আওয়ামীলীগের নাম ভাঙ্গিয়ে দুর্নীতি, জালিয়াতি করে দোকান মালিক সমিতির সদস্যদের জিম্মি করে অর্থ আত্মসাৎকারী টুইন টাওয়ারের স্বঘোষিত সভাপতি কে এই শাকিল

0
1560

বৈরাম খাঃ সাবেক সভাপতি একেএম শাহজাহান খন্দকার ও সাধারণ সম্পাদক মোঃ মশিউর রহমান পলাশ প্রচলিত আইন কানুন অমান্য করে নিয়ম নীতির প্রতি বৃদ্ধাঙ্গলী দেখিয়ে সম্পূর্ণ বেআইনী ও অন্যায় ভাবে ক্ষমতার অপব্যবহার করে ব্যাপক হারে আর্থিক অনিয়ম দুনীতি ও জালিয়াতির মাধ্যমে সমিতির বিপুল পরিমাণ টাকা আত্মসাত করেন। এ ব্যাপারে পল্টন মডেল থানায় তাদের বিরুদ্ধে একাধিক জিডি করা হয়েছে। ইকবাল হাসেম খান একজন দোকান মালিক তার সদস্য নং ১৪২ দোকান নং ৩২৫ তিনি বাদী হয়ে জেলা সমবায় কার্যালয়ে ন্যায় বিচার চেয়ে সকল ব্যবসায়ির পক্ষে একটি শালিসী মামলা দায়ের করেন, যার নং-০৫/২০১৪। মামলাটিতে বাদী পক্ষ জয়ী হলেও গায়ের জোরে দখলে রাখে টুইন টাওয়ার্স কনকর্ড শপিং কমপ্লেক্স মালিক সমিতির কার্যালয়। গত ৩০/১২/২০১৬ তারিখে নতুন কমিটি ঘোষণা করা হয় (২০১৭-২০২০) মেয়াদে। এ কমিটির সভাপতি করা হয় মোঃ শাকিল ও মশিউর রহমান পলাশ সাধারণ সম্পাদক। বার বার বিতর্কীত ও দুর্নীতি গ্রস্থ একই কমিটি মার্কেটটি পরিচালনার দায়িত্বে থাকার কারনে গোটা মার্কেট ও সকল সদস্য তাদের নিকট দীর্ঘদিন পর্যন্ত প্রায় জিম্মি হয়ে পড়েছেন। নিজেদের স্বার্থে ও সুবিধামত  আপন ও পছন্দ মত ব্যক্তিদের নিয়ে তৈরী করা একটি পকেট কমিটি নিয়ে নতুন করে শুরু করে পুরোনো লুটপাট ও দুর্নীতি। এর ফলে সাধারণ সদস্যদের মাঝে নতুন করে আবার শুরু হয়ে যায় পুরানো সেই চরম আতংক ও হতাশা। যে নির্বাচনকে হাতিয়ার বানিয়ে সকল অপকর্ম হজম করার সিদ্ধান্ত নেয় কূটিল চরিত্রের সিন্ডিকেট। অবৈধ নির্বাচন ও কমিটির বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করা হয়, মামলা নং-৫/২০১৪। উক্ত মামলার রায়ে গঠিত মার্কেট পরিচালনা কমিটিকে অবৈধ ঘোষণা করা হয়। চরম স্বেচ্ছাচারি উপায়ে আইনকে অমান্য করে জোর পূর্বক এ সিন্ডিকেট সমিতির অফিস দখল করে নিয়ে আবার শুরু করে হরিলুটের বাণিজ্য। অবৈধ ভাবে গঠিত ও পরাজিত কমিটি বিগত তিন বছর যাবত বার্ষিক প্রতিবেদন প্রকাশ না করে এ পকেট কমিটি মার্কেট করিডোর স্পেসকে দোকানে রুপান্তর করে নিজেদের ব্যক্তিগত সুবিধার বিনিময়ে নাম মাত্র মূল্যে আপন লোককে ভাড়া দেওয়া হয়। অভিযোগে আরো জানা যায় নিজস্ব রিজার্ভ ফান্ডের অর্থ সদস্যদের অনুমোদন না নিয়েই খরচ করে সেখানেও করা হয় আরেক বাণিজ্য। অত্যন্ত ঠান্ডা মাথায় অতিগোপনে রিজার্ভ ফান্ডের অর্থ ব্যাংকে জমা রেখে এ অর্থের বিপরীতে ব্যাংক থেকে নিজেদের নামে মোটা অংকের টাকা ঋণ গ্রহন করা করে। মার্কেটের প্রতিটি দোকান থেকে বিভিন্ন কারন দেখিয়ে বিপুল পরিমাণ চাঁদা উঠানো হলেও এ অর্থের কোন হিসাব দেওয়া হয়নি হিসাবে। মার্কেটের এ সেবকরাই আজ মার্কেটের সকলের জন্য গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে। বর্তমান অবৈধ কমিটির সম্পাদক ১নং ও ২নং সদস্য ২০০৯-২০১২ সালের কমিটির সম্পাদক কোষাধ্যক্ষ ও সভাপতির মেয়াদে থাকার সময় ব্যাংক থেকে জালিয়াতির মাধ্যমে অত্যন্ত সুকৌশলে সমিতির নিজস্ব ফান্ডের তের লক্ষ টাকা উত্তোলন করে সব টাকা আত্মসাত করে ফেলে। সমিতির অর্থ আত্মসাতকারী দুষ্ঠু চোর সিন্ডিকেট ও প্রতারক চক্রের বিরুদ্ধে জেলা সমবায় কার্যালয়ে একটি প্রতারণা ও অর্থ আত্মসাত মামলা দায়ের করা হয়। উক্ত শালিসী মামলাটির নং-১৩/১৪ তারিখ-২৫/০২/ ২০১৪। ব্যাপক অনুসন্ধান ও তদন্তে দায়ি ও অভিযুক্ত চক্রটিকে কর্তৃপক্ষ দোষি সাব্যস্ত করা হলেও বর্তমানে এ মামলাটি ব্যাপক অনুসন্ধান চলছে। ব্যাপক অনিয়ম দুর্নীতি হরিলুট বাণিজ্য ও বেআইনী কর্মকান্ড জোরপূর্বক সমিতির অফিস দখল সহ কর্মকর্তাদের নানা ধরনের নৈরাজ্যকর অপকর্মের সব প্রভাব পড়েছে টুইন টাওয়ার কনকর্ড শপিং মার্কেটটির উপর। চরম হতাশা আর মর্মান্তিক বিপর্যয়ের সম্মুখীন হয়ে কালের সাক্ষী হিসেবে দাঁড়ীয়ে আছে আজ ব্যাপক সম্ভবনার টুইন টাওয়ার কনকর্ড শপিং মার্কেট।
সমবায় অধিদপ্তরের মামলাঃ
আদেশ নং-৬৭ তাং-২০/১০/২০১৪ বাদী মোঃ ইকবাল হাসেম খান, সদস্য নং-১৪২, দোকান নং-১৪২, ডা: নুরুল আমিন, সদস্য ৩৬, দোকান ২৪৪, ঠিকানা ১৯৫/১ সি শান্তিবাগ ৩য় তলা, মোঃ রুহুল আমিন সদস্য ৮, দোকান ২৩৪, ঠিকানা ৩৯৭ দক্ষিন গোরান বাদী।
বনাম এইচ এন সহিদুজ্জামান উপ সহকারী নিবন্ধক জেলা সমবায় অফিস,  এ কে এম শাজাহান খন্দকার, সদস্য ২৭, দোকান ৩৫২ প্রাক্তন সভাপতি, মোঃ মশিউর রহমান পলাশ, সদস্য ১০৮, দোকান ৪৩৯, প্রাক্তন সম্পাদক,  মোঃ বশিরুল আলম ফারুক সদস্য ১২১, দোকান ৪৩৪, প্রাক্তন কোষাধ্যক্ষ।
এ কে এম শাজাহান খন্দকার, প্রাক্তন সভাপতি মোঃ মশিউর রহমান পলাশ, প্রাক্তন সম্পাদক, মোঃ বশিরুল আলম ফারুক প্রাক্তন কোষাধ্যক্ষ, দোকান মালিক সমিতির দায়িত্ব পালন কালীন সময়ে মার্কেট ব্যবস্থাপনায় অব্যবস্থাপনা সৃষ্টি, আর্থিক দুর্নীতির মাধ্যমে লক্ষ লক্ষ টাকা আত্বসাত সমিতির অপুরনীয় ক্ষতি সাধন করা হয় কিন্তু এইচ এন সহিদুজ্জামান উপ সহকারী নিবন্ধক জেলা সমবায় অফিস, তিনি যথাযথ বিচার না করে দুর্নীতিবাজদের পক্ষে রায় দেন। এবিতর্কীত একপেশে রায়ের ফলে এখানে শুরু হয়ে যায় নৈরাজ্য ও হরিলুটের কারবার। আসামীগন দায়িত্বকালীন সময়ে ব্যবস্থপানা কমিটির সিদ্ধান্ত ছাড়া  সমবায় সমিতি আইনের ২৬ ধারা লঙ্গন করে, এফডিআর লিয়েন রেখে আই এফ আইসি ব্যাংক শান্তিনগর শাখায় ১৩ অক্টোবর ২০১০ তারিখে ১০০৭-৩৪৬৬৯২-১১১ নং এস ও ডি হিসাব খুলে  সমিতির নামে বারলক্ষ পঁচাত্তর হাজার টাকা সমিতির চলমান এসটিডি ১০০৭-৩৪৬৬৯২৫-০৪১ নং হিসাবে ট্রান্সপার করে একই দিনে  অথ্যাৎ ১৪ অক্টোবর তারিখে ২টি চেকের মাধ্যমে ব্যাংক থেকে মোট এগার লক্ষ টাকা উত্তোলন করে আত্মসাত করে। ২০১০ সালের ২২ অক্টোবর তারিখে এসওডি হিসাবের মাধ্যমে আরও একলক্ষ টাকা ব্যাংক থেকে উত্তোলন পূর্বক আত্মসাত করে। সালিসকারিগণ দলিলের তথ্য সত্যতা যাচাই না করে গুরুত্ব পূর্ণ বিষয়টি আমলে না নিয়ে ব্যক্তিগত ভাবে তদন্ত করার সুযোগ থাকা সত্বেও তা না করার কারনে সমবায় আইনের ৪৯ (২) (খ) ধারায় তদন্তের সুপারিশ করা হয় । ২নং আসামী একে এম শাহাজান ও ৪নং আসামী মোঃ বশিরুল আলম ফারুক সমিতির স্বায়ী তহবিল হিসাবে প্রতি দোকান ইউনিটের বিপরীত বিশ হাজার করে আদায়কৃত প্রায় বিশ লক্ষ টাকা নিজেরা আত্মসাত করে। সমিতির হিসাবের অর্জিত সুদ আয়ের সাথে সংযুক্ত না করে সুকৌশলে আত্মসাত করে। ২ও৪নং আসামী পরস্পর যোগসাজসে মার্কেটের স্পেস দোকানের জন্য ব্যক্তিগত ভাবে আর্থিক সুবিধা গ্রহণ করে অগ্রীম বা জামানত ছাড়া তৃতীয় পক্ষকে বরাদ্ধ দিয়ে প্রায় দশ লক্ষ টাকা আত্মসাত করে। সালিসী মামলা নং ১৩/১৪ এর রায় বাতিল ঘোষনাসহ অন্যান্য প্রতিকার প্রদানের প্রার্থনা করা হয়। সংবাদের সত্যতা যাচাইয়ের জন্য এ প্রতিনিধি যোগাযোগ করতে মার্কেটে গেলে সাধারণ সম্পাদক মশিউর রহমান দেশের বাহিরে অবস্থান করছে বলে জানানো হয় । এ ব্যাপারে অপরাধ বিচিত্রার অনুসন্ধান চলছে।

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

ten + 11 =