উজিরপুরে সোনালী ব্যাংকে লক্ষ লক্ষ টাকা ভৌতিক লোন লোন না নিয়েও ঋণের বোঝা মাথায় নিয়ে দ্বারে দ্বারে ঘুরছে হতদরিদ্ররা

0
1549

উজিরপুর প্রতিনিধি ঃ বরিশালের উজিরপুরে সোনালী ব্যাংকের ঋণ না নিয়েও ভৌতিক ঋণের বোঝা মাথায় নিয়ে দ্বারে দ্বারে ঘুরে বেড়াচ্ছে বড়াকোঠা ইউনিয়নের হতদরিদ্র ৬ গ্রাহক। ব্যাংক কর্তৃপক্ষ নিরব। এরকমই অভিযোগ পাওয়া গেছে উত্তর বড়াকোঠা গ্রামের বিনোদ হালদার, সুভাষ, অমূল্য, সমীর ও নারায়ন হালদারসহ ৫ জনের নামে ২০১২ সালের ১৩ আগষ্ট ২০ হাজার টাকা করে ১ লক্ষ টাকা এবং শংকর গাইনের নামে ২৫ হাজার টাকা ঋণ রয়েছে। ২০১৬ সালে এপ্রিল মাসে উজিরপুর সোনালী ব্যাংক থেকে লোন কর্মকর্তারা নোটিশ নিয়ে তাদের বাড়ি বাড়ি গেলে হতদরিদ্র গ্রাহকরা যেন আকাশ ভেঙ্গে পড়ার মত। ঐ বছরই ২৮ জুলাই উজিরপুর সোনালী ব্যাংকের শাখা ব্যবস্থাপক বরাবরে ৬ গ্রাহক ঋণ নেয়নি বলে অভিযোগ পত্র দায়ের করে। কিন্তু বিধি বাম কে শোনে গরীবের কথা ! ২০১৭ সালের মে পর্যন্ত কোন কার্যক্রমই তাদের কাছে ধরা দেয়নি। ঋণের দায়ভার থেকে তারা কি মুক্ত হতে পারবে ? এরকমই আক্ষেপ করে বলছিলেন ষাটোর্ধ সুভাষ, নারায়ন ও শংকর গাইন। তবে গ্রাহকরা আরো জানান, বড়াকোঠা গ্রামের মৃত রাজেন্দ্র হালদারের ছেলে সাবেক ইউপি সদস্য প্রফুল¬ হালদার বর্গাচাষী হিসেবে ব্যাংকের কিছু অসাধু কর্মকর্তাদের মাধ্যমে এদের নামের লোন হাতিয়ে নিতে পারে। এ ছাড়া প্রায়শই উজিরপুর সোনালী ব্যাংকের বিরুদ্ধে বিভিন্ন এলাকা থেকে নামে বেনামে একাধিক ভৌতিক লোনের অভিযোগ রয়েছে। এ কারণে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ কিছুটা বিড়ম্বনার শিকার হয়েছেন। এ ব্যাপারে বরিশাল সোনালী ব্যাংকের জেনারেল ম্যানেজার এ.এম শফিক আহমেদ সাংবাদিকদের জানান, আমাদের কাছে এ ধরণের কোন লিখিত অভিযোগ জমা হয়নি। তবে আপনাদের কাছে তথ্য থাকলে অবশ্যই আমাদের জানাবেন। ভৌতিক লোনের কারণে কোন গ্রাহক হয়রানির শিকার যাতে না হতে পারে সে ব্যাপারে লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। উজিরপুর সোনালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপক প্রিন্স পারভেজ জানান, আমরা লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে প্রেরণ করা হয়েছে। তারা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করবেন।

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

twenty − seventeen =