জ্বিন তাড়ানোর নামে ফাঁদে ফেলে পর্নো ভিডিও, আটক ১

0
1321

জ্বিন-ভূত তাড়ানোর নাম করে তরুণীদের ফাঁদে ফেলে পর্নো ভিডিও ধারণ করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগে একজনকে আটক করেছে কাউন্টার টেরোরিজমের সাইবার ক্রাইম ইউনিট। আটককৃতের নাম আহসান হাবিব পিয়ার। মঙ্গলবার রাতে তাকে রাজধানীর খিলগাঁও তিলপাপাড়া থেকে আটক করা হয়।

এ বিষয়ে খিলগাঁও থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

সাইবার ক্রাইম ইউনিটের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার নাজমুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

সাইবার ক্রাইম ইউনিট সূত্র জানায়, আহসান হাবিব পিয়ার, মিতা ও তাহমিনা এ তিনজনের এ চক্র। মূলত পিয়ার তরুণীদের বিভিন্নভাবে ফাঁদে ফেলে। কৌশলে পর্ণো ভিডিও ধারণ করে। এরপর সে ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়ার হুমকি দেয়। এভাবে বেশ কয়েকজনের কাছ থেকে সে ৩ থেকে ৫ লাখ টাকা করে হাতিয়ে নেয়। ভুক্তভোগী তরুণীরা এ বিষয়ে অভিযোগ করলে অনুসন্ধান শুরু করা হয়। এক পর্যায়ে খিলগাঁও তিলপাপাড়া থেকে পিয়ারকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাহমিনা ও মিতা পলাতক রয়েছে। আটকের সময় পিয়ারের কাছ থেকে কম্পিউটার মোবাইল জব্দ করা হয়। জব্দকৃত মোবাইল ও কম্পিউটার থেকে ভুক্তভোগী তরুণীদের ওই সকল ভিডিও পাওয়া যায়।

এছাড়াও পিয়ার ইউটিউবে এ এইচ টিভি নামের চ্যানেল খুলে নিজেকে সাংবাদিক পরিচয় দিতো। এখানে সে ইসলামিক নানা প্রচার প্রচারণা চালাতো। পাশাপাশি তরুণীদের জ্বিন ভূত তাড়ানোর নাম করেও  ভিডিও ধারণ করতো।

নাজমুল ইসলাম জানান, আহসান হাবিব বড় ধরনের একজন প্রতারক। সে ইসলামের লেবাস পরে জ্বিন ভূত তাড়ানোর নাম করে তরুণীদের ফাঁদে ফেলতো। এরপর কৌশলে আপত্তিকর ভিডিও ধারণ করতো। এরপর ভুক্তভোগী তরুণীর পরিবারের কাছে ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছেড়ে দেয়ার নাম করে লাখ টাকা দাবি করতো।

তিনি আরও জানান, পিয়ার নিজেকে সাংবাদিকও পরিচয় দিতো। সাংবাদিক পরিচয় দিয়েও অনেক তরুণীর সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে আপত্তিকর ভিডিও ধারণ করেছে।  ইউটিউবে তার একটি চ্যানেল রয়েছে। চ্যানেলে ইসলামিক নানা সংবাদ প্রচার করতো আহসান হাবিব।

সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করে তাকে আদালতে পাঠানো হবে বলে জানান সাইবার ক্রাইম ইউনিটের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার।

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

15 + two =