এসেনশিয়াল ড্রাগ কোম্পানি বাংলাদেশের সরকারী একটি প্রতিষ্ঠান। ১৯৬২ সাল থেকে নিয়মিত ওষুধ সরবরাহ করে আসছে প্রতিষ্ঠানটি। জন্ম নিরোধক পিল থেকে শুরু করে স্যালাইন এবং কিছু সাধারণ রোগের জন্য ওষুধ সরবরাহ করছে প্রতিষ্ঠানটি। বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলায় এসেনশিয়াল ড্রাগ কোম্পানি ওষুধ তৈরির বেশকিছু কারখানাও নির্মাণ করেছে যেগুলোতে বাংলাদেশের নাগরিকদের জন্যে বিনামূল্যের সরকারী ওষুধ প্রস্তুত করা হয়। ইদানিং বাংলাদেশে ক্যান্সার অনেক বৃদ্ধি পাচ্ছে। সম্প্রতিদ্য ফাইন্যান্সিয়াল এক্সপ্রেস এর একটি রিপোর্টে জানানো হয়, ২০৩০ সালের মধ্যে বাংলাদেশের প্রধান মৃত্যুর কারণ হবে ক্যান্সার। বাংলাদেশে প্রস্তুত না করতে পারায়া এই ক্যান্সার ঠেকাতে যে ওষুধ প্রয়োজন তা বেশিরভাগই বিদেশ থেকে আমদানি করতে হয়। আমদানি করা ঔষধগুলো খুব দামী হয়ে থাকে। এই চড়া মূল্য বেশিরভাগ ক্যান্সারের রোগীদের সামর্থ্যের বাইরে হওয়াতে তাঁরা এগুলো কিনতে পারে না। এতে করে চিকিৎসার অভাবে মারা যায় বেশিরভাগ রোগী। ক্যান্সারের ওষুধ রোগীদের সামর্থ্যের মধ্যে আনতে চাইলে সরকারী পদক্ষেপ প্রয়োজন। এসেনশিয়াল ড্রাগস কোম্পানিকে বাংলাদেশের মধ্যেই এই ওষুধ তৈরি করতে হবে যাতে করে সকল ক্যান্সার রোগী তাঁদের ক্যান্সারের চিকিৎসা করে এই রোগটি থেকে মুক্ত হতে পারে। এতে বাংলাদেশের ক্যান্সারে আক্রান্ত মানুষের মৃত্যুর হার ব্যাপকভাবে কমে যাবে। সূত্র : দ্য ডেইলি স্টার