আজ রেলভবনে রেলপথ মন্ত্রী মোঃ মুজিবুল হক চলমান বন্যা পরিস্থিতিতে রেলওয়ের কার্যক্রম সম্পর্কে নি¤েœাক্ত বক্তব্য সাংবাদিকদের সামনে তুলে ধরেন

0
1332

বর্ষাকালে বাংলাদেশে প্রবল বৃষ্টিপাত, ঝড়ো আবহাওয়া, ঘুর্ণিঝড়, পাহাড় ধ্বস, বন্যাসহ নানাবিধ প্রাকৃতিক দুর্যোগের আশংকা দেখা দেয়। এই সকল প্রাকৃতিক দুর্যোগে রেলপথ, সেতু, স্টেশন ভবন, প্লাটফরম, ছাউনি, ফুটওভার ব্রীজ, ঘুমটি ঘর, গেইট বেরিয়ার, সিগনাল কেবিন, সিগনাল পোল, টেলিকম ভবন, টেলিকম টাওয়ার, বিদ্যুৎ লাইন, বিদ্যুৎ সাব-স্টেশন, ওয়ার্কশপ, লোকোসেড, ওয়াসপিট, টার্ণ টেবিল, ব্যারাক, পাম্প হাউজ, গোডাউন ও অন্যান্য স্থাপনা ক্ষতিগ্রস্থ এবং ট্রেন চলাচল ব্যাহত হতে পারে। এই সকল প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষয়-ক্ষতি কমানো ও নিরাপদে ট্রেন পরিচালনার জন্য এবহবৎধষ ্ ঝঁনংরফরধৎু জঁষবং ড়ভ ইধহমষধফবংয জধরষধিু অনুসারে নি¤েœ বর্ণিত কার্যক্রমসমূহ গ্রহণ করা হয়-

ক্স    কর্মকর্তা ও সিনিয়র সাবর্ডিনেট কর্তৃক মাঠ পর্যায়ের কর্মচারীদের সুশৃংখল অপারেটিং কর্ম-তৎরপতার মাধ্যমে এবহবৎধষ ্ ঝঁনংরফরধৎু জঁষবং ড়ভ ইধহমষধফবংয জধরষধিু অনুসারে নিরাপদে ট্রেন পরিচালনার জন্য সচেতন ও প্রস্তুতি করা হয়। অপারেটিং কর্মকর্তা ও পরিদর্শকদের ঘরমযঃ ঝরমহধষ ওহংঢ়বপঃরড়হ, ঊহমরহব ঋড়ড়ঃ চষধঃব ওহংঢ়বপঃরড়হ, ঘরমযঃ ওহংঢ়বপঃরড়হ, ঈঁৎংড়ৎু ওহংঢ়বপঃরড়হ জোরদার করা হয়।
ক্স    জধরষধিু গধহঁধষ ্ ঈড়ফব অনুসারে জধরষধিু ষরহব, ইৎরফমব, ঈঁষাবৎঃং, চড়রহঃং ্ ঈৎড়ংংরহম, ঝরমহধষ, ওহঃবৎষড়পশরহম ঝুংঃবসং দুর্যোগ প্রতিরোধের উপযুক্ত হিসাবে মেরামত ও রক্ষণাবেক্ষণ করা হয়। জধরষধিু ষরহব এর পাশ/নীচ দিয়ে প্রবাহমান জলাশয়ের পানির সহজ নাব্যতার লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় সংস্কার করা হয়। বন্যা প্রবণ এলাকায় জধরষধিু ষরহব, ইৎরফমব ্ ঈঁষাবৎঃং সার্বক্ষণিক পেট্রোলিং করা হয়। রেললাইনে গাছ-পালা ভেঙ্গে অবরোধ সৃষ্টি করলে তা দ্রুত অপসারণ করা হয়।
ক্স    খোয়া, পাথর, মালামাল বা জ্বালানী পরিবহনের জন্য ইধষষধংঃ ঞৎধরহ প্রস্তুত রাখা হয়। জরুরী প্রয়োজনে ব্যবহারের জন্য বাঁশ, চাটাই, রশি, স্টিল ওয়্যার,  বালি, বোল্ডার, পলিব্যাগ, সিমেন্ট ব্যাগ ও অন্যান্য সামগ্রি সংগ্রহ ও মজুত রাখা হয়।
ক্স    ঢাকা, চট্টগ্রাম, পাকশী ও লালমনিরহাট বিভাগীয় ট্রেন কন্ট্রোল অফিসে  এবং সিআরবি (চট্টগ্রাম) ও  রেলভবন (রাজশাহী) জোনাল কন্ট্রোল অফিসে অপারেটিং কর্মকর্তাদের তত্বাবধানে জরুরী মনিটরিং সেল স্থাপন করা হয়। মহাপরিচালক, বাংলাদেশ রেলওয়ে, মাননীয় মন্ত্রী (রেলপথ মন্ত্রণালয়), সচিব (রেলপথ মন্ত্রণালয়) এবং অন্যান্য মন্ত্রণালয়, বিভাগ ও সংস্থার সাথে জরুরী প্রয়োজনে যোগাযোগের জন্য ফোকাল পয়েন্ট কর্মকর্তা নিয়োগ করা হয়।
ক্স    মাঠ পর্যায়ে প্রকৌশল বিভাগের কর্মচারী ও কর্মকর্তাগণ রেললাইন, ব্রীজ-কালভার্ট এবং নদ-নদীর পানির অবস্থা প্রতিনিয়ত পর্যবেক্ষণ করে। তাদের নিকট থেকে প্রাপ্ত তথ্য-উপাত্ত পর্যালোচনা করতঃ বিভাগীয় পর্যায়ে ট্রেন চলাচল সম্পর্কিত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। প্রয়োজনে সম্ভাব্য দুর্ঘটনা প্রতিরোধে চলমান ট্রেনের চলাচল সাময়িকভাবে নিয়ন্ত্রণ করা হয়।
ক্স    ট্রেন চলাচলে নিরাপত্তা ব্যাহত হলে বিভাগীয় ট্রেন কন্ট্রোল অফিস কর্তৃক জোনাল কন্ট্রোল অফিস ও সংশ্লিষ্ট বিভাগীয় কর্মকর্তাগনকে, জোনাল কন্ট্রোল অফিস কর্তৃক সেন্ট্রাল কন্ট্রোল অফিস ও সংশ্লিষ্ট বিভাগীয় প্রধানদের এবং সেন্ট্রাল কন্ট্রোল অফিস কর্তৃক অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশন, অবকাঠামো ও রোলিং স্টক), মহাপরিচালক (বাংলাদেশ রেলওয়ে) ও রেলপথ মন্ত্রণালয়ের ফোকাল পয়েন্ট কর্মকর্তা-কে অবহিত করা হয়।
ক্স    ট্রেন কন্ট্রোল অফিস কর্তৃক স্টেশন মাস্টার, গার্ড, এলএম ও এএলএমদের সাথে টেলিফোনে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ এবং প্রয়োজনীয় আদেশ-নির্দেশ ও পরামর্শ প্রদান করা হয়। বিশেষতঃ দুটি ট্রেনের ক্রসিং ও প্রিসিডেন্সের সময় আবশ্যিকভাবে এলএম, এএলএম ও গার্ডকে কন্ট্রোল কর্তৃক অবহিত করা হয়।
ক্স    চীফ অপারেটিং সুপারিনটেনডেন্ট (পূর্ব ও পশ্চিম) কর্তৃক নিজ নিজ অঞ্চলের বন্যা পরিস্থিতি, নদ-নদীর পানি হ্রাষ/বৃদ্ধি, রেললাইন ও সেতুর অবস্থা এবং ট্রেন চলাচল ইত্যাদি তথ্যাদি লিখিত বার্তার মাধ্যমে পরিচালক (ট্রাফিক) রেলভবন, ঢাকাকে অবহিত করা হয়।
ক্স    বিশেষ জরুরী প্রয়োজনে বাংলাদেশ সেনা বাহিনী, পানি উন্নয়ন বোর্ড, বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়, স্থানীয় প্রশাসন, আইন-শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনী ও অন্যান্য বিভাগ/সংস্থার সহায়তা কামনা করা হয়।
ক্স    বন্যা দুর্গতদের চিকিৎসার জন্য বাংলাদেশ রেলওয়ে মেডিকেল টিম প্রস্তুত রাখা হয়। বৈদ্যুতিক ব্যবস্থা বিপর্যস্ত হলে তা দ্রুত পুন স্থাপনের জন্য জরুরী ব্যবস্থা নেওয়া হয়। বন্যার পানির ¯্রােতে রেললাইনের উপর দিয়ে যাওয়া পিডিবি/আরইবির বৈদ্যুতিক খুটি/তার যাতে ট্রেন চলাচল ব্যাহত না করে তার প্রতি সজাগ দৃষ্টি রাখা হয়।
ক্স    স্টেশন মাস্টার কর্তৃক লাইন ক্লিয়ার আদান-প্রদান, ট্রেন রিসিভ-ডেসপ্যাচ, সান্টিং অপারেশন, লোকোমাস্টারকে লাইন ক্লিয়ার হস্তান্তর সর্বোচ্চ সতর্কতা ও গুরুত্বের সাথে পরিচালনা করা হয়। স্টেশন, সিগন্যাল, রেললাইন, লেভেল ক্রসিং ও কোন প্রতিবন্ধকতা দৃষ্টিগোচর না হলে বাংলাদেশ রেলওয়ের সাধারণ ও আনুষঙ্গিক নিয়মাবলীর ৭১, ৭২, ৭৩ ধারা ও তৎসংলগ্ন উপধারা অনুসারে ফগ সিগনাল (যা বিস্ফোরিত হয়ে প্রচন্ড শব্দের মাধ্যমে চালকের দৃষ্টি আকর্ষণ করে) স্থাপন করা হয়। প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে সতর্ক ভাবে ট্রেন পরিচালনার জন্য গার্ড ও লোকোমাস্টারকে লিখিত সতর্কবার্তা ওপিটি ৮০ ইস্যু করা হয়।

মোঃ শরিফুল আলম
সিনিয়র তথ্য অফিসার

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

1 × one =