জেমস.এ.কে হামিম
রাজধানী তুরাগের হরিরামপুর ইউনিয়ন তাঁতী লীগের সভাপতি আলাউদ্দিনের নারী কেলেঙ্কারীর নগ্ন ভিডিও ফাঁস নিয়ে এলাকায় তোলপার শুরু হয়েছে। অভিযোগ রয়েছে পরকীয়া প্রেমের ফাঁদে ফেলে বহু নারীর সাথে যৌনসম্পর্ক স্থাপন ও তা গোপনে ভিডিও ধারন করে রাখে তাঁতী লীগের এই নেতা।
তুরাগের নয়ানগর এলাকার স্থানীয় বাসিন্দা আক্কাস আলীর ছেলে হরিরামপুর ইউনিয়নের তাঁতী লীগ সভাপতি আলাউদ্দিনের রগেরগে ওই যৌন ভিডিওটি তার নিজের মুঠোফোন থেকে ছড়িয়ে পড়েছে এলাকার অসংখ্য কম্পিউটার ও মুঠোফোনে। চাচাতো ভাইয়ের স্ত্রীর সাথে পরকীয়ার যৌন ভিডিও টি নিজ মোবাইলে গোপনে ধারণ করে পরবর্তীতে তা দেখিয়ে একাধিকবার দৈহিক মিলনে তার ভাবীকে বাধ্য করেছিল এই নেতা। পরে এক সময় অজান্তেই নিজ মোবাইল থেকে ভিডিওটি ছড়িয়ে পড়লে তা তুরাগ উত্তরা এলাকায় ব্যাপকভাবে সমালোচনা সৃষ্টি করে। ভিডিও টি অপরাধ বিচিত্রার ষ্টাফ রিপোর্টারের কাছে আসার পর দেখা যায় ১২.৩০ সেকেন্ডের ওই ভিডিওতে লীগের ওই নেতা পাঁচ লাখ টাকার একটি ঝামেলা মিটিয়ে দেয়ার আশ্বাস দেখিয়ে অন্তরঙ্গ মুহূর্তে লিপ্ত হয় নারীর সাথে ও তার কিছু দৃশ্য নিজ মোবাইলে গোপনে ধারণ করে তাঁতী লীগের এই লম্পট নেতা আলাউদ্দিন। অনুসন্ধানে জানা যায় ওই মহিলা তার চাচাতো ভাইয়ের স্ত্রী। তাকে ফুসলিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল গাজীপুরের টঙ্গীর এক আবাসিক হোটেলে। সেখানেই মোবাইলে গোপনে নিজ ভাবীর সাথে অন্তরঙ্গ ভিডিওটি ধারণ করে এই নেতা। এলাকাবাসী অভিযোগ করে বলেন আলাউদ্দিন আলাল এর বিরুদ্ধে একাধিক নারী কেলেঙ্কারি, জমি দখল, চাঁদাবাজিসহ মাদক ব্যবসায়ের অভিযোগ রয়েছে। তাছাড়া পুলিশ প্রশাসনকে ম্যানেজ করে তুরাগের ল্যান্ডিং স্টেশন দীর্ঘদিন যাবৎ তাঁতী লীগের সভাপতি দেহ ব্যবসা চালিয়ে আসছে। শুধু তাই নয় তুরাগ থানার এস.আই মাহাবুল আলিকে সাথে নিয়ে তুরাগ থানার ভিবিন্ন যায়গায় মাদক স¤্রাট ইয়াবা দিয়ে থাকে বলে অভিযোগ করেন এলাকাবাসি। গত কয়েক দিন আগে উত্তরখানে জোর পূর্বকভাবে একটি জমি দখল করে ২০ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়ে আসে এই তাঁতী লীগের সভাপতি।স্থানীয়রা জানান,তার বিরুদ্ধে মুখ খুললে তাদেরকে নানা ভাবে তার ক্যাডার বাহিনী দিয়ে হুমকি-ধামকি ও লাঞ্চিত করা হয়। তাছাড়া এই নেতার যৌন কেলেঙ্কারির ভিডিওটি যুব সমাজের হাতে পৌঁছে যাওয়ায় এখন উদ্বিগ্ন এলাকার অভিভাবক ও সুশীল সমাজের ব্যক্তিবর্গ। এলাকাবাসীর দাবি লম্পট এই নেতাকে অবিলম্বে তাঁতী লীগের সভাপতির পদ হতে অব্যাহতি দিয়ে শাস্তির ব্যবস্থা নিশ্চিত করবে দলীয় কেন্দ্রীয় তাতীঁ লীগ নেতারা। উক্ত অভিযোগের ভিত্তিতে হরিরামপুর ইউনিয়ন তাতী লীগ সভাপতি আলাউদ্দিন আলালের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ছড়িয়ে পড়া ভিডিওটি তার নিজের । ভাবির সাথে অনৈতিক সম্পর্কের কথা স্বীকার করে বলেন ভিডিওটি ২০১৫ সালের শেষের দিকের। সেখানে যে মহিলাটিকে দেখা যায় সেই মহিলা তার চাচাতো ভাইয়ের স্ত্রী। ভুলবশত নগ্ন ভিডিওটি মোবাইলে রেখে দেওয়ায় তা ছড়িয়ে পড়েছে মুঠোফোনে। এ সময় এ ব্যাপারে অপরাধ বিচিত্রায় সংবাদ প্রকাশ না করার জন্য অনুরোধ ও জানান তিনি।তুরাগ থানা তাঁতী লীগের সভাপতি কিবরিয়া জানান, আলাউদ্দিন আলাল এর বিরুদ্ধে এর আগে একাধিক অভিযোগের কথা শুনেছি। তার কর্মকান্ডে বর্তমানে আমরা দলীয় নেতা রা খুবই বিব্রতকর অবস্থায় পড়েছি। এ ব্যাপারে উত্তরা জোনের সিনিয়র সহকারী পুলিশ কমিশনার তাপস কুমার দাস জানান বিষয়টি তার জানা নাই। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
