উত্তরায় সূর্বণা সিন্ডিকেটের ভয়ংকর রুপের জাল

0
2349

মাহমুদুল হাসানঃ
রাজধানীর উত্তরা জুড়ে নতুন অপরাধের সুত্র পাত। পরিবার সমাজ তো দুরে থাক, আইন শৃংখলা বাহিনীও এদের আইনের আওতায় আনতে হিমশিম খাচ্ছে। একদল পেশাদার রুপসী নারী নিজেদের রুপ-যৌবন কে পুজি করে প্রশাসন ও গণমাধ্যম কর্মিদের ব্যবহার করে তাদের শিকার ধরায় মত্ত। সহসাই বুঝার উপায় নাই এরা কত বড় ভয়ংকর অপরাধ চক্রের সদস্য। উত্তরার হাউজ বিল্ডিং, দিয়া বাড়ী, বিশেষ করে ৩০০ ফিট এদের অভয়াশ্রম। রাত-দিন ৩০০ ফিটে শিকারের সন্ধানে উৎপেতে থাকা সিন্ডিকেটের মূল হোতা সূর্বণা নাহার সাথী (২০) যশোরের মেয়ে, নিজেকে শান্তা মারিয়ামের ছাত্রী পরিচয় দিলেও, সারা দিন ৩০০ ফিটের কাজী ফুডে তাদের আড্ডা। সারা দিন শিকারের সন্ধানে উৎ পেতে থাকাই তাদের কাজ। এরই মধ্যে অসংখ্য শিকার ধরেছেন সূর্বণা সিন্ডিকেট। তার অপর সহযোগী মিশফিকা রহমান ্র্রশ্রাবন। পরিচয়, প্রেম পরিণয় অতঃপর বিয়ে। বিবাহের তিন দিন পরই স্বামী মহিবুল হক শান্তর নিকট ডির্ভোস চান সাথী। সাথে দিতে হবে দেন মোহরের ৬ লাখ টাকা। ৫নং শেখের টেক কাজী অফিসে তাদের বিবাহ হয়, দেন মোহরের অর্ধেক ৫ লাখ টাকা ও গহনা নেন সাথী। বিবাহ বিচ্ছেদের কথায় কিংকর্তব্য বিমুঢ় শাওন তার বাড়িতে খোজ নিয়ে জানতে পারে, সবই ছলনার রঙ্গে মাখানো রঙ্গীন ফানুস। শাওন আদাবর থানায় একটি জিডি দায়ের করে যার নং-৬২২। জিডির ভিত্তিতে এসআই রনজিত পারিবারিকভাবে সমাধানের চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন। ব্যর্থ হওয়ারই কথা সাথীর টাকা প্রয়োজন স্বামী নয়। সূবর্ণা নাহার সাথীর পিতার নাম, সিরাজুল ইসলাম, চুড়ামনকাঠি, যশোর সদর। ৭ নং চুড়ামনকাঠি ইউপি ৫ নং ওয়ার্ড সদস্য তাদের সম্পর্কে কিছু বলতে পারেননি। শাওন পুনরায় মিরপুর থানায় একটি জিডি দায়ের করেন। উশৃংখল জীবনের অধিকারীণি সাথী শাওন কে তথ্য প্রযুক্তি আইনের মিথ্যা মামলায় ফাসিয়ে জীবন কে দূর্বিসহ করে তুলেছে। সর্ব শেষ স্টেট ইউনির্ভাসিটি এলএলবির ছাত্র সোহেল কে প্রেমের ফাদে ফেলে দক্ষিনখান হতে কৌশলে ২০ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়, সোহেলের সাথে তার শারিরীক সম্পর্ক হয়েছে বলে দাবী করলে, উত্তরা পূর্ব থানা পুলিশ সোহেল কে হাজারীবাগ থানায় হস্তান্তর করে। সাথীর দাবী ৬ লাখ টাকা দেনমোহরে তাকে বিবাহ করতে হবে, অন্যথায় সূবর্ণা ধর্ষণ মামলা দেওয়ার হুমকি দিতে থাকে। অবশেষে তিন দিন তিন রাত হাজারী ভাগ থানায় থেকে ভিকটিম সার্পোট সেন্টারে পাঠানো হয়। তাকেও সইতে হয় অপবাধ, অপমান। হাজারীবাগ থানার ওসি, এসি, এডিসি, ডিসি সকলকে নাজেহাল করতে সক্ষম হয়। শাওন, সোহেল, ছাড়াও অসংখ্য ভূক্তভোগী অভিযোগ করে বলেন,”সাথী ফেসবুক, ইমু, ম্যাসেঞ্জার এর মাধ্যমের পরিচয়ের সুত্র ধরে নিজের রুপ-যৌবন পুজি করে ভয়ংকর সব অপরাধ করে যাচ্ছে। প্রয়োজনে প্রশাসন, মিডিয়া ও রাজনৈতিক ব্যক্তিদের খুব কৌশলে নিজের ভাই-বন্ধু বলে চালিয়ে দেন। এ ব্যপারে সাথীর নিকট জানতে চাইলে অকথ্য ভাষায় গালি-গালাজ ও দেখে নেওয়ার হুমকি দিয়ে বলে,”আমার রুপের ফাদে কত বীর পুরুষ আটক আছে, তা তোরা জানিস না, তোদের যেখানে পাবো মেরে লাশ বানাবো”।

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

two × four =