ্যাস জেনারেটর স্থাপন ও চালুর নামে ৯ কোটি টাকার একটি কাজ মদিনা ট্রেডার্স পায়। দরপত্রের পুরো টাকা হাতিয়ে নিলেও জেনারেটর চালু দূরের কথা, গ্যাস সংযোগও দেওয়া হয়নি।এর পরেও গোপন টেন্ডার (ঘুপচি) প্রক্রিয়ায়  দরপত্র নাটকের আড়ালে আইপিএইচ এর প্রা সব ধরনের ঠিকা কাজ ঘুরেফিরে এ প্রতিষ্ঠান বাগিয়ে নিচ্ছে।
এদিকে পিওর বিভিন্ন বেআইনী কাজের সহযোগী প্রকল্প খাতের কিউসি কর্মকর্তা আবদুল মান্নান। প্রতিষ্ঠানের অর্গানোগ্রামে এধরনের পদ নেই। অভিযোগ রয়েছে, কাম্য যোগ্যতা ছাড়াই তাকে জালিয়াতি করে প্রকল্পে নিয়োগ এবং রাজস্বখাতে নিয়মিত করা হয়েছে। তিনি সকল প্রকার কেমিকেল বেআইনীভাবে নিজের নামে ইস্যু করেন। নথিপত্রে ব্যবহার দেখানো হলেও বাস্তবে কোন কেমিকেল কেনা হয় না। টেট্রাক্লোরাইড নামের কেমিকেল তার ল্যাবের নামে ইস্যু ও ব্যবহার দেখানো হয়। প্রতিলিটার এই কেমিকেলের দাম কমপক্ষে ৮ হাজার টাকা।  টেট্রাক্লোরাইডের নামে সরবরাহ করা হয় কেরোসিন মিশ্রিত পানি। কেমিকেল শেষ বলে সারা বছর নগদ ক্যাশ ভাউচারের মাধ্যমে মিডিয়া কেনার পথ প্রশস্ত করেন মান্নান। এ সব বিলে সই করতে না চেয়ে ইতিপূর্বে ক্রয়কৃত মালামাল গ্রহণ কমিটির প্রধান চক্রের হুমকির শিকার হয়েছেন।ইসিজি, মেশিন, আল্ট্রাসনোগ্রাম মেশিন কেনা হয়েছে প্রায় শতভাগ  বেশী দামে। অথচ এগুলো বাক্সবন্দী অবস্থায় বুঝে নেয়া হয়েছে দাপ্তরিকভাবে।এতে চাহিদামতো মেশিন আছে কিনা তা নিয়ে দেখা দিয়েছে সন্ধেহ। তদুপরি এ  মেশিনগুলো পরিচালনার জন্য অভিজ্ঞ লোকবল নেই। বিএসসি কোর্সে ক্লাস নিচ্ছে অনভিজ্ঞরা। খাদ্য পরীক্ষায় নিয়োজিত হয়েছেন হ্রদরোগ,শিশু,গাইনী বিষয়ে কোর্সপাস ডাক্তার ।
সূত্র জানায়, জনস্বাস্থ্য  ইনস্টিটিউটে বছরে প্রায় ৮/৯ হাজার নমুনা পরীক্ষা করা হয়। সারা দেশ থেকে সেনিটারী ইন্সপেক্টর, থানা পুলিশ, ম্যাজিস্ট্রেট কোর্ট বা অন্যান্য আইন প্রয়োগকারী প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে প্রাপ্ত খাদ্য নমুনা পরীক্ষা করা হয় এই ল্যাবরেটরীতে। পণ্যের গুণগতমান পরীক্ষা এবং আইনগত পদক্ষেপ নেয়ার দায়িত্বে নিয়োজিত পাবলিক এনালিষ্ট।  মাজেদা বেগম নামে একজন এসএসসি পাস কর্মচারিকে পাবলিক এনালিষ্ট হিসাবে পদায়ন করা হয়েছে। একদিনও তিনি খাদ্যের নমুনা পরীক্ষা করেননি। এর আগে এসিসটেন্ট এনালিস্ট হিসাবে আব্দুর রব, শেখর চন্দ্র সাহা (প্রকল্পে নিয়োগ প্রাপ্ত), সেলিনা বেগম, সাবিত্রী রানী, নাইম সরকার, আমেনা খাতুনকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর পদায়ন করে।কোনদিন ফুড ল্যাবরেটরীতে কাজ করেননি তারা।ল্যাবের ড.মতিউর রহমান সংশ্লিষ্ট  কোন কাজ করেননা। বসে বসেই তিনি বেতন নিচ্ছেন। বিদেশ ভ্রমণ করেছেন সরকারি অর্থে।
এছাড়া তেলের ভেজাল নিরূপণের একমাত্র মেশিনটি দীর্ঘদিন থেকে অকেজো থাকলেও মেরামতের উদ্যোগ নেই। কারিগরী এই পদে নিয়োগ নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে ‘ভেজাল খাদ্য’ নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট নিজেদের অনুকূলে নেন অসাধু চক্র। অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের মত জনস্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানেরও আছে কোটি কোটি টাকা বই কেনাসহ  বিবিধ খরচের নামের তহবিল। দুর্নীতিবাজ সিন্ডিকেট জালিয়াতির মাধ্যমে এ খাতের সিংহভাগ টাকাই ভাগ-বাটোয়ারা করে নিচ্ছে। মনির, রাজু গ্রুপ জনস্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠান চত্বরের কয়েকশত গাছ কোন টেন্ডার ছাড়াই বিক্রি করে। এ ঘটনায় শাস্তির উদ্যোগ নিলেও পরে তদ্বিরের জোরে তা থেমে  গেছে। সরবরাহকৃত প্রতিটি ময়লার ঝুড়ি র দাম নেয়া হয়েছে ৬ হাজার টাকা হিসেবে । এর প্রকৃত বাজার মূল্য ৬০০ টাকা।
এদিকে জনস্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানে বেশকিছু কোয়ার্টার ডরমিটারী দেখিয়ে নামমাত্র মাসিক ভাড়া কর্তন করা হয়। মাসিক বিদুৎ বিলও আদায় হয় মাসিক ২৫০ টাকা হারে। এসব ডরমিটারী সংলগ্ন খালি স্থানে শত শত ঘর তুলে লাখ লাখ টাকা ভাড়া আদায় করে ভাগবাটোয়ারা করছে সংঘবদ্ধ চক্র। পানি, গ্যাস ও বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করা হচ্ছে প্রতিষ্ঠানের তহবিল থেকে। ভাগ বাটোয়ারায় নিয়োজিত আছেন হিসাব সহকারী মাহাবুব এবং অফিস সহকারী রাজু। অফিস ক্যাম্পাসের ভিতর রিসার্সের মুরগীর ঘর কর্মচারীর নামে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। সেখানে পানি, গ্যাস ও বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হচ্ছে অফিসের লাইন থেকে। বিল পরিশোধ করা হচ্ছে একই খাত থেকে। বস্তি ভাড়া ও বিলের ভাগ ভাটোয়ারাকে কেন্দ্র করে ক্যাম্পাসে এর আগে সহিংস ঘটনাও ঘটেছে।লুটপাট নির্বিঘœ করতেই দুর্নীতিবাজরা  কোনো সৎ কর্মকর্তা এখানে সুস্থভাবে কাজ করতে দেয়না। মৃত প্রায় জনস্বাস্থ্য প্রতিষ্টানটিকে কর্মক্ষম করা,অবৈধ দোকান উচ্ছেদ, প্রায় সকল বিভাগসহ বিএসসি কোর্স চালুর সফল পরিচালক ডাঃ জাফর উল্লাহর চাকুররীর মেয়াদ শেষ হলে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ প্রায় চুড়ান্ত করে সরকার।এডি, পিও এবং ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের অপ-তৎপরতায় তা বাতিল হয়ে গেছে।
(চলবে)

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

14 − 12 =