এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষা ঘিরে শুরু হয়েছে কঠোর গোয়েন্দা নজরদারি। ফলে প্রশ্নপ্রত্র ফাঁস বা এ নিয়ে কোনো ধরনের গুজব ছড়ানোর চেষ্টা করে কেউ সফল হবে না।
কেউ এমন কিছু করার চেষ্টা করলেই আইন শৃংখলা রক্ষাকারি বাহিনীর সদস্যরা প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেবে। নিয়মিত অনলাইন ও ফেইসবুক মনিটরিং করা হবে। আগামী ৬ অক্টোবর ওই ভর্তিপরীক্ষা সামনে রেখে গতকাল বুধবার নিজ মন্ত্রনালয়ে এক সভা শেষে প্রেসব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যান মন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম। মন্ত্রী জানিয়েছেন, গত বছরের মতো এবারো ব্যবহার করা হবে আধুনিক প্রযুক্তি।এমবিবিএস ও বিডিএস ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে ব্রিফিংয়ের আগে অনুষ্ঠিত সভায় স্বাস্থ্য সচিব (শিক্ষা ও পরিবার কল্যান) সিরাজুল ইসলাম, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ, ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার মো. আছাদুজ্জামান মিয়াসহ পুলিশ ও র্যাবের অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
মন্ত্রী সাংবাদিকদের জানান, এবার ঢাকায় ৫টিসহ সারাদেশে মোট ২০টি ৬ অক্টোবর এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। এ জন্য ইতিমধ্যেই সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। এ পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার জন্য এবার ৮২ হাজারের বেশি শিক্ষাথী আবেদন করেছে। সরকারি বেসরকারি মিলিয়ে এবার মোট আসন সংখ্যা ৯ হাজার ৩৪০।
মন্ত্রী জানান, গতবছরের ভর্তি পরীক্ষার সাফল্যের ধারাবাহিকতায় এবারও প্রশ্নপত্র তৈরি ও কেন্দ্রে পৌঁছানোর ক্ষেত্রে নিরাপত্তাজনিত কোনো বিচ্যুতি ঘটবে না। মন্ত্রনালয় থেকে শুরু করে সুশীল সমাজের প্রতিনিধি ও প্রবীণ চিকিত্সকদের নিয়ে গঠিত বিশেষ কমিটি গঠন করা হয়েছে। তাঁরা প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেওয়ার পাশাপাশি ও প্রত্যক্ষভাবে সব প্রক্রিয়া তত্ত্বাবধান করবেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী হুশিয়ারি দিয়ে বলেন, মেডিকেল ও ডেন্টাল ভর্তি পরীক্ষার মান সমুন্নত রাখতে কোনো আপোষ করা হবে না। ভর্তি পরীক্ষার আগে ভূয়া প্রশ্নপত্র বানিয়ে নিরীহ শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের সাথে প্রতারণার অপকৌশল বন্ধ করতে ১ সেপ্টেম্বর থেকে ভর্তি কোচিং সেন্টার বন্ধ করা হয়েছে। এক্ষত্রে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকে সহায়তা করার জন্যে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তারপরও যেন কোনোভাবে এধরনের অপতৎরতা না চলে তার জন্য নজরদারি বাড়াতে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকে বলা হয়েছে।