মিয়া মঞ্জরুল আলম রানা ঃ কামরুন্নাহার তূর্নার নানা বাড়ি আমার নরসিংদী শহরে। জন্ম ও বেড়ে উঠা আশুগঞ্জে। পড়াশুনা করেছে ঢাকায় থেকে। মাস্টার্স পাশ করেছিলো
পাঁচ বছর আগে পারিবারিকভাকে তার বিয়ে হয় চাচাতো ভাই আরিফুলের সাথে।
শ্বশুর বাড়ি আশুগঞ্জের চর চারতলা ইউনিয়নে। তিন বছরের একটি মেয়ে আছে। পেটে আরেকটি সন্তান ছিলো তিন মাসের।
পরিবারের একমাত্র সন্তান কামরুন্নাাহারের বাবার আর্থিক অবস্থা বেশ ভালো। তবে বাবা খুব অসুস্থ। মা মারা গেছেন বছর দুই আগে।
বাবার সব সম্পতির অংশীদার এখন কামরুন্নাার। এটাই তার কপাল পুরলো। স্বামীর সব লোভ যে তার বাবার সম্পতিকে ঘিরে সেটি সে বুঝে গিয়েছিলো।
এসব কারণেই স্বামীর সাথে তার মিল হচ্ছিল না। বছর খানেক ধরে আরিফুলের সাথে সময়টা ভালো যাচ্ছিল না কোনভাবে। তাই একটু দূরে দূরে থাকতো।
দু’দিন আগে কোন প্রয়োজনে শ্বশুর বাড়ি গিয়ে ছিলো। এই যাওয়াই যে শেষ যাওয়া হতভাগী বুঝতে পারেনি!
পৃথিবী যে কতো নিষ্ঠুর হতে পারে সেই রুপ দেখে গেছে মেয়েটি মৃত্যুর আগে। নৃশংসতার নির্মমতার বলতে যা বুঝায় সবটা হয়েছে তিন মাসের অন্ত:স্বত্তা কামরুনের সাথে।
আজ পরিত্যক্ত পানির টাংকি থেকে তার হাত পা বাধা লাশ উদ্ধার করারা হয়েছে।
যারা লাশ দেখেছেন তাদের ধারনা হাত পায়ের হাড় সব গুড়িয়ে ফেলা হয়েছে। পলেথিন দিয়ে মুখ বাধা।
সবচেয়ে বড় নৃশংসতা, তিন মাসের বাচ্চাওয়ালার পেটের উপরও নাকি নির্যাতন করা হয়েছে বলে দেখে মনে হচ্ছে।
গত কয়েকটা বছর যাকে ভালবেসে তার সন্তান পেটে ধারন করেছে, ছোট যে শরীরটার সাথে আরেকটা শরীর পৃথিবীর সবচেয়ে বড় বিশ্বাস ভরসা ভালবাসা নিয়ে হাজারটা রাত কাটিয়ে দিয়েছে, সেই মানুষটা কিভাবে কিছু সম্পতির কারণে এতোটা নৃশংস হতে পারে! আগত সন্তানকে পায়ে মাড়িয়ে পিষে ফেলতে পারে!
খুনী আরিফুল ঘটনার পর থেকে পলাতক। তার পরিবারের লোকজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
কামরুন্নাহারের বাবা এমনিতেই অসুস্থ। মেয়ের এমন মৃত্যুর পর আরো অসুস্থ হয়ে পরেছেন! মেয়ের খুনীর বিচার চাওয়ার মত বলতে তেমন আর কেউ নেই।
কামরুন্নাহার খুনী যাতে ধরা পরে সে যেন তার অপরাধের সর্বোচ্চ শাস্তি ভোগ করে সে জন্য আশুগঞ্জের ভাই বোনদের কাছে অনুরোধ যে যেখান থেকে পারেন সহযোগীতা করেন।
তার মেয়ে যেন মনে করে তার জন্মদাতা পশু হলেও দুনিয়ার বাকি মানুষগলো পশু নয়। সে একা নয় তার পাশে সবাই আছে।
কামরুনেরর বাবা যেন মনে করে তার আর কেউ না থাকলেও সবাই তার মেয়ের বিচারের জন্য পাশে এসে দাড়িয়েছেন।
একটা মানুষরুপী পশু খুনী এভাবে পার পেয়ে যেতে পারে না