আশুলিয়ার গাজীরচট এলাকায় প্রথম শ্রেণির এক স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ

0
491

আশুলিয়ার গাজীরচট এলাকায় প্রথম শ্রেণির এক স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। রবিবার (১০ই সেপ্টেম্বর) রাতে স্থানীয় মুদি ব্যবসায়ী কামাল হোসেন কর্তৃক এ ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ভুক্তভুগি পরিবারের পক্ষথেকে আশুলিয়া থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করা হয়েছে।
জানা গেছে, নির্যাতনের শিকার ওই শিক্ষার্থী মুদি ব্যবসায়ী কামাল হোসেনের দোকানে বিস্কুট কিনতে যায়। পরে নিজের দোকানে আটকিয়ে রেখে ওই শিশুকে একটি রুমে মুখ বেধে ধর্ষণ করে ব্যবসায়ী কামাল। এ ঘটনার প্রতিবাদ করতে গেলে উল্টো হুমকির শিকার হয়েছেন ভুক্তভোগীর পরিবার। ধর্ষক শিশুর বাবা মহন আলীকে এ নিয়ে মুখ খুলতে নিষেধ করেছেন, কাউকে ধর্ষণের ঘটনা জানালে উল্টো তাদেরকে এলাকা ছাড়া করারও হুমকি দেন তারা।
ধর্ষণের শিকার ওই শিশুটির বাবা মোহন আলী সাংবাদিকদের বলেন, রবিবার রাতে মেয়ে বাড়ির পাশে দোকানে বিস্কুট কিনতে গেলে কৌশলে দোকানের কামাল হোসেন তাকে দোকানের ভিতরে নিয়ে যায় ও সাটার বন্ধ করে দেয়। পরে মেয়েকে ধর্ষণ করে। এসময় মেয়েটির চিৎকারে আশে পাশের লোকজন এগিয়ে আসলে কামাল হোসেন পালিয়ে যায়। খবর পেয়ে আশুলিয়া থানা পুলিশ ও বাবা-মা মেয়েটিকে অসুস্থ অবস্থায় উদ্ধার করে পরীক্ষার জন্য ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান ষ্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসিঁ) ভর্তি করেন।
ধর্ষক কামাল হোসেন আশুলিয়ার গাজীরচট এলাকার আবুল মাঝির ছেলে। ধর্ষক কামালের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, কামালসহ চার ভাই কেউ বাড়িতে নেই। এমনকি তার বাবা আবুল মাঝিরও দেখা মেলেনি। স্থানীয়রা জানান, ঘটনা জানাজানির পর থেকেই কামালের পরিবারের লোকজন গা ঢাকা দিয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে আশুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল আউয়াল ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ধর্ষককে গ্রেফতার করতে অভিযান চালানো হচ্ছে। এ ঘটনায় মেয়েটির বাবা বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছেন। ওই শিশুকে উদ্ধার করে পরীক্ষার জন্য ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

16 + 9 =