ইউএনও সহ ৭ টি পদ শুন্য রৌমারী বাসী অসহায়ে হয়ে পড়েছে

0
1660

মাজহারুল ইসলাম,রৌমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধিঃ
কুড়িগ্রামের নদী বিচ্ছিন্ন উপজেলা রৌমারী, উপজেলা প্রশাসনে নির্বাহী অফিসার ও সহকারী কমিশনার (ভুমি)সহ ৭ টি পদ শুন্য হয়ে পড়ায় প্রশাসনিক অবকাঠামো অচলবাস্থার সৃষ্টি হয়েছে। উপজেলা কমপ্লে´টি এখন অনেকটাই ঝিমিয়ে পড়েছে। চলমান বন্যা ও বিভিন্ন রাস্তাঘাট বেহাল অবস্থাসহ উন্নয়ন কাজ  রয়েছে প্রশাসনিক নজরদারীর বাইরে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার আব্দুল্লাহ আল মামুন তালুকদারের বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে গত ১২ মার্চ ২০১৭ তারিখ জেলা প্রশাসক অন্যত্র বদলি দিয়েছেন। ফলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার পদ শুন্য হওয়ায় সকল দপ্তরের কাজে স্থবিরতা দেখা দিয়েছে।
অপর দিকে উপজেলার বিভিন্ন দপ্তরে শুন্য পদগুলো সহকারী কমিশনার (ভুমি), উপজেলা বাস্তবায়ন কর্মকর্তা, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা, উপজেলা হিসাব রক্ষন কর্মকর্তা, উপজেলা পরিসংখান কর্মকর্তা, উপ-সহকারী প্রকৌশলী (জনস্বাস্থ্য)। দীর্ঘদিন থেকে শুন্য পদ হওয়ায় কাজে ব্যাহত হচ্ছে।
রৌমারী উপজেলা অফিস সুত্রে জানা গেছে, অফিসের বিভিন্ন কাজের স্থবিরতা দেখা দিলে জেলা প্রশাসক গত ১৫ মার্চ ২০১৭ থেকে রাজীবপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফাউজুল কবিরকে দায়িত্ব দিয়েছেন। প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসের দায়িত্বরত ইঞ্জিনিয়ার (পরিদর্শক) কর্মকর্তা নুর আলমকে চলতি বন্যা মৌসুমে বানভাসিদের ত্রান দেয়ার কথা জিজ্ঞাসা করলে তিনি জানান, একে তো উপজেলা প্রশাসনিক কর্মকর্তা নেই, তাতে আবার প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা নেই। এতে বানভাসী মানুষ সময় মতো ত্রান থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। এ বিষয়ে বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা, অভিজ্ঞ মহল, ঠিকাদার, ব্যবসায়ী মহল ও রাজনৈতিক ব্যাক্তি বর্গগণদেরকে জিজ্ঞাস করলে তাহারা জানান, উপজেলা প্রশাসনিক কর্মকর্তা না থাকায় দাপ্তরিক কাজ ও চলতি বন্যা মৌসুমে বানভাসিদের ত্রান সহযোগীতা ও বিভিন্ন রাস্তাঘাটের বেহাল অবস্থা দেখা দিয়েছে। তাছাড়া দীর্ঘ ৩ মাস যাবত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা না থাকায় উপজেলা প্রসনিক কর্মকান্ড একেবারেই সম্পুর্ন ঝিমিয়ে পরেছে।
অপরদিকে অতিরিক্ত দায়িত্বে দেয়া রাজিবপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দুটি উপজেলা প্রশাসনিক দায়িত্ব পালনে হিমশিম খাচ্ছেন। আরো জানান, সারা দিনের প্রশাসনিক এবং অন্যান্য বিভাগীয় কাজে অনেকটাই ব্যাহত হচ্ছে। দ্রুত উপজেলা প্রশাসনে উপজেলা নির্বাহী অফিসারসহ অন্যান্য শুন্যপদে কর্মকর্তা কর্মচারী নিয়োগ দেয়া আবশ্যক বলে স্থানীয় বিজ্ঞ মহল মনে করেন।

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

nineteen − 7 =